বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর ১১৫তম শাহাদাত বার্ষিকী

শহীদ ক্ষুদিরাম বসু জন্ম নিয়েছিলেন ৩রা ডিসেম্বর, ১৮৮৯ বাংলার মেদিনীপুর জেলায়। ১৯০৮ সালের ১১ আগষ্ট বৃটিশ সরকার তাকে ফাঁসিতে

শহীদ ক্ষুদিরাম বসু

শহীদ ক্ষুদিরাম বসু

ঝুলিয়ে হত্যা করে। হাসিমুখে তিনি ফাঁসিতে মৃত্যুবরণ করেন। তের চৌদ্দ বছর বয়সে তিনি বিপ্লবে যোগদান করেন। তখন তাদের এলাকায় অনুশীলন সমিতির বিপ্লবী অরবিন্দ ঘোষ ও তার বোন নিবেদিতা আসেন বিপ্লবী সংগঠনের গোপন অধিবেশনের জন্য। সেখানে তারা ভারতের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধের পক্ষে ধারাবাহিকভাবে জনসমক্ষে বক্তব্য রাখেন। কিশোর অরবিন্দ সেসব আলোচনায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি ভারতীয় বিপ্লবী সংগঠন অনুশীলন সমিতির একজন স্বেচ্ছাসেবী হয়ে উঠেন। তিনি তারপর অনেক বিপ্লবী তৎপরায় অংশ নিয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে ব্রিটিশ ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ডকে হত্যার জন্য তিনি ও প্রফুল্ল চাকী বোমা হামলা চালিয়েছেন। ক্ষুদিরাম ঘটনাক্রমে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন আর প্রফুল্ল অন্যত্র গ্রেফতার হওয়ার আগে আত্মহত্যা করেন। ফাঁসির মঞ্চে তার নির্ভীক আচরণ ব্রিটিশদের আরো আতঙ্কিত করে আর ভারতবাসীদের বিপ্লবী সংগ্রামে প্রবল প্রেরণা সৃষ্টি করে। সেইসাথে বাংলাদেশের বিপ্লবী সংগ্রামের ইতিহাসে ক্ষুদিরাম বসু এক উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে গেলেন। সেটা কী? সশস্ত্র সংগ্রাম ছাড়া স্বাধীনতা, মুক্তি কোনকিছুই অর্জন করা সম্ভব নয়। কিন্তু সেযুগে বিপ্লবীদের তখনো মার্কসবাদের তেমন কোন ধারণা ছিলনা। ১৯২০ দশকে ভারতে সাম্যবাদী পার্টি গঠিত হলে অধিকাংশ সন্ত্রাসবাদী বিপ্লবীই সাম্যবাদী পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন। সাম্যবাদী পার্টি তাদের দিয়েছিল সামাজিক বিপ্লবের এক পূর্ণ দিশা।।