তারা বেকারের সংখ্যা জানেনা

লেখকঃ

হোসেন নীল

তারা বেকারের সংখ্যা জানেনা
আমি অবাক হইনা
তারা গোপালগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ ঢাকার
তেমাথায় চৌমাথায় দাঁড়ায়না কখনো
ঘর্মাক্ত ক্লান্তশ্রান্ত বিধ্বস্ত লোকেরা
হেঁটে যায়না তাদের রোদেলা দুপুরে

কারা এই ভরদুপুরে খররৌদ্রে

দাঁড়িয়ে আছে বেকার?
মালিবাগ মগবাজারের তপ্ত
রেলপথ ধরে কেইবা

হেঁটে যেতে পারে?

কাজ নেই কর্ম নেই
অর্থ নেই বিত্ত নেই
শুধু শুধু পথ চলা,
আর ঐ দেখ ওনারা
অতিশয় ব্যস্ত এখন
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ড্রয়িং রুমের
রঙিন সোফাসেটে বসে
দুর্নীতির নীতিমালা প্রণয়নে।

বেকারদের দুপুর গড়িয়ে বিকেল
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে

শহরতলীর
নির্জন ময়লার নদীর
কালভার্টে।
যেখানে জীবন নেই,
নদীর জলের মত
মানুষের মনও নেই।
তরুরাজি প্রাণিকুল

সকলেই অন্তর্হিত

মাংসলোভীদের হাতে
দলিত আহত নিহত।

চন্দ্র সূর্য তারা

কোথাও কেউ নেই

এক নির্ঘুম রাত
কেটে যাবে
নতুন আরেক দিনের
অপেক্ষায়।

সরকার বেকারের সংখ্যা জানেনা

সরকার না জানলেও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো দেখাচ্ছে দেশে ২ কোটি ৬০ লক্ষ লোক বেকার যার ৫০ শতাংশ শিক্ষিত। দুই বছরে এই সংখ্যা দ্বিগুণ হবে। প্রতি বছর শ্রমবাজারে আসছে ২৭ লাখ মানুষ এর মধ্যে সরকারী বেসরকারীভাবে কাজ পাচ্ছে ১ লক্ষ ৮৯ হাজার মানুষ। এদের হিসেবমত যাদের কর্মসংস্থান হয় তার ৪৫% কৃষিতে, সেবা খাতে ৩৪% ও শিল্পখাতে ২১%। বেকারত্বের হার প্রতি বছর ৪% থেকে আরো বেশি হারে বাড়ছে। প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশী। যারা বছরে দুই মাস কাজ পায় তাদেরকে তারা বেকার ধরবেনা। ফলে সত্যিকার অর্থে বেকাররাই জনসংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠ্য।আগামী এক দশকে এই সংখ্যাটা নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতে পরিণত হবে। সুতরাং গনবিরোধী সরকারী বেসরকারী প্রতিক্রিয়াশীল শোষকশ্রেণী এই বেকার জন গণের ভয়ানক প্রতিরোধের সম্মুখীন হবে সন্দেহ নেই।