আন্তর্জাতিক যৌথ বিবৃতিঃ কমিউনিস্টদের আন্তর্জাতিক ঐক্য দাবী করে মার্কসবাদ-লেনিনবাদ-মাওবাদ রক্ষায় দৃঢ়তা!

যৌথ বিবৃতি

কমিউনিস্টদের আন্তর্জাতিক ঐক্য দাবী করে মার্কসবাদ-লেনিনবাদ-মাওবাদ রক্ষায় দৃঢ়তা!

Maengleninstalinmaobig

চলমান বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকট দেখায় পুঁজিবাদী ব্যবস্থার বাতিল হওয়া, যার যন্ত্রনাদায়ক ও  পঁচনশীল স্তর বর্তমান সাম্রাজ্যবাদী পর্ব হচ্ছে পুঁজিবাদের ঐতিহাসিক অস্তিত্বের উচ্চতম ও সর্বশেষ স্তর, যার পরেই আসবে বিশ্ব সর্বহারা বিপ্লব ও সমাজতন্ত্র, যা হচ্ছে সাম্যবাদী সমাজের প্রথম পর্ব।

অর্থনৈতিক সংকট বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদের সকল দ্বন্দ্বসমূহকেই শুধু প্রবলই করেনি বরং অভূতপূর্ব বেশি সামাজিক উৎপাদন আর  অভূতপূর্ব বেশি ব্যক্তিগত ভোগ, এই দুইয়ের মধ্যে মৌলিক দ্বন্দ্বের মধ্যে চরম বৈরিতাও প্রকাশ করেছে।

এরকম বৈরিতা হচ্ছে সকল জাতি, দেশ ও নিপীড়িত জনগণের তাদের উপরকার অত্যাচারীদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের গভীর কারণ, আজকের যার সামনের সারিতে এগিয়ে চলছে ভারত, তুরস্ক ও ফিলিপাইনের বীরত্বব্যাঞ্জক গণযুদ্ধ এবং পেরুতে গণযুদ্ধকে পুনর্গঠনে বিরাট প্রচেষ্টা। এটা হচ্ছে সকল দেশের মজুরী দাস ও মেহনতি জনগনের অব্যাহত সংগ্রামের গভীর কারণ। আর এটাই হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলির বুর্জোয়াদের আতংকের কারণ, যারা গণবিধ্বংসী অস্ত্রের বিপদ তৈরি করে তাদের মুখোশ উন্মোচন করেছে, এই অস্ত্রগুলো তারা ব্যাপকভাবে তৈরি করছে, প্রতিক্রিয়াশীল যুদ্ধকে এগিয়ে নিচ্ছে এবং মদদ দিচ্ছে। এবং একটা নতুন বিশ্বযুদ্ধের জন্য নিজেদেরকে অস্ত্র সজ্জিত ও পুনসজ্জিত করছে। বিপ্লবের মোকাবেলায় সকল প্রতিক্রিয়াশীলদের এখানেই ভয়, যারা নিপীড়িতদের ন্যায়সঙ্গত যুদ্ধকে নিন্দা করছে, ম্যান্ডেলার মত দাসসুলভ শান্তিবাদীদের প্রশংসা করছে, শোষক এবং শোষিতের মধ্যে শান্তির কথা বলছে, নিপীড়ক ও নিপীড়িতের মধ্যে সহাবস্থানের কথা বলছে, যাকে অনুসরণ করছে একুশ শতকের বুর্জোয়া সমাজতন্ত্রের ভন্ডামীপূর্ণ প্রচারণা, এবং সেই ভূয়া কমিউনিস্টরা যারা অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়ার জন্য অনুশোচনারত অবস্থায় বুর্জোয়া ভূস্বামী ও সাম্রাজ্যবাদীদের সাহায্যের জন্যও দৌঁড়ে যায় দাসসুলভ “শান্তি আলোচনা”র বিনিময়ে বিপ্লবকে বিক্রি করতে।

বিশ্ববিপ্লবের বস্তুগত পরিস্থিতি চমৎকার, কিন্তু আমাদের বিরাটতম বাঁধা টপকে যাওয়া বাকী রয়ে গেছে, সেটা হল কমিউনিস্টদের আন্তর্জাতিক ঐক্য, যার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে প্রধান বিপদ সংশোধনবাদীরা, মার্কসবাদ-লেনিনবাদ-মাওবাদের বিরুদ্ধে লাল পতাকা উড়ায়।

চেয়ারম্যান মাওয়ের ১২০তম জন্ম বার্ষিকী হচ্ছে সেই সময় যখন বিলুপ্ত আন্তর্জাতিকতাবাদী আন্দোলনের সঠিক বিবৃতি মার্কসবাদ-লেনিনবাদ-মাওবাদ জিন্দাবাদ! কে ঊর্ধ্বে তুলে ধরা, যেটা রিম কর্তৃক ঘোষিত হয়েছিল ২০ বছর আগে ডিসেম্বর ২৬ ১৯৯৩-এ এবং এর রক্ষায় আমাদেরকে প্রকাশ্যে দৃঢ়তার সাথে দাঁড়াতে হবে। রিম সংশোধনবাদ কর্তৃক ধ্বংস হয়েছে, কিন্তু ঘোষণার লাইন ধ্বংস হয়নি, যা মাওবাদকে মার্কসবাদ-লেনিনবাদের অখণ্ড বিকাশ হিসেবে এক নতুন, তৃতীয় ও উচ্চতর স্তর মার্কসবাদ-লেনিনবাদ-মাওবাদে উন্নীত করেছে।

আজকে আমরা ক্ষমতার প্রশ্নে গুরুত্বারোপ করি, মার্কসবাদের তিনস্তরের বিকাশের রাজনৈতিক পরিচালনাকারী দিকনির্দেশ, যা সভাপতি মাও পাণ্ডিত্যপূর্ণ বাক্যে সারসংকলিত করেছেন যে, বন্দুকের নল থেকেই রাজনৈতিক ক্ষমতা বেড়িয়ে আসে। আর এটাই হচ্ছে অন্য সকল ধরণের বিকৃত মার্কসবাদের সাথে পার্থক্যরেখা। এটা মার্কসবাদ-লেনিনবাদ-মাওবাদের রক্ষায় সত্যিকার ও মূর্ত লাইন সহিংসতাকে ইতিহাসে ধাত্রী হিসেবে স্বীকার করাকে ভিত্তি করে, এবং জনগণের সশস্ত্র সংগ্রামে, বিশ্ব সর্বহারা বিপ্লবের অনিবার্য পথে, মাওবাদ কর্তৃক আন্তর্জাতিক সর্বহারার সামরিক লাইনে বিকশিত ও মূর্ত হয় গণযুদ্ধ এর শক্তিশালী তত্ত্ব ও অনুশীলনে, যা হচ্ছে রাজনৈতিক সংগ্রামের অন্য উপায়ে উচ্চতর রূপ ও ধারাবাহিকতা, যা কিনা ক্ষমতা দখলকে সেবা করে, উভয়ত সাম্রাজ্যবাদী ও নিপীড়িত দেশে, যেখানে উভয় ক্ষেত্রেই মাওবাদ তত্ত্ব ও অনুশীলনে বিকশিত হয়েছে, আধা সামন্তবাদী আধা উপনিবেশিক দেশগুলিতে বিশ্ব সর্বহারা বিপ্লবের অংশ হিসেবে নয়াগণতান্ত্রিক বিপ্লব, কিভাবে একটা নতুন চরিত্রের গণতান্ত্রিক বিপ্লব সর্বহারা শ্রেণী কর্তৃক পরিচালিত হয়, যে জনগণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হচ্ছে সর্বহারা একনায়কত্বের একটা ধরণ, এ লাইন হচ্ছে সেই পঁচা সংশোধনবাদী “শান্তি আলোচনা” তত্ত্বের পরিস্কারভাবে বিবৃত মূর্ত ও পুরোপুরি বিপরীত। ঐ সংশোধনবাদী তত্ত্বটা এই শতকে মার্কসবাদ-লেনিনবাদ-মাওবাদের পক্ষে পুনরায় তুলে ধরা হচ্ছে “শান্তি আলোচনা” কে ন্যয্য করার জন্য, যা কিনা সাম্রাজ্যবাদী, বুর্জোয়া ও ভূস্বামীদের দাবী ও প্রয়োজন। প্রকৃত সুবিধাবাদ মার্কসবাদের বিপ্লবী ধারকে ভোঁতা করে দেয় শ্রেণীশত্রুদের কাছে একে গ্রহণযোগ্য করার জন্য। এর পরাজয় কমিউনিস্টদের আন্তর্জাতিক ঐক্যের জন্য খুবই দরকার।

ফলতঃ মার্কসবাদ-লেনিনবাদ-মাওবাদের রক্ষার জন্য প্রয়োজন হচ্ছে শ্রেণী সংগ্রামকে স্বীকৃতি দেওয়া থেকে আরো এগিয়ে যাওয়া, গণযুদ্ধের পথে ক্ষমতা দখলে এগিয়ে যাওয়া। দ্বিধাহীনভাবে একে গ্রহণ ও রক্ষা করা প্রয়োজন যে শ্রেণীসংগ্রামের অনিবার্য পরিণতি হচ্ছে সর্বহারা একনায়কত্ব, যা হচ্ছে একটা শ্রেণীহীন সমাজের পথে সকল শ্রেণীর বিলোপের উৎক্রমণ পর্ব, মার্কসবাদ-লেনিনবাদের বিকাশ হিসেবে মাওবাদ মূর্ত হয়েছে মহান সর্বহারা সাংস্কৃতিক বিপ্লবের শিখরে সর্বহারা একনায়কত্বের তত্ত্ব ও অনুশীলনেঃ সর্বহারা একনায়কত্বের অধীনে বিপ্লবকে অব্যাহত রাখা।

মার্কসবাদ-লেনিনবাদের বিকাশ মাওবাদই তত্ত্ব ও অনুশীলনে সমাজতান্ত্রিক সমাজে শ্রেণী সংগ্রামের নিয়ম সম্পর্কে বিশ্ব সর্বহারার উপলব্ধিকে উত্থাপন করেছে উৎপাদিকা শক্তির ভূমিকা সংক্রান্ত যান্ত্রিক ধারণার বিরুদ্ধে এবং সামরিক প্রবণতার বিরুদ্ধে, সর্বহারা ও বুর্জোয়ার প্রধান দ্বন্দ্বকে মূর্ত করে যা কিনা উৎপাদনে বিপ্লবের নেতৃত্বকারী ভূমিকা, এবং বন্দুকের উপর পার্টির নিয়ন্ত্রণকে প্রতিষ্ঠা করেছে।

কিন্তু আজকে সংশোধনবাদী প্রচণ্ড ও এভাকিয়ান সর্বহারা একনায়কত্বকে এক ঐতিহাসিক ভ্রান্তি দাবি করে, এটা যে মার্কসবাদ-লেনিনবাদ-মাওবাদের পরশপাথর এরা তা অস্বীকার করে, একে সংশোধন করার জন্য ডাক দেয় “ভিন্নমতের অধিকার” এবং  “বহুদলীয় গণতন্ত্র”র বুর্জোয়া তত্ত্ব দ্বারা অপসারিত শ্রেণীসমূহকে পুনসংগঠিত করার ও সমাজতন্ত্রের অধীনে রাষ্ট্রীয় ব্যাপারে তাদের অংশগ্রহণের অধিকারের জন্য জিদ ধরে, তারা সমাজতন্ত্রে সর্বহারা একনায়কত্বের শক্তিকে ভেঙে দেওয়ার ডাক দেয়, এভাবে সাম্যবাদের দিকে উৎক্রমণ পর্বে শ্রেণীসমূহের অস্তিত্ব ও আপোষহীন সংগ্রামের প্রশ্নকে মুছে দেয়, মার্কসবাদ-লেনিনবাদ-মাওবাদের বিকাশ হিসেবে তুলে ধরা এ সকল তত্ত্ব হচ্ছে বিপ্লবী মার্কসবাদের ধ্রুপদী  পুরোনো সুবিধাবাদী ও সংশোধনবাদী বিকৃতি। এটা নিচের উদ্ধৃতিসমূহের বিপরীতে নিজেকে তুলে ধরেঃ

“যদি বুর্জোয়া মতাদর্শকে বেপরোয়াভাবে চলতে দেয়ার অনুমতি দেওয়া হয় তা হলে সর্বহারা একনায়কত্ব হয়ে দাঁড়াবে বুর্জোয়া একনায়কত্ব, সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা হবে একটা পুঁজিবাদী ব্যবস্থা অথবা আধা উপনিবেশিক আধা সামন্তবাদী ব্যবস্থায় পরিণত হবে। আমাদের অবশ্যই এ সকল লোকদের চিৎকার করে বলতে হবেঃ কমরেডগণ! শত্রু তার তরবারীতে শান দিচ্ছে, সে আমাদের মাথা কেটে ফেলতে চায়, সে আমাদের রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করতে চায়, এটা কেমন কথা যে আপনারা এটা দেখছেন শুনছেন কিন্তু কোন গুরুত্ব দিচ্ছেন না? রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল ও সংহতকরণ উভয়ই নির্ভর করে কলম ও সেই সাথে বন্দুকের উপর।” [‘মহান সর্বহারা সাংস্কৃতিক বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক!’ – হংকি, সম্পাদকীয় ৮, ১৯৬৬]

“আমাদের রাষ্ট্র হচ্ছে শ্রমিক শ্রেণীর নেতৃত্বে এবং কৃষক-শ্রমিক মৈত্রির ভিত্তিতে জনগণের গণতান্ত্রিক একনায়কত্ব। কেন এ একনায়কত্ব? এর প্রথম কার্যকারিতা হচ্ছে অভ্যন্তরীণ, যেমন, প্রতিক্রিয়াশীল শ্রেণীসমূহকে এবং সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবকে প্রতিরোধকারী উপাদান ও শোষকদের দমন করা, তাদের দমন করা যারা আমাদের সমাজতান্ত্রিক পুনর্গঠনকে বাঁধাগ্রস্থ করে, অন্য কথায়, আমাদের এবং আভ্যন্তরীন শত্রুদের মধ্যেকার দ্বন্দ্বকে সমাধা করা।” [মাও সেতুঙ, জনগণের মধ্যকার দ্বন্দ্বের মিমাংসা সম্পর্কে]

“বুর্জোয়া শ্রেণীর উপর সর্বহারা শ্রেণীর বিজয় অসম্ভব একটা দীর্ঘ মরিয়া জীবন মরণ সংগ্রাম ব্যতিত, যা দাবী করে অক্লান্ত শৃংখলা এবং একরোখা ও অনমনীয় ইচ্ছাশক্তি।” [লেনিন, বামপন্থী কমিউনিজমের বাল্যব্যাধি]

“পুঁজিবাদকে পরাজিত ও অপসারিত করা সম্ভব নয় শোষকদের প্রতিরোধকে নির্মমভাবে দমন করা ব্যতিত, যে শোষকেরা এক মুহুর্তের জন্যও তাদের সম্পদ, তাদের সংগঠন ও জ্ঞানের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে চায়না, এবং ফলতঃ বেশ একটা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত অনিবার্যভাবে চেষ্টা চালাবে গরিবের ঘৃণিত শাসনকে উচ্ছেদ করতে।” [ লেনিন, সোভিয়েত সরকারের আশু কর্মসূচি]

সভাপতি মাওসেতুঙের সম্মানে ও স্মরণে, যিনি সর্বহারা শ্রেণির মতাদর্শকে মার্কসবাদ-লেনিনবাদ-মাওবাদের শিখরে উন্নীত করেছেন, আমরা ঘোষণা করছিঃ

আমরা মার্কসবাদ-লেনিনবাদ-মাওবাদের প্রতি সংশোধনবাদী বিশ্বাসঘাতকতার বিরুদ্ধে, যে-বিশ্বাসঘাতকতা এভাকিয়ান ও তার “বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি” করে মার্কসবাদের উত্তর আধুনিক বিকাশের লেবেলের অধীনে, যেমন প্রচণ্ড, কিরন চক্র, নেপালে তাদের পার্টিসমূহ, “শান্তিপূর্ণ উত্তরণ” এর নয়া অনুসারিরা।

নেপালে বিশ্বাসঘাতকতাবাদী আলোচনার সহনশীল ও আপোষবাদী মধ্যপন্থা ও তাদের পার্টি “নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী)” ও তার যে-পার্টি লাইন ও কর্মসূচি সেদেশে প্রতিক্রিয়াশীল শ্রেণীসমূহের সাথে সহমত হওয়ার প্রতিশ্রুতির প্রতি বিশ্বস্ততা ঘোষণা করে আমরা তার বিরুদ্ধে।

আমরা মার্কসবাদ-লেনিনবাদ-মাওবাদের প্রতি দোদুল্যমানদের বিরুদ্ধে, যার মধ্যে “বাম” হল সমন্বয়বাদ যা “মাওবাদ” ব্যতিরেকে “মার্কসবাদ-লেনিনবাদ” এর কথা বলে, একটা অবস্থান যা গণযুদ্ধের রক্ষার সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ, এবং সর্বহারা একনায়কত্বের অধীনে বিপ্লবকে চালিয়ে যাওয়ার মহান সর্বহারা সাংস্কৃতিক বিপ্লব কর্তৃক শিক্ষা দেওয়া পথের সাথেও অসামঞ্জস্যপূর্ণ। মার্কসবাদের একটা নতুন তৃতীয় ও উচ্চতর স্তর “মার্কসবাদ-লেনিনবাদ ব্যতিরেকে মাওবাদ”, মাওবাদকে বাদ দেওয়া অথবা মার্কসবাদ-লেনিনবাদের অখণ্ড সমগ্রের সাথে এর ঐক্যকে অস্বীকার করা হচ্ছে বর্তমান যুগের বিপ্লবী মার্কসবাদকে পরিত্যাগ করা।

এরকম লাইন ও প্রবণতাসমূহের বিরুদ্ধে আমরা দৃঢ়ভাবে দাঁড়াই সুবিধাবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধপতাকার অধীনে, যা তুলে ধরা হয়েছিল ১৯৯৩ সালেঃ মার্কসবাদ-লেনিনবাদ-মাওবাদ জিন্দাবাদ! দলিলেঃ “সার্বজনীনভাবে প্রযোজ্য, জীবন্ত এবং বৈজ্ঞানিক মতাদর্শ, অব্যাহতভাবে বিকাশমান যা সমৃদ্ধ হয় বিপ্লব করার অনুশীলনে তার প্রয়োগের মধ্য দিয়ে ও সাধারণভাবে মানব জ্ঞানের বিকাশের মধ্য দিয়ে। মার্কসবাদ-লেনিনবাদ-মাওবাদ হচ্ছে সকল ধরণের সংশোধনবাদের ও গোঁড়ামীবাদের শত্রু। এটা সর্বশক্তিমান, কারণ তা সত্য।

মার্কসবাদ-লেনিনবাদ-মাওবাদ হচ্ছে মার্কসবাদের বিপ্লবী বিকাশের একমাত্র লাইন যা কিনা বিশ্ব সর্বহারা বিপ্লবের বিজয়ের দিকে চালিত করতে পারে। কমিউনিস্টদের আন্তর্জাতিক ঐক্যের এটা হচ্ছে একমাত্র ভিত্তি।

সংশোধনবাদ, মধ্যপন্থা ও সকল ধরণের সুবিধাবাদের বিরুদ্ধে মার্কসবাদ-লেনিনবাদ-মাওবাদ জিন্দাবাদ!

মার্কসবাদ-লেনিনবাদ-মাওবাদের ভিত্তিতে এক নতুন কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিকের দিকে এগিয়ে চল!

২৬ ডিসেম্বর ২০১৩

আরব মাওবাদী

আফগানিস্তানের ওয়ার্কার্স অর্গানাইজেশন, মার্কসবাদী-লেনিনবাদী-মাওবাদী, প্রধানত মাওবাদী

ইকোয়েডরের কমিউনিস্ট পার্টি, লাল সূর্যhammerandsicle

কলম্বিয়ার কমিউনিস্ট ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন, মার্কসবাদী-লেনিনবাদী-মাওবাদী

কমিউনিস্ট পার্টি  মার্কসবাদী-লেনিনবাদী-মাওবাদী বাংলাদেশ

বেলজিয়ামের  মার্কসবাদী-লেনিনবাদী-মাওবাদী কমিউনিস্ট কেন্দ্র

পেরু সিআরপিএম পুনর্গঠন গ্রুপ, স্পেন

মানতারো লাল ঘাঁটি কমিটি, পেরু