কমরেড রিয়াজুর রহমানের জীবনাবসান

বাংলাদেশের মার্কসবাদী-লেনিনবাদী-মাওবাদী সাম্যবাদী আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ নেতা  কমরেড রিয়াজুর রহমান ৩০শে মার্চ,

কমরেড রিয়াজুর রহমান

কমরেড রিয়াজুর রহমান

২০২৪মৃত্যুবরন করেছেন। তাঁর বয়স আনুমানিক ৭০ বছর হয়েছিল। কমরেড রিয়াজ ১৯৭১ সালে কিশোর বয়সে কমরেড সিরাজ সিকদারের নেতৃত্বাধীন পূর্ববাংলার সর্বহারা পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন। এই পার্টির বয়কনিষ্ঠ একজন কেডার হিসেবে তিনি সিনিয়র কমরেডদের বিশেষত কমরেড সিরাজ সিকদারের স্নেহধন্য ছিলেন। ১৯৭৫ সালে কমরেড সিরাজ সিকদারের মৃত্যুর পর পার্টিতে বিপর্যয় নেমে এল, দল উপদলের সঙ্ঘাত শুরু হল। সেসময় অজস্র কমরেডদের মত কমরেড রিয়াজও সরকারী বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন। এক বছর পর জেল থেকে বেরিয়ে তিনি কলেজে ভর্তি হন, তারপর চিকিৎসাবিদ্যা অধ্যয়ন করেন। কিন্তু কোনদিনই চিকিৎসক পেশা সে অর্থে গ্রহণ করেননি, বরং তিনি রাজনীতিকেই পেশা হিসেবে নিয়েছেন। দল উপদলে ভেঙে পড়া আন্দোলনকে তিনি পুনর্গঠনে মনোযোগ দিলেন। তিনি ব্যাপক অধ্যয়ন করেন, মার্কসবাদ চর্চা কেন্দ্র, সিরাজ সিকদার চর্চা কেন্দ্র ইত্যাদি বহু অধ্যয়ন চক্র তিনি গড়ে তুলেছেন। দুই যুগ তিনি তত্ত্বগত সংগ্রাম চালিয়েছেন। ব্যবহারিক আন্দোলনও গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। মালেমাবাদী সকল গণ আন্দোলনের সামনের নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। আন্তর্জাতিক সাম্যবাদী আন্দোলনে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। আন্তর্জাতিক সর্বহারা পত্রিকা বিশ্ববিজয়ের বাংলা সংস্করণের প্রধান দায়িত্ব তিনি পালন করেছেন। কমরেড গনসালোর জীবন রক্ষার আন্দোলন, মুমিয়া আবু জামালের জীবন রক্ষার আন্দোলন ইতাদি বহু আন্দোলনের সামনের সারির নেতা ছিলেন তিনি। তাঁর অবদানের কথা এক কথায় বলে শেষ করা যাবেনা। তাঁর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ অবদান সিরাজ সিকদার চিন্তাধারা সংক্রান্ত তাঁর থিসিস। এই থিসিসটি বাংলাদেশের সাম্যবাদী পার্টি মার্কসবাদী-লেনিনবাদী-মাওবাদী গঠনে ও অন্যান্য মালেমাবাদীদের গঠন পুনর্গঠনে অবদান রেখেছে। তাঁর পূর্ণাঙ্গ থিসিসটি সর্বহারা পথ ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার জন্য তিনি বলে গেছেন। আশা করি তা প্রকাশিত হবে। কমরেড রিয়াজুর রহমান লাল সালাম।।