টাঙ্গাইলে যৌন নিপীড়ণ বিরোধী স্বতস্ফূর্ত গণবিদ্রোহ।। হাসন লাল

২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫

গত সপ্তাহে টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতীর এক বহু বিবাহকারী ধনিক শ্রেণির রফিকুল ইসলামের তৃতীয় স্ত্রী হোসনে আরা পালিয়ে গিয়ে পার্শ্ববর্তী ঘাটাইলের আল আমিন নামে এক শ্রমিককে বিয়ে করলে রফিকুল আল আমিন ও তার মাকে ডেকে এনে তাদের উপর

১৮ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলে জনগণ যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আসে

১৮ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলে জনগণ যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আসে

অকথ্য যৌন নির্যাতন চালায়। ঘটনাটি দ্রুত জানাজানি হয়ে পড়লে তীব্র বিক্ষোভে ফেঁটে পড়ে এলাকার জনগণ। এটা ১৮ সেপ্টেম্বরের ঘটনা। জনগণের উপর গুলি চালায় পুলিস, ফলে নিহত হয় ফারুক, শামীম, শ্যামল ও রুবেল, আহত বহু। ঘটনাটি সারা দেশে প্রকাশ হলে সরকার দায়ী কিছু পুলিশকে জনরোষ থেকে বাঁচাতে প্রত্যাহার করে।

অন্যায়ের বিরুদ্ধে ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে জনগণ ঐক্যবদ্ধ

মুসলিম হিন্দু নির্বিশেষে সবাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়েছেন এক হয়ে। জনগণের মধ্যে ধর্মবাদ দেখা যায়নি।

জনগণ বহু বিবাহ বিরোধী

নারীদের উপর যৌন নিপীড়ণের একটি উপায় বহু বিবাহ। এজন্য ধর্মকে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু জনগণ এটা পছন্দ করেন না।

জনগন নারীদের উপর নিপীড়ণের বিরোধী

প্রতিক্রিয়াশীল সমাজ নারীদের উপর যে নিপীড়ণ চালায় জনগণ তার বিরোধী।

জনগণ নরনারীর পারস্পরিক পছন্দের বিয়ের পক্ষে

জনগণ বলপ্রয়োগে বিয়ে নয় বরং নরনারীর পারস্পরিক পছন্দের বিয়ের পক্ষে।

কৃষক শ্রমিক জনগণ একটা শক্তি

কৃষক শ্রমিক জনগণ একটা শক্তি। তারা যে কোন সময় ঐক্যবদ্ধ হতে পারেন আর বিদ্রোহ করতে পারেন। তারা শোষণের সমাজের উপর পদাঘাত হানতে সক্ষম।

জনগন রক্তের বিনিময়ে শত্রুর চেহারা দেখলেন

প্রতিদিন জনগণ শোষকদের চেহারা দেখতে পান। এই ঘটনায় জনগণ দেখলেন যে পুলিশকেস নেয়নি, শোষকরা পরস্পর আত্মীয়। পুলিশ হচ্ছে শোষকদের বাহিনি। পুলিশ

পুলিশের নির্যাতন

পুলিশের নির্যাতন

গুলি চালিয়ে চারজন মানুষ হত্যা করলেও তার বিচার না করে তাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এটা বাংলাদেশের এক চিত্র

বাংলাদেশে নারীরা আর নিপীড়িত পুরুষেরাও প্রতিদিন বহুভাবে নির্যাতিত হচ্ছে। এটা তারই এক চিত্র। হাসিনা ঐদিনই সাম্রাজ্যবাদীদের কাছে মেডেল আনতে গেছে। সাম্রাজ্যবাদী আর সম্প্রসারণবাদীরা দালালীর পুরষ্কার হিসেবে বিভিন্ন মেডেলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। হাসিনা, আলীগ আর তাদের সরকার বাংলাদেশ চিরকাল যাতে পদানত থাকে তার প্রতিশ্রুতি দিতে চায়। কিন্তু জনগণ তাদের ধার ধারেনা।

এটা এক খন্ড যুদ্ধ

এটা জনগণের দৈনন্দিন যুদ্ধের একটি অতি ক্ষুদ্র অংশ কিন্তু অপরিহার্য অংশ। এরকম

জনগণের খণ্ডযুদ্ধ

জনগণের খণ্ডযুদ্ধ

অজস্র খন্ড খন্ড যুদ্ধের মধ্য দিয়ে জনগণ বুঝতে পারবেন কীভাবে এক বৃহত্তর যুদ্ধের জন্য প্রস্তুৎ হওয়া যায়। যে যুদ্ধ অনেক অনেক কঠিন। আর সেটা হচ্ছে ভবিষ্যত এক সাম্যবাদী সমাজের।।