বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সংকটঃ দেউলিয়া হওয়ার পথে প্রতিক্রিয়াশীল রাষ্ট্র, জনগণের জীবনযাত্রার মানের চরম অবনতি।

পিডিএফ

গত বছরের শেষে জ্বালানী তেলের দামবৃদ্ধির পর দেশের জনগণের জীবনযাত্রার মানের বেশ অবনতি ঘটে। দ্রব্যমূল্য ও পরিবহন ব্যয়সহ সকল ক্ষেত্রে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি ঘটে। ইউক্রেন যুদ্ধের পর এর আরো অবনতি ঘটে যখন রাশিয়া-ইউক্রেন থেকে বিশ্বে খাদ্য রপ্তানী বন্ধ হওয়ায় বিশ্বে খাদ্য সংকট দেখা দেয়। ভোজ্য তেল ও গম আমদানী বাংলাদেশে বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া রাশিয়ায় পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার প্রভাবে বিশ্বে জ্বালানী গ্যাস ও তেলের সংকট আর তার দামের অতিবৃদ্ধি ঘটে। সারা দুনিয়ার মত বাংলাদেশেও জনগণের জীবনযাত্রার গুরুতর অবনতি ঘটেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর দামের অতিবৃদ্ধি ঘটেছে।

বিশ্ব পুঁজিবাদী অর্থনীতি সংকটে পতিত হয়েছে। সাম্রাজ্যবাদ ও তার দালাল রাষ্ট্রগুলিতে মন্দা দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়াশীল সরকারের থলের বেড়াল বেরিয়ে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডলার রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলারের মত নিচে নেমে এসেছে যা দিয়ে কেবল কয়েক মাসের আমদানী ব্যয় মেটানো যায়। তারা এখন কোন কিছুই আমদানী করতে পারছেনা। সমগ্র পুঁজিবাদী বিশ্বের সাথে বাংলাদেশও খুবই নির্দিষ্টভাবে দেউলিয়া হওয়ার পথে রয়েছে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন বিপিসি ৭ বছরে তেল ব্যবসা করে ৪০ হাজার কোটি টাকা লাভ করার পর এখন প্রতিদিন শত কোটি টাকা লোকসান দিচ্ছে। লাভের ভাগটা জনগণকে তারা দেয়নি, বরং জনগণের কাছে ব্যবসা করেছে বহুগুণ। এখন লোকসান জনগণের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে।

বাংলাদেশ রাষ্ট্র জ্বালানী সংকটে আছে বলছে। জনগণ সংকটে বরাবরই ছিল। জনগণকে তারা পর্যাপ্ত জ্বালানী দেয়নি কখনো। তারা বিদেশীদের দিয়ে গ্যাস উত্তোলন করে বা বিদ্যুৎ উৎপাদন করে বা তেল আমদানি করে তা কখনো জনগণকে সাশ্রয়ী মূল্যে দেয়না, বরং জনগণের কাছে বিক্রী করে লাভ করে। এখন যখন লোড শেডিং করা হচ্ছে সংকট দেখিয়ে, এই সংকটটা জনগণের উপরই চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে, লাভটা নয়। এখন আবার দেখা যাচ্ছে তাদের পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতাও নেই। কুইক রেন্টালের নামে কয়েক বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদন না করেও ৫৪ হাজার কোটি টাকা দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়াশীলরা উগরে দিচ্ছে একটা কথা, তাহল অটো রিকশা অবৈধ, তারা দিনে এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ খরচ করছে, এগুলো বন্ধ করা হোক। এজন্য তারা আবারো অটো রিকশা ভেঙে ফেলা, আটকে টাকাআদায়সহ বহুবিধ দমন নির্যাতন শুরু করেছে। অটো রিকশা জনগণের বাহন, শতকরা নব্বই ভাগ মানুষ এটা ব্যবহার করে, আর শ্রমিকের সংখ্যা হবে কমপক্ষে বিশ লাখ; এই শ্রমিক, মালিক, মেকানিক ও খুচরা যন্ত্রাংশ বিক্রেতা পরিবারের সদস্যসহ কমপক্ষে এক থেকে দুই কোটি জনগন প্রত্যক্ষভাবে এই কাজের সাথে জড়িত, যাদিয়ে তাদের জীবন চলে। তাদের জীবিকার জন্য এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ তারা টাকা দিয়ে কেনে। আর এয়ার কন্ডিশন ব্যবহারকারীরা কমপক্ষে সাত হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দৈনিক খরচ করে, মানে অপচয় করে। তারা নিজ বাড়িতে, অফিসে, গাড়িতে, শপিং মলে, হোটেলে রেস্তোরায় এই অপচয় করে। তাছাড়া ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারকারীরা কোটি কোটি লিটার তেল প্রতিদিন খরচ করে, যা অপচয়। এগুলো পরিবেশ দূষণ করে, জলবায়ু পরিবর্তন ঘটায় আর পৃথিবীকে দূষিত ও ধ্বংস করে দিচ্ছে। কিন্তু তারা এগুলো বন্ধ করার চেষ্টা করেনা, বরং তাদের সমগ্র নিশানা জনগণ। জনগনই তাদের শত্রু। আর জনগণের শত্রুও তারাই।

জনগণ কি শুধু স্বতস্ফূর্তভাবে প্রতিবাদ জানাবে? না। তাদের সংগঠিত শক্তি থাকতে হবে। তাহলে শত্রুকে স্থায়ীভাবে মোকাবেলাই শুধু নয়, তার রাজনৈতিক ও সামাজিক কাঠামোকেও ধ্বংস করা যাবে।

তারপর উন্নয়নের কথা। দেশকে উন্নয়নে উন্নয়নে তারা ভরে দিচ্ছে! পদ্মা সেতু নিয়ে কত কথা। সেতু বা যে কোন বৃহৎ কাজ আজকের দিনে অনেক সহজ। চীনের যে প্রতিষ্ঠান এই সেতু বানিয়েছে, তারা নিজ দেশে হলে কতদিনে কাজটা করত? বা কত টাকায়? সবাই জানে। নদী বা সমুদ্রের গভীরতাসহ তলদেশ বের করতে হয়, তারপর সেখানে পাইলিং করতে হয়, তারপর হাতুরি দিয়ে পাইপ বসিয়ে সেটা ঢালাই করে তারপর উপরের কাঠামো বসাতে হয়, উপরের কাঠামো কিনতেই পাওয়া যায়, আর উন্নত যন্ত্রের সাহায্যে খুব সহজেই কাঠামো বসিয়ে দেয়া যায়। আজকের দিনে এগুলো নিয়ে বাড়াবাড়ি করা হাস্যকর। নদী ধ্বংস না করেও ঝুলন্ত সেতুর মত অনেক কিছু করা যায়। এমনকি অনেকটা সহজে ও কম খরচে ঘূর্নায়মান যন্ত্রের সাহায্যে মাটি সরিয়ে সরিয়ে নদীর তলদেশে সুড়ঙ্গ পথ নির্মাণ করা যায় তাও সবাই দেখছে। তাহলে এতটা বাড়াবাড়ি কেন?

জনগণের স্বার্থে পদ্মাসেতু? তাহলে হার্ডিঞ্জ ব্রীজও কি জনগণের স্বার্থে? ব্রিটিশ উপনিবেশবাদীরা সমগ্র ভারতবর্ষে জালের মত যে রেললাইন নির্মাণ করে আর পাকিস্তান উপনিবেশবাদীরা কমলাপুর রেলস্টেশন নির্মাণ করে তাকি জনগণের স্বার্থে ছিল? তাদের মালামাল পরিবহনের স্বার্থে তারা এগুলো করেছিল। আর জনগণের যাতায়াত? সেই জন্যই তো দেশের টাকায় পদ্মাসেতু হয়েছে বলে আবার বিপুল পরিমাণ টোল আদায় করা হচ্ছে। সুতরাং জনগণ নিজ দেশে পরাধীন। জনণণের টাকায় সেতু বানিয়েছে, আবার জনগণকেই সেই টাকা শোধ করতে হবে। ফল হয়েছে এই যে, যে মাদারীপুর-শরীয়তপুর ঠিক পদ্মার ওপারেই, সেখানে যেতেও ৪০০ টাকা লাগছে। যেসব প্রকল্প তারা করছে তার সবই শোষকশ্রেণীর স্বার্থে হচ্ছে, তার ফল অবশ্যই জনগণ ভোগ করছে, আর এটা অভাবনীয় তাদের কাছে, যে পদ্মা পাড়ি দেয়া ছিল এক ফাঁড়া, তা এখন মুহুর্তের মধ্যেই পাড় হওয়া যাচ্ছে। তবে জনগণের স্বার্থের জন্য এগুলো নির্মিত হয়নি, তাহলে অবশ্যই টোল দিতে হতনা।

তারপর প্রশ্ন হল তারা কী কী উন্নয়ন করছে এবং তার ফলাফল কী? অবশ্যই আমরা তা জনগণের নিরিখে দেখব। তারা শহরভিত্তিক কথিত উন্নয়ন করছে, আর গ্রামগুলিকে অন্ধকার ডোবা বানিয়ে রাখছে। শহরভিত্তিক উন্নয়নের মধ্যে তাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে বিমানবন্দর থেকে অভিজাত এলাকা পর্যন্ত যেখানে তিন চারটা বৃহৎ প্রকল্প একসাথে হচ্ছে যাতে এগুলো সম্পূর্ণ হলে তারা যখন দরকার অতিদ্রুত বিমানে করে বিদেশে পালিয়ে যেতে পারে। তাদের পথে সেনা, নৌ ও বিমান ঘাঁটি পাহাড়ায় থাকছে। তাহলে উন্নয়নের সাথে পলায়নের সম্পর্ক আছে কি? হ্যাঁ, তাদের উন্নয়নটাই এমন যে তাদের পলানোর আবশ্যকতা আছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি জনগণ হবে মফিজ, আর বুর্শোয়াদের কি বিশাল বিশাল মালবাহী যান যাবে? কোথায় যাবে? এক সাম্রাজ্যবাদী অথবা আধিপত্যবাদী দেশ থেকে আরেকটিতে। তাদের এমন কোন মাল উৎপাদন হয়না যা দেশের জনগণের ব্যবহারের জন্য। পোশাকশিল্প সম্পূর্ণ বিদেশীদের জন্য, সাম্রাজ্যবাদী দেশের জন্য। এদেশের মানুষের পোশাকের কোন মাপের তালিকা নেই। বিদেশী শিপমেন্ট বাতিল হওয়া বেখাপ্পা বেঢপ কাপড় তারা এদেশের জনগণের জন্য ছাড়ে। তবে পোশাকশিল্পের মাল ঠিকই বিদেশে যাবে। এর একটি শিপমেন্ট যুদ্ধের কারণে বাতিল হলেই এরা মুখ থুবড়ে পড়বে। তারা যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করছে জনগণের জন্য নয়। বিদেশে মাল পাচার করার জন্য, বিদেশী মাল এক দেশ থেকে আরেক দেশে পাচার করার জন্য, নিজেরা টাকা নিয়ে বিদেশে ভেগে যাওয়ার জন্য। তবে জনগণ এর ফল কিছু পায় এবং ভুক্তভোগীও হয়।

এসকল উন্নয়ন করা হয় ব্যাপক দুর্নীতির মাধ্যমে। যেসব দেশী বিদেশী কোম্পানী এসব কাজ পায় তারা যন্ত্রপাতি ক্রয়, কর্মকর্তাদের বেতন ইত্যাদি বাবদ বড় ধরণের আয় করে। বছর বছর তারা খরচের হিসেব বেশী দেখিয়ে টাকা ও মেয়াদ বাড়িয়ে নেয়। আর জনগণের ভোগান্তি? কোটি কোটি মানুষের কয়েক যুগে যে পরিমাণ সময় ও কষ্ট হয়েছে তার মূল্য কে দেবে? তারও হিসেব চুকাতে হবে। উদাহারণ হিসেবে ঢাকা গাজিপুর ময়মনসিংহ সড়কে বিমানবন্দর থেকে জয়দেবপুর অংশের কথা বলা যায়, টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে সিরাজগঞ্জের হাতিকুমড়ুল সড়কের কথা বলা যায়, এখানে কয়েক যুগ যাবত কোটি কোটি মানুশের শত সহস্র কোটি ঘন্টা সময় নষ্ট হয়েছে, আর কষ্ট পেতে হয়েছে, এখনো হচ্ছে।

সবশেষ প্রশ্ন বাংলাদেশ কি শ্রীলংকা হতে যাচ্ছে? প্রশ্নটা এভাবেও করা যায় শ্রীলংকা কি বাংলাদেশ হয়ে গেছে? যেভাবেই হোক, কথাটা একই। বাংলাদেশ আর শ্রীলংকা ব্যাপারটা একই। সাম্রাজ্যবাদ ও আধিপত্যবাদের অধীন একই ধরণের দেশ বাংলাদেশ ও শ্রীলংকাঃ দেশীয় দালাল বুর্শোয়ারা বিদেশী ঋণ গিলেছে, আর জনগণকে করেছে শৃংখলিত। উভয় রাষ্ট্র জনগণ ও বিভিন্ন নিপীড়িত শ্রেণী ও জাতির উপর গণহত্যা চালিয়েছে। শ্রীলংকা তামিল জাতিসত্ত্বার জাতীয় মুক্তির লড়াইকে গণহত্যার মাধ্যমে দমন করেছে, বাংলাদেশে শোষক বুর্শোয়ারা সাম্যবাদবিরোধী গণহত্যা চালিয়েছে (১৯৭১-২০১০)। উভয় দেশ যে শিল্প গড়ে তুলেছে তা জনগণের চাহিদা পুরণের জন্য নয়, বিদেশে পাচার করার জন্য। উভয় দেশ তেল, বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ সকল জ্বালানী বুর্শোয়া ধনীদের জন্য সরবরাহ করে, বুর্শোয়া দালালরা আবার বিদেশে সম্পদ পাচার করে। শেষমেষ জনগণের তো কিছু থাকেইনা, রাষ্ট্রের কোষাগার খালি হয়ে যায়। আমরা জানি সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বব্যবস্থা সংকটে রয়েছে, ১ম মহাযুদ্ধের সময়কাল থেকেই ধারাবাহিক সংকটে সে রয়েছে। এই সংকটের মূল কারণ পুঁজিবাদী কোম্পানীগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতা, যা বিভিন্ন রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রসমূহের জোট বা ব্লকসমূহের মধ্যে দ্বন্দ্বে রূপ নেয়। প্রতিযোগিতা যতই বাড়তে থাকে মুনাফা ততই কমতে থাকে। শেষমেষ মার্কস-এঙ্গেলসের ভাষায় তারা যাদের দিয়ে খায় সেই শ্রমিকদেরই তারা খাওয়াতে পারেনা আর। সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য বিভিন্ন পথ অবলম্বন করেঃ শ্রমিক ছাটাই, শ্রমিকদের মজুরি কমিয়ে দেয়া, যুদ্ধ বাঁধানো ইত্যাদি। যুদ্ধের মাধ্যমে তারা নতুন কাঁচামালের উৎস বা বাজার দখল বা পুনর্দখল করতে চায়। এভাবে ১ম মহাযুদ্ধ, ২য় মহাযুদ্ধ হয়েছিল, এখন ৩য় মহাযুদ্ধের দোড়গোড়ায় পৃথিবী। বড় বড় সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলো ভূতলে শায়িত হয়ে যাচ্ছে, তাদের ভাগ্য অনিশ্চিত। তাহলে তাদের দালাল রাষ্ট্রগুলোর কী অবস্থা হতে পারে। সাম্রাজ্যবাদী পুঁজিবাদী দূষণের ফল হিসেবে করোনা ভাইরাস অতিমারীতে আক্রান্ত এই বিশ্বব্যবস্থা সংকটে ছিল, তারো আগে এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এখন যুদ্ধ এই সংকটকে আরো গভীর করেছে। বিশ্ব পুঁজিবাদ ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। মাও যেমনটা বলেছেন আমরা তাই মনে করিঃ হয় বিপ্লব যুদ্ধকে ঠেকাবে নাহয়, যুদ্ধ বিপ্লবকে ডেকে আনবে। পুঁজিবাদী যুদ্ধের পাশাপাশি তার বিপরীতে আরেক যুদ্ধ গড়ে উঠে, একে বলে গণযুদ্ধ। এভাবেই ১ম বিশ্বযুদ্ধের সময় সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত রাশিয়া গড়ে উঠেছিল, ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় চীন, পূর্ব ও মধ্য ইউরোপ, কোরিয়া, তারপর কিউবা, ভিয়েতনাম, কম্পুচিয়াসহ অনেক দেশে সর্বহারা বিপ্লব সঙ্ঘটিত হয়। আজকের বিশ্বপরিস্থিতিতেও একই ঘটনাই ঘটবে। এর বিকল্প হচ্ছে মানবজাতির বিলোপ, যা বিশ্ব জনগণ অবশ্যই কামনা করেননা।।

এ সংক্রান্ত পূর্ববর্তী লেখাঃ

Sarbaharapath | দেশে জ্বালানী তেলের দামের অতি বৃদ্ধিঃ সরকারী লুটেরা তেল ব্যবসা, জনগণের জীবনযাত্রার মানের চরম অবনতি ঘটার শংকা

Sarbaharapath | সরকারি লুটেরা তেল ব্যবসা, ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম পুনবৃদ্ধির পাঁয়তারা, ব্যাংকের টাকা চুরি আর আঙুলের ছাপ রেজিস্ট্রেশন