পূর্ববাংলার সর্বহারা পার্টি কর্তৃক রচনা ও প্রকাশ ৯ জুলাই ১৯৭২
কমিউনিস্ট পার্টি মার্কসবাদী-লেনিনবাদী-মাওবাদী বাংলাদেশ কর্তৃক সর্বহারা পথ (www.sarbaharapath.com) এর অনলাইন প্রকাশনা ১০ আগস্ট ২০১৪
পিডিএফ
কেন্দ্রীয় কমিটির চতুর্থ পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন ৮ই জুলাই, ১৯৭২ সালে শুরু হয় এবং ৯ই জুলাই সাফল্যজনকভাবে সমাপ্ত হয়।
কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় নিম্নলিখিত আলোচ্যসূচী গৃহীত হয় এবং সে অনুযায়ী সভা পরিচালনা হয়।
আলোচ্যসূচী
১) সাংগঠনিক, চক্র সংক্রান্ত, শুদ্ধি অভিযান।
২) রাজনৈতিক।
৩) সামরিক।
৪) অর্থনৈতিক।
৫) বিবিধ।
সভায় কেন্দ্রীয় কমিটির তৃতীয় পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের সিদ্ধান্তসমূহ, তৃতীয় পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের ইস্তেহার, কেন্দ্রীয় কমিটির বিবৃতিসমূহ অনুমোদিত হয়।
সভায় কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক প্রকাশিত “পূর্ববাংলার বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে কয়েকটি কথা” (২৯/৫/৭২) গৃহীত হয়। বিশ্বাসঘাতক ফজলু চক্র এবং হুমায়ুন কবির সংক্রান্ত বক্তব্য অনুমোদিত হয়।
বিশ্বাসঘাতক ফজলু চক্র খতমে অংশগ্রহণকারী ও পরিচালকদের নিকট প্রদত্ত অভিনন্দনপত্র সংশোধিত আকারে গৃহীত হয়।
এ গেরিলাগ্রুপ এবং পরিচালকদের যৌথভাবে বীরত্বের জন্য একটি স্বর্ণপদক (কাস্তে-হাতুড়ি খচিত) প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
চক্র সম্পর্কে নিম্নলিখিত তথ্য সংগৃহীত হয়।
১। বিশ্বাসঘাতক ফজলু পূর্ববাংলার সর্বহারা পার্টির বীর গেরিলাদের হাতে খতম হয়েছে।
এর নিকট থেকে উদ্ধারকৃত কাগজপত্র থেকে চক্র সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ঘাটিত হয়।
উদ্ধারকৃত কাগজের মাধ্যমে প্রমাণ পাওয়া যায় যে এ চক্রের সাথে কাজী চক্রের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। এ সকল কাগজপত্রের ফটোস্ট্যাট কপি কর্মী ও সহানুভূতিশীলদের দেখানো হবে।
এর ফলে প্রমাণিত বিশ্বাসঘাতক ও অন্তর্ঘাতক এবং ফজলু চক্রের জনৈক সক্রিয় ও ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে আমাদের গেরিলারা খতম করেছেন।
এ খতমে অংশগ্রহণকারী বীর গেরিলা ও পরিচালকদের অভিনন্দন জানানো হচ্ছে।
সম্প্রতি ঢাকা শহরে এ চক্রের অন্যতম সদস্য মনসুর, ইলিয়াস আমাদের জনৈক কমরেডকে রাস্তায় আটকিয়ে জনগণের নিকট বলে “এ ব্যক্তির নাম অমুক, এ সর্বহারা পার্টির কর্মী, ‘নকশাল’, সিরাজ সিকদারের লোক, চলুন, একে থানায় নিয়ে যাই, আমি সাক্ষ্য দেব” ইত্যাদি। কিন্তু জনগণ উক্ত কমরেডকে রক্ষা করেন, চক্রান্তকারীরা বেগতিক দেখে পলায়ন করে, জনগণ তাদের ধাওয়া করেন।
এ চক্রের অপর এক পাণ্ডা সুলতান বিভিন্ন স্থানে পার্টিবিরোধী অপপ্রচার চালায়, পার্টির কর্মীদের খতমের হুমকি দেয়।
তারা কাজী চক্র ও অন্যান্য সংশোধনবাদীদের সাথে হাত মিলিয়ে অপপ্রচার করছে যে “সর্বহারা পার্টি ভাগ হয়ে গেছে”, তারা ব্যক্তিগত কুৎসা ছড়াচ্ছে।
সম্প্রতি তারা ব্যক্তিগত কুৎসা, অপপ্রচার ও ইতিহাসকে বিকৃত করে একটি প্রতিক্রিয়াশীল দলিল প্রকাশ করে (‘পূর্ববাংলার সর্বহারা পার্টির বিপ্লবী কর্মী ও সহানুভূতিশীলগণ সিরাজ সিকদারের নিকট থেকে জবাব নিন’।’ এ সম্পর্কে সর্বহারা পার্টির জবাব প্রকাশিত হয়েছে)।
কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক তাদের যে পরিণতির নির্দেশ করা হয়েছিল তারা সে পথেই অগ্রসর হয়েছে, শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ পুতুল সরকারের চরে পরিণত হয়েছে।
তাদের পুরোপুরি ধ্বংস অতি সত্বর সংঘটিত হতে বাধ্য।
কাজেই কর্মীদের চক্র সম্পর্কিত কঠোর সতর্কতা বজায় রেখে কাজ করতে হবে।
• পার্টি সাফল্যজনকভাবে চক্র বিরোধী মতাদর্শগত ও রাজনৈতিক সংগ্রাম পরিচালনা করছে। এই সংগ্রাম অব্যাহতভাবে চালিয়ে যেতে হবে।
শুদ্ধি অভিযানের সাথে চক্র বিরোধী সংগ্রামকে যুক্ত করতে হবে এবং চক্রকে শুদ্ধি অভিযানের নেতিবাচক উদাহারণ হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।
২নং লাল ঝাণ্ডা (মে ১৯৭২) ও এর পরবর্তী লাল ঝাণ্ডাসমূহ, ফজলু চক্র কর্তৃক প্রকাশিত অপপ্রচার মূলক দলিলের জবাব, কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক প্রকাশিত দলিলসমূহ মনোযোগ সহকারে পাঠ করার জন্য কর্মীদের আহ্বান জানানো হচ্ছে।
অনুসন্ধানের ভিত্তিতে প্রমাণিত বিশ্বাসঘাতক, শত্রুচর এবং ফজলু চক্রের সহযোগী মনসুর, ইলিয়াস, রিজভী, সালমা, মিনুকে পার্টি থেকে চিরতরে বহিষ্কার করা হচ্ছে।
পার্টির অভ্যন্তরে ও বাইরে চক্রের সাথে যুক্ত অন্যান্যদের সম্পর্কে আরো অনুসন্ধান পরিচালনা করা হচ্ছে।
সভায় কেন্দ্রীয় কমিটিকে পুনর্গঠিত করা হয়, জনৈক বিকল্প সদস্যকে পূর্ণাঙ্গ সদস্য হিসেবে গ্রহণ করা হয় এবং দায়িত্ব পুনর্বন্টন করা হয়।
সভায় শুদ্ধি অভিযান সম্পর্কে নিম্নলিখিত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়ঃ
চক্র বিরোধী মতাদর্শগত সংগ্রাম ও শুদ্ধি অভিযানের অর্থ হচ্ছে মতাদর্শগত ও কর্মপদ্ধতিগত সুসংবদ্ধকরণ। এরপর সাংগঠনিক সুসংবদ্ধকরণ করতে হবে।
চক্রবিরোধী সংগ্রাম ও শুদ্ধি অভিযানে নূতন কর্মী, সহানুভুতিশীল, সম্ভব হলে সমর্থক ও জনগণের মাঝে পোস্টার, লিফলেট, চিকার মাধ্যমে প্রচার করতে হবে। উদাহারণ-
পূর্ববাংলার সর্বহারা পার্টিকে ভিতরের ও বাইরের শত্রুরা ধ্বংস করার চক্রান্ত করছে—একে বিরোধিতা করুন।
বিশ্বাসঘাতক ফজলু-সুলতান চক্র কাজী-অমল চক্রের যোগসাজসে পূর্ববাংলার সর্বহারা পার্টিকে ধ্বংস এবং কমরেড সিরাজ সিকদার ও অন্যান্য সাচ্চা কমরেডদের খতম করার চক্রান্ত করছে।
—ফজলু–সুলতান চক্র বাংলাদেশ পুতুল সরকারের চরে পরিণত হয়েছে।
—পূর্ববাংলার সর্বহারা পার্টিতে চক্র বিরোধী শুদ্ধি অভিযান চলছে।
—পূর্ববাংলার সর্বহারা পার্টি—জিন্দাবাদ!
—কমরেড সিরাজ সিকদার—জিন্দাবাদ!
• শুদ্ধি অভিযানের প্রক্রিয়ায় নিম্নভাবে সাংগঠনিক সুসংবদ্ধকরণ করতে হবে—
১) শুদ্ধি অভিযানের প্রক্রিয়ায় কর্মীদের কেডার ইতিহাস সংগ্রহ করতে হবে, বাসি উপাদান বর্জন করতে হবে, খারাপ উপাদান যাতে পার্টিতে ঢুকতে না পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে।
২) কেন্দ্রীয় কমিটির অধীন বিভিন্ন স্তরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করতে হবে।
৩) সদস্য, প্রার্থী সদস্যপদ প্রদান করতে হবে।
৪) কেন্দ্রীয় কমিটির অধীন বিভিন্ন স্তরে কংগ্রেস অনুষ্ঠান করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি নির্বাচন করতে হবে।
সভায় কেডার ইতিহাসের বিষয়ে আবেদনপত্রসহ অতিরিক্ত পয়েন্টসমূহ গৃহীত হয়। এ অতিরিক্ত পয়েন্টসমূহ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।
সভায় শুদ্ধি অভিযানের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। শুদ্ধি অভিযান অধিকাংশ স্থানেই শুরু হয়েছে। বাকী এলাকায় অচিরেই শুরু করতে হবে। শুদ্ধি অভিযান অব্যাহতভাবে চালিয়ে যেতে হবে।
সভায় কমরেডদের হিসেব প্রদানের জন্য একটি ফর্ম প্রণয়ন করা হয়।
প্রতি দুই মাসে ফর্ম অনুযায়ী প্রত্যেক আঞ্চলিক কমিটির হিসেব উচ্চস্তরে পাঠাতে হবে।
খরচের শিরোনামা নির্ণিত না থাকায় এ সভায় কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের হিসেব অনুমোদন করা সম্ভব হয়নি।
সভায় ছয় পাহাড়ের দালালদের ফ্যাসিস্ট শ্বেত সন্ত্রাসের কারণে কেন্দ্রীয় ভিত্তিতে দলিলাদি প্রকাশনা ও বিতরণের মারাত্মক অসুবিধা পর্যালোচনা করা হয়। এ কারণে প্রতিটি আঞ্চলিক কমিটির নিকট আহ্বান জানানো হচ্ছে তারা যেন স্থানীয় ভিত্তিতে দলিলাদি পুনঃমুদ্রণ ও বিতরণের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
সভায় কমরেড কবীরের পত্রাবলী পর্যালোচনা করা হয় এবং তার জবাব প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
• সভায় রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয় এবং নিম্নলিখিত সিদ্বান্ত গ্রহণ করা হয়।
— ‘পূর্ববাংলার বর্তমান পরিস্থিতি প্রসংগে কয়েকটি কথা’ দলিলটি সঠিক। ইহা বিশ্লেষণ করে লেখা প্রয়োজন।
ছয় পাহাড়ের দালাল ফ্যাসিস্টরা শ্বেত সন্ত্রাস শুরু করেছে। কালোবাজারী আর মজুতদারী দমনের নামে সত্যিকার বামপন্থী ও দেশপ্রেমিকদের বিশেষ করে পূর্ববাংলার সর্বহারা পার্টিকে দমন করার ফ্যাসিস্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সান্ধ্য আইন জারী ও তল্লাসী চালানো প্রমাণ করেছে যে, জনগণ ছয় পাহাড়ের দালালদের সাথে সহযোগিতা করছে না। অর্থাৎ তাদের জনসমর্থন খুবই কমে গেছে। ইহা তাদের মারাত্মক দুর্বলতারই প্রকাশ।
পূর্ববাংলার সর্বহারা পার্টির রাজনৈতিক লাইন অনুশীলনে সঠিক বলে প্রমাণিত হয়েছে।
বিভিন্ন আকৃতির সংশোধনবাদীদের দেউলিয়াত্ব দ্রুত প্রমাণিত হচ্ছে।
সম্প্রতি তোয়াহা চক্র আমাদেরকে একখানি পত্র দেয়। এতে তারা কাজী-অমল চক্র, মতিন-আলাউদ্দিন চক্র, হক চক্র ও দেবেন-বাসার চক্রকে নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রেখে “তথাকথিত সমন্বয় কমিটি” (দেবেন-বাসার, কাজী-রণো, অমল-বদরুদ্দীন, হাতিয়ার গ্রুপ প্রভৃতি ভারতে বসে জ্যোতি বসুর ছত্রছায়ায় একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করেছিল)র অনুরূপ আওয়ামী লীগ বিরোধী যৌথ কার্যক্রম গ্রহণের আহ্বান জানায়। তারা আমাদেরকেও এতে শরীক হতে বলে।
উপদলের অস্তিত্ব বজায় রেখে মার্কসবাদীরা কোন ঐক্য করে না। মার্কসবাদী-লেনিনবাদী আন্তরিক বিপ্লবীরা মার্কসবাদ-লেনিনবাদ-মাওসেতুঙ চিন্তাধারা এবং পূর্ববাংলার বিপ্লবের বিশেষ অনুশীলনে তার প্রয়োগের ভিত্তিতে সর্বহারা শ্রেণীর রাজনৈতিক পার্টিতে সাংগঠনিকভাবে যোগদান করে ঐক্যবদ্ধ হয়। এ নীতির ভিত্তিতে পূর্ববাংলার সর্বহারা পার্টি সর্বদাই বৈঠকে বসতে এবং ঐক্যবদ্ধ হতে প্রস্তুত।
কিন্তু উপদলের অস্তিত্ব বজায় রেখে ঐক্য প্রতিষ্ঠা মার্কসবাদ বিরোধী বলে পূর্ববাংলার সর্বহারা পার্টি এ ধরনের ঐক্যে শরিক হতে পারে না।
পূর্ববাংলার দেশপ্রেমিক জনগনের উদ্দেশ্যে জাতীয় মুক্তি ফ্রন্ট গঠনের আহবান সহ একটি কর্মসুচি প্রণয়ন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
• সভায় সামরিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে নিম্নলিখিত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ঘাঁটি এলাকা গঠনের লক্ষ্য সামনে রেখে সমগ্র পূর্ববাংলা ব্যাপী জাতীয় শত্রু খতমের মাধ্যমে জাতীয় মুক্তির গেরিলা যুদ্ধ ছড়িয়ে দিতে হবে। এ উদ্দেশ্যে নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ পালন করতে হবেঃ
১) গ্রাম ও শহরে গোপনে কাজ বিকাশ করা।
২) প্রধানতঃ ক্ষেতমজুর-গরীব চাষীদের মধ্য থেকে গেরিলা সংগ্রহ করা। তাদেরকে পার্টি লাইনে শিক্ষা প্রদান করা যাতে পার্টির নেতৃত্ব গেরিলারা গ্রহণ করেন। অর্থাৎ বন্দুক যাতে পার্টির অধীন থাকে।
৩) বুদ্ধিজীবীদের পাঠচক্রে সংগঠিত করা, তাদের মাঝে উৎসাহীদের গেরিলা গ্রুপে নেওয়া।
৪) তিনটি বৃহৎ শৃংখলা ও মনোযোগ দেবার আটটি ধারা গেরিলারা অবশ্যই পালন করবেন।
৫) গেরিলারা যথাযথ অনুসন্ধান এবং পার্টি কমিটির অনুমতির ভিত্তিতে অপারেশন করবেন। দখলকৃত দ্রব্যাদি পার্টির নিকট জমা দিতে হবে।
৬) দেশীয় অস্ত্র, স্থানীয়ভাবে পাওয়া অস্ত্রও ব্যবহার করা যায়। তবে অপ্রয়োজনীয়ভাবে একটিও বুলেট নষ্ট করা কঠোরভাবে পরিহার করতে হবে।
৭) কাজ বিস্তৃত গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে দিতে হবে। আশেপাশের বাজার ও শহরসমূহেও কাজ সম্প্রসারিত করতে হবে। যাতে ঐ এলাকা শত্রু বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে না পারে।
৮) গেরিলা গ্রুপ বাড়িয়ে তুলতে হবে। গেরিলা গ্রুপে রাজনৈতিক কমিশার নিয়োগ করতে হবে।
এর পরবর্তী সমস্যাবলী সংগঠন কর্তৃক প্রকাশিত ‘বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে কয়েকটি দলিল’ অধ্যয়ন ও প্রয়োগ করতে হবে।
এর পরবর্তী সমস্যাবলীর জন্য সভাপতি মাওয়ের ‘জাপ বিরোধী গেরিলা যুদ্ধের রণনীতিগত সমস্যাবলী’ অধ্যয়ন ও পূর্ববাংলার বিশেষ অবস্থায় তা প্রয়োগ করতে হবে।
সভায় সকল সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।
পরিশিষ্ট-১
কেডার ইতিহাসের জন্য অতিরিক্ত তথ্য
আবেদনপত্র পূরন করার মাধ্যমে তথ্যাদি ছাড়াও নিম্নলিখিত অতিরিক্ত তথ্যাদি প্রয়োজন।
১) সামন্তবাদী শ্রেণী উদ্ভূত কিনা
২) একমার্তৃক না বহুমার্তৃক পরিবারে পালিত?
৩) ভ্রষ্ট জীবন যাপন করেছে কিনা?
[যৌন সংক্রান্ত, চুরি, ডাকাতি, খুন, বদমাইশি, নেশা, গ্যাংয়ের সাথে যুক্ত, দালালি, ঠিকাদারী (ছোট), ভিক্ষাবৃত্তি, গণিকাবৃত্তি, টাউটারী, চোরাকারবারী, ফটকাবাজী, প্রতারণা, ঘুষ গ্রহণ, তহবিল তসরূপ, জালিয়াতি, অপহরণ, গুণ্ডামি ইত্যাদি]
৪) দু’মুখো কিনা? মিথ্যা কথা বলে কিনা?
৫) অতীতে ষড়যন্ত্র চক্রান্ত করেছে কিনা, এর সাথে যুক্ত ছিল কিনা? প্রতারণা করেছে কিনা?
৬) উপদল গঠন, চক্র গঠন করেছে কিনা, বা এর সাথে যুক্ত ছিল কিনা?
৭) ব্যক্তিগত বা অন্য কোন কারণে পার্টির বা নেতৃত্বের প্রতি অসন্তুষ্ট কিনা? নেতৃত্বের লোভ, পদের লোভ, নাম-যশের লোভ, ক্ষমতার লোভে পার্টিতে যোগদান করেছে কিনা?
৮) দুর্গ গঠনের ইতিহাস রয়েছে কিনা? ব্যক্তিগত স্বার্থকে বিপ্লবের স্বার্থের বশে রাখতে ইচ্ছুক কিনা?
৯) সমালোচনা-আত্মসমালোচনা, বিশেষ করে আত্মসমালোচনা করে কিনা? মুক্তমন কিনা?
১০) তার চাইতে স্বতন্ত্র মত পোষণকারী বিরোধিতা করেছিল কিন্তু ভুল প্রমাণিত হয়েছিল এরূপ লোকের সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক কিনা?
১১) শৃংখলা পালন করে কিনা?
১২) পার্টির অভ্যন্তরে বা বাইরে কারো সাথে ব্যক্তিগত প্রেম আছে কিনা? থাকলে তার সম্পর্কিত তথ্যাবলী।
১৩) আত্মপ্রচারবাদ, হামবড়াভাব রয়েছে কিনা?
১৪) যৌথ জীবন যাপনে সক্ষম কিনা?
পরিশিষ্ট-২
হিসেবের ফর্ম
আয় ও খরচ সংক্রান্ত হিসেব নিম্নলিখিত শিরোনামায় পেশ করতে হবে।
হিসেবের সময় কাল………………
জমা খরচ
১। উপরের স্তর বা কেন্দ্র প্রদত্ত ১। উপরের স্তর বা কেন্দ্রকে প্রদত্ত
………………………………… …………………………………..
২। সহানুভুতিশীল………… ২। প্রেস ও প্রচার………
৩। কর্মীদের চাঁদা……… ৩। সার্বক্ষণিক কর্মীদের মোট খরচ………
৪। অপারেশন……… ক) খাওয়া-দাওয়া………
৫। অন্যান্য………… খ) যোগাযোগ………
…………………… গ) চিকিৎসা……..
…………… ঘ) কাপড়-চোপড়………
ঙ) বাসস্থান………
চ) অন্যান্য………
প্রত্যেক আঞ্চলিক কমিটি নিজের ও নিম্নস্তরের হিসেব পরীক্ষা করে অনুমোদন করবে। হিসেবের তারিখ ও মাধ্যম উল্লেখ করতে হবে।
হিসেব প্রদানকারীর স্বাক্ষর……………
সাংগঠনিক পরিচয়…………
তারিখ………■