সিরাজ সিকদার রচনাঃ শেখ মুজিব ও তাজুদ্দিনের নেতৃত্বে ভারতে গঠিত পূর্ববাংলার ‘জনগণের প্রজাতান্ত্রিক সরকার’ প্রসঙ্গে পূর্ববাংলা শ্রমিক আন্দোলন

সিরাজ সিকদার

সিরাজ সিকদার

 


পূর্ববাংলা শ্রমিক আন্দোলন কর্তৃক রচনা ও প্রকাশ ২০ এপ্রিল ১৯৭১

সিপিএমএলএম বাংলাদেশ কর্তৃক সর্বহারা পথ (www.sarbaharapath.com) এর অনলাইন প্রকাশনা ১৮ জানুয়ারি ২০১৩


 

পিডিএফ

 

পাকিস্তানী উপনিবেশিক শাসকগোষ্ঠী পূর্ববাংলার জনগণের জাতীয় সত্বাকে ধ্বংস করে এক স্থায়ী উপনিবেশে পরিণত করার জন্য তার ফ্যাসিবাদী সামরিক বাহিনী দ্বারা সবাইকে হত্যা করছে, সবকিছু পুড়িয়ে দিচ্ছে এবং সবকিছু লুট করছে। পূর্ববাংলার বীর জনগণ এই চরম ফ্যাসিবাদী বর্বরতার নিকট আত্মসমর্পন না করে বীরত্বের সাথে প্রতিরোধ সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের নিকট স্বাধীনতার চাইতে প্রিয় আর কিছুই নাই। এর জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে তারা প্রস্তুত।

পাকিস্তানী উপনিবেশিক শাসকগোষ্ঠী ফ্যাসিবাদী হামলা পরিচালনা করার যখন পায়তারা করছিল তখন পূর্ববাংলা শ্রমিক আন্দোলন ২রা মার্চ শেখ মুজিব ও আওয়ামী লীগের নিকট একটি খোলা চিঠি প্রেরণ করে। এতে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে উল্লেখ ছিলঃ

* পূর্ববাংলাকে পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন, মুক্ত ও স্বাধীন করা ব্যতীত ছয় দফা বাস্তবায়িত করা সম্ভব নয়। পূর্ববাংলাকে পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন, মুক্ত ও স্বাধীন করা সম্ভব পাকিস্তানী উপনিবেশিক শাসকগোষ্ঠীর সৈন্যবাহিনীকে পূর্ববাংলার ভূমিতে পরাজিত ও ধ্বংস করে তার রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করার মাধ্যমে।

* মিটিং-মিছিল-অহিংস অসহযোগের ভুল পথ পরিত্যাগ করে দীর্ঘস্থায়ী গণযুদ্ধের পথ গ্রহণ করে স্বাধীন সার্বভৌম পূর্ববাংলার প্রজাতান্ত্রিক সরকার ঘোষণা করা এবং পূর্ববাংলার প্রকাশ্য, গোপনে কার্যরত সকল দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক পার্টি, গোষ্ঠী, ব্যক্তি, ধর্মীয়-ভাষাগত ও উপজাতীয় সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধি সমন্বয়ে পূর্ববাংলার প্রজাতন্ত্রের অস্থায়ী বিপ্লবী কোয়ালিশন সরকার গঠন করা।

* এ সরকার পূর্ববাংলাব্যাপী কায়েম করার জন্য সংগ্রামের উদ্দেশ্যে প্রকাশ্য ও গোপনে কর্মরত পূর্ববাংলার সকল দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক পার্টি, গোষ্ঠী, ব্যক্তি, ধর্মীয়-ভাষাগত-উপজাতীয় সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধি সমন্বয়ে একটি জাতীয় মুক্তি ফ্রন্ট স্থাপন করা। এই সাথে পূর্ববাংলার সরকারের সর্বনিম্ন কতকগুলি সুনির্দিষ্ট কর্মনীতির কথা উল্লেখ করা হয়। শেখ মুজিব ও আওয়ামী লীগ পূর্ববাংলা শ্রমিক আন্দোলনের প্রস্তাব অগ্রাহ্য করে, অহিংস অসহযোগের ভুল পথে লেগে থাকে, স্বাধীনতা ঘোষণা, সরকার গঠন ও মুক্তিফ্রন্ট গঠনে বিরত থাকে। এভাবে জনসাধারণকে তারা ফ্যাসিবাদী হামলার মুখে সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত ও নেতৃত্বহীন করে রাখে।

পাকিস্তানের উপনিবেশিক শাসকগোষ্ঠী জনসাধারণের ওপর পূর্ণ সামরিক শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং হত্যা ও ধ্বংসলীলা শুরু করে। লক্ষ লক্ষ নিরস্ত্র-নিরপরাধ জনসাধারণ নিহত হয়, আহত হয় ও প্রাণভয়ে সর্বস্ব পরিত্যাগ করে গ্রামে যেতে বাধ্য হয়। তবুও তারা অসীম আত্মত্যাগ ও বীরত্বের সাথে প্রায় নিরস্ত্রভাবে প্রতিরোধ সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে, রক্তের ঋণ তারা তুলবেই।

এ পর্যায়ে শেখ মুজিব ও তাজুদ্দীনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একক সরকার গঠনের কথা ভারতের বেতারে শোনা যায়।

পূর্ববাংলার জনগণ ও পূর্ববাংলা শ্রমিক আন্দোলন মনে করে, পূর্ববাংলার জনগণের স্বার্থের সত্যিকার প্রতিনিধিত্বকারী সরকারের নিম্নলিখিত সর্বনিম্ন সুনির্দিষ্ট নীতিসমূহ পালন করতে হবে।

* এই সরকার অবশ্যই একটি কোয়ালিশন সরকার হবে যেখানে সংগ্রামরত পূর্ববাংলার বিভিন্ন প্রকাশ্য ও গোপনে কার্যরত দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক পার্টি, গোষ্ঠী, ব্যক্তি, ধর্মীয়-ভাষাগত-উপজাতীয় সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্ব থাকবে।

* পূর্ববাংলার সর্বস্তরে এ সরকার স্থাপনের নিমিত্ত পূর্ববাংলার সর্বস্তরের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে সংগ্রামের পরিচালনা ও নেতৃত্ব প্রদানের জন্য পারস্পরিক স্বাধীনতা ও স্বাতন্ত্র্যতার ভিত্তিতে একটি জাতীয় মুক্তিফ্রন্ট স্থাপন করা; এতে সংগ্রামরত পূর্ববাংলার সকল প্রকাশ্য ও গোপনে কার্যত দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক পার্টি, গোষ্ঠী, ব্যক্তি, ধর্মীয়-ভাষাগত ও উপজাতীয় সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধি গ্রহণ করা।

* এ সরকার ও মুক্তিফ্রন্ট কর্তৃক পূর্ববাংলার পরিপূর্ণ মুক্তির জন্য গণযুদ্ধের পথ গ্রহণ করা ও তাতে শেষ পর্যন্ত লেগে থাকা।

বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এ সরকার ও মুক্তিফ্রন্ট নিম্নলিখিত সর্বনিম্ন নীতিসমূহ পালন করবেঃ

— ভারতসহ অন্যান্য দেশের সাথে সম্পর্ক স্থাপিত হবে পরস্পরের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌত্বের প্রতি সম্মান প্রদর্শন, পরস্পর অনাক্রমণ, পরস্পরের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা, সমতা ও পারস্পরিক সহায়তা এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পঞ্চশীলা নীতির ভিত্তিতে।

— পূর্ববাংলার মুক্তির জন্য পূর্ববাংলার সাড়ে সাত কোটি জনসাধারণের ওপর নির্ভর করা। ভারত, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ, সোভিয়েত সামাজিক সাম্রাজ্যবাদ বা অন্য কোন দেশের সৈন্য, সশস্ত্র ব্যক্তিকে পূর্ববাংলার মুক্তির সহায়তার নামে পূর্ববাংলার ভূমিতে প্রবেশ করতে অনুমতি প্রদান না করা। এর বিরোধিতা করা। তাদের বেসামরিক বা সামরিক ব্যক্তির পূর্ববাংলার মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে কোনো সাহায্য গ্রহণ না করা, তাদের হস্তক্ষেপ বিরোধিতা করা।

— পশ্চিমবাংলার সাথে সংযুক্ত হয়ে যুক্তবাংলা স্থাপন বা ভারতের সাথে ফেডারেশন স্থাপনের বিরোধিতা করা।

— ভারত, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের নেতৃত্বে সাম্রাজ্যবাদের, সোভিয়েত সামাজিক সাম্রাজ্যবাদের বা অন্য কোনো দেশের সাথে কোন প্রকার সামরিক জোট স্থাপন না করা, এদেরকে বিশেষ সুবিধা প্রদানের প্রতিশ্রুতি প্রদান না করা, এ সকলের বিরোধীতা করা।

— এদেরকে পূর্ববাংলায় কোনো প্রকার সামরিক ঘাঁটি স্থাপন এবং কোনো প্রকার সামরিক তৎপরতায় পূর্ববাংলার ভূমি ব্যবহারের বিরোধীতা করা।

— পূর্ববাংলায় সরকারের কার্য পরিচালনায় এবং নীতি নির্ধারণে ভারত, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বা অন্য কোনো দেশের কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ বা প্রভাবের বিরোধীতা করা।

পূর্ববাংলার মুক্তির বিষয়ে শর্তহীনভাবে সকল প্রকার বৈদেশিক সাহায্য গ্রহণ করা। কিন্তু শর্তযুক্ত বা উদ্দেশ্য প্রণোদিত সকল প্রকার সাহায্য প্রত্যাখ্যান করা ও তার বিরোধীতা করা।

ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া, প্যালেস্টাইনসহ পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের নিপীড়িত জাতি, দেশ ও জনগণের সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী মুক্তি সংগ্রাম এবং সামাজিক অগ্রগতির সংগ্রামকে সমর্থন করা এবং সহায়তা করা।

এ সরকার ও মুক্তিফ্রন্ট দেশের আভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত সর্বনিম্ন নীতিসমূহ পালন করবেঃ

— গণতান্ত্রিক কেন্দ্রীকতা এবং জনগণ থেকে আসা ও জনগনের নিকট নিয়ে যাওয়ার ভিত্তিতে রাষ্ট্রব্যবস্থা পরিচালনা করা।

— পাকিস্তানের উপনিবেশিক শাসকগোষ্ঠীর সরকারী ও বেসরকারী সমস্ত পুঁজি ও প্রতিষ্ঠান বাজেয়াপ্ত করা।

— ব্যক্তিগত জাতীয় পুঁজি রক্ষা করা।

— পূর্ববাংলার আমলাতান্ত্রিক পুঁজি (একচেটিয়া, ব্যবসা, ব্যাংক, বীমা ও কারখানা) বাজেয়াপ্ত করা।

— মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও সোভিয়েত ইউনিয়নের পূর্ববাংলাস্থ সকল পুঁজি ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা, তাদের  ঋণ পরিশোধ বন্ধ করা।

— পর্যায়ক্রমে ভূমি ব্যবস্থার সংস্কার করে যে জমি চাষ করে তার হাতে জমি প্রদান করা।

— শ্রমিকের আট ঘন্টা সময়সীমা নির্ধারণ করা এবং তাদের ন্যায্য অধিকার সংরক্ষণ করা।

— দেশপ্রেমিক প্রতিটি রাজনৈতিক পার্টি, গোষ্ঠী, ব্যক্তি বা সংগঠনের কার্য পরিচালনার অবাধ অধিকার প্রদান করা। তাদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তৎপরতা, গ্রেফতার ও বিনা বিচারে বন্দী রাখার পদ্ধতির বিরোধীতা করা।

উপরোক্ত সর্বনিম্ন নীতিসমূহের অন্তর্ভূক্তি ব্যতীত কোনো সরকার বা সংস্থা পূর্ববাংলার জনগণের সত্যিকার রাজনৈতিক মুক্তি আনয়ন করতে পারেনা। উপরন্তু এসকল বিষয় ব্যতীত মুক্তি সংগ্রাম হবে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের নেতৃত্বে সাম্রাজ্যবাদের, সোভিয়েত সামাজিক সাম্রাজ্যবাদের ও ভারতীয় সম্প্রসারণবাদের ষড়যন্ত্রে পরিচালিত প্রতিবিপ্লবী সংগ্রাম এবং এর চূড়ান্ত পরিণতি হিসেবে পূর্ববাংলা হবে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের নেতৃত্বে সাম্রাজ্যবাদের, সোভিয়েত সামাজিক সাম্রাজ্যবাদের ও ভারতীয় সম্প্রসারণবাদের উপনিবেশ এবং এ সরকার হবে পুতুল সরকার।

পূর্ববাংলার জনগণ এক উপনিবেশিক শোষণের পরিবর্তে অপর এক উপনিবেশিক শোষণের জালে আবদ্ধ হতে চায়না।

কাজেই উপরোক্ত শর্তসমূহ ব্যতীত পূর্ববাংলা শ্রমিক আন্দোলন শেখ মুজিব ও তাজুদ্দীনের নেতৃত্বে গঠিত সরকারকে সমর্থন করেনা এবং এ সরকার বাস্তবায়নে কোনো প্রকার সহযোগিতা বা সংগ্রাম করে না। উপরোক্ত শর্তসমূহ ব্যতীত এ সরকারকে পুর্ববাংলার জনগণ ও পুর্ববাংলা শ্রমিক আন্দোলন মনে করে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের নেতৃত্বে সাম্রাজ্যবাদের, সোভিয়েত সামাজিক সাম্রাজ্যবাদের ও ভারতীয় সম্প্রসারণবাদের ষড়যন্ত্রের ফল, যার উদ্দেশ্য হলো পূর্ববাংলাকে উপনিবেশে পরিণত করা, একে লুন্ঠন ও শোষণ করা। পূর্ববাংলার জনগণ ও পূর্ববাংলা শ্রমিক আন্দোলন একে বিরোধীতা করে।

পূর্ববাংলার সকল দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক পার্টি, গোষ্ঠী, ব্যক্তি, ধর্মীয়, ভাষাগত এবং উপজাতীয় সংখ্যালঘু এবং আওয়ামী লীগের সত্যিকার দেশপ্রেমিকদের প্রতি পূর্ববাংলা শ্রমিক আন্দোলন আহ্বান জানাচ্ছে উপরোক্ত সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ অন্তর্ভুক্ত করে একটি কর্মসূচীর ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতীয় মুক্তিফ্রন্ট গঠন করুন, পূর্ববাংলার স্বাধীনতা, মুক্তি ও গণতন্ত্রের গণযুদ্ধে লেগে থাকুন, স্বাধীন, গণতান্ত্রিক, শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ, প্রগতিশীল পূর্ববাংলার প্রজাতন্ত্র কায়েম করুন।

 

পূর্ববাংলার পরিস্থিতি সম্পর্কে কয়েকটি পয়েন্ট

১। পাকিস্তানের ফ্যাসিবাদী উপনিবেশিক সামরিক চক্রের ধ্বংস অবশ্যম্ভাবী।

২। শেখ মুজিব ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পরিচালিত পূর্ববাংলার জাতীয় সংগ্রাম প্রগতিশীল নয়। এ কারণে পূর্ববাংলা ও বিশ্বের সর্বহারারা ইহা সমর্থন করেনা (থিসিস দ্রষ্ট্রব্য)।

৩। শেখ মুজিব ও তার সমর্থকদের স্বতস্ফুর্ত প্রতিরোধ পূর্ববাংলাকে মুক্ত করতে পারবে না।

৪। ভারতীয় প্রতিক্রিয়াশীলদের এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের নেতৃত্বে সাম্রাজ্যবাদের ও সোভিয়েত সামাজিক সাম্রাজ্যবাদের সমর্থন ও সহায়তায় পূর্ববাংলার সত্যিকার মুক্তি আসতে পারে না, আসতে পারে নতুন শৃংখল ও পরাধীনতা।

৫। পূর্ববাংলার জাতীয় মুক্তি একমাত্র শ্রমিক শ্রেণীর নেতৃত্বে অর্জিত হবে।

৬। দীর্ঘস্থায়ী গণযুদ্ধের পথ পূর্ববাংলার মুক্তির পথ।

৭। রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল কর। জাতীয় শত্রু খতম কর।

৮। পূর্ববাংলার সর্বহারা বিপ্লবী ও জনগণকে পূর্ববাংলা শ্রমিক আন্দোলনের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ কর।

৯। পূর্ববাংলা শ্রমিক আন্দোলনের রাজনৈতিক লাইন সঠিক।■