সরকারী ধর্মবাদঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জনগণের উপর সাম্প্রদায়িক হামলা

লেখকঃ হাসন লাল

৩০ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে ধর্মবাদী সামন্ততান্ত্রিক ফ্যাসিবাদীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের বসতবাড়ি, উপাসনালয় ও জনগণের উপর পুরো এলাকা জুরে ব্যাপক

নাসিরনগরে-ঘরবাড়িতে-অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুর

নাসিরনগরে ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ ভাঙচুর

হামলা পরিচালনা করে। অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও অত্যাচার নির্যাতনে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়।

হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি হয়েছে।

কে হবে চেয়ারম্যান এ নিয়ে আওয়ামি লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব থেকে হিন্দু সম্প্রদায়কে বলির পাঠা বানানো হয়েছে। আওয়ামী মৎস্য ও পশু মন্ত্রি ছায়েদুল আর একই দলের জেলা সভাপতি মোক্তাদিরের মধ্যে ক্ষমতা নিয়ে কামড়াকামড়ি রয়েছে। হরিপুর ইউনিয়নে মুক্তাদির গ্রুপ চেয়ারম্যান বানিয়েছে, ছায়েদুল গ্রুপ তা পারেনি। এ

১৫ দিনের মধ্যে নাসিরনগরে আরো হামলা চালানো হয়

১৫ দিনের মধ্যে নাসিরনগরে আরো হামলা চালানো হয়

হিংসা তারা ঝেড়েছে হিন্দুদের উপর। জনৈক রসরাজের ফেসবুক পেজে মুসলিম ধর্মের কাবা ঘরের উপর হিন্দু ধর্মের দেবতা মহাদেবের মূর্তি বসিয়ে সাম্প্রদায়িক হিংসা উসকে দিতে দুটি ইসলামবাদী সংগঠন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ও খাঁটি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত এর মাধ্যমে বিক্ষোভ সমাবেশ ডেকে মাদ্রাসা ছাত্রদের নিয়ে হিন্দু বসতিতে হামলে পড়ে তারা। প্রতিক্রিয়াশীলদের সকল দল, ইউ এন ও, ওসি সকলে এতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অংশ নেয়। আলীগের মন্ত্রী ছায়েদুল এঘটনায় জড়িত বলে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা দাবি করলে ছায়েদুল হিন্দু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের লোকেদের ‘মালাউন’ বলে গালি দেয়। সাম্প্রদায়িক হিংসা চরিতার্থ করতে মুসলমানরা হিন্দুদের মালাউন আর হিন্দুরা মুসলমানদের ন্যাড়া বলে গাল দিয়ে থাকে। ছায়েদুলের মন্ত্রীত্ব এখনো বহাল আছে। এদিকে হিন্দু সম্প্রদায়ের ছাত্র ছাত্রীরা শাহবাগে বিক্ষোভ করেছে। অন্যান্য সংগঠনও প্রতিবাদ জানিয়েছে। এ ঘটনা তিন বছর আগে কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের উপর চালানো ব্যাপক সাম্প্রদায়িক হামলার কথা মনে করিয়ে দিয়েছে যা পরিচালিত হয়েছিল আলীগ নেতৃত্বে সকল প্রতিক্রিয়াশীল অংশগ্রহণে।

বুর্জোয়া সামন্ত প্রতিক্রিয়াশীলদের ভোটবাজিতে অংশ গ্রহণ করা হিন্দু মুসলিম নির্বিশেষে সকলেরই অনুচিত। এ ধরণের হামলা চালিয়ে হিন্দুদের ভারতে যেতে বাধ্য করলে তাদের জমি সম্পত্তি দখল করা যাবে, আর এক উদ্দেশ্য হল বাংলাদেশকে তথাকথিত পুরোপুরি সামন্ততান্ত্রিক ইসলাম ধর্মবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করা। পূর্ববাংলায় একসময় প্রায় এক তৃতিয়াংশ অধিবাসী ছিল হিন্দু ধর্মীয়

হিন্দু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থিরা হামলার প্রতিবাদ জানায় শাহবাগে

হিন্দু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থিরা হামলার প্রতিবাদ জানায় শাহবাগে

সম্প্রদায়ভুক্ত, মাত্র অর্ধ শতকে এটা এক দশমাংশে (?) নেমে এসেছে হিন্দুদের অব্যাহতভাবে ভারতে চলে যাওয়ার কারণে। এটা পুরো উপমহাদেশের ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ভারসাম্য বিনষ্ট করছে। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা মধ্যযুগীয় ধর্মবাদী। সংস্কৃতিতে ব্যপকভাবে সামন্ততান্ত্রিক আগ্রাসন চালানো হচ্ছে। নিরীশ্বরবাদবিরোধী ভয়ংকর কুৎসা গাওয়া হচ্ছে। এমন একটা প্রজন্ম তৈরি হচ্ছে যার সামনে উজ্জ্বল ভবিষ্যত আপাতত নেই, তার জন্য অন্ধকার পাঁকা করতে এই প্রতিক্রিয়াশীল সমাজ কাজ করে যাচ্ছে অবিরাম। ■