পূর্ববাংলার সর্বহারা পার্টি মাওবাদী বলশেভিক পুনর্গঠন আন্দোলনের প্রধান নেতা কমরেড মোহাম্মদ শাহীন ওরফে নিজামুদ্দিন মতিনের মৃত্য়ু

পূর্ববাংলার সর্বহারা পার্টি মাওবাদী বলশেভিক পুনর্গঠন আন্দোলনের প্রধান নেতা কমরেড মোহাম্মদ শাহীন ওরফে নিজামুদ্দিন মতিন ১১ আগষ্ট ২০১৯ মৃত্যু বরণ করেছেন। তিনি দীর্ঘকাল জটিল রোগে ভুগেছেন। তিনি বাংলাদশের সর্বহারা সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনে একজন ঐতিহাসিক শীর্ষ নেতা ছিলেন। সিরাজ সিকদারের পরেই যাদের নাম আসে তাদের মধ্য়ে তিনি নিজ স্বকীয়তায় অনন্য। ১৯৬৯ সালে তিনি পূর্ববাংলা শ্রমিক আন্দোলনে যোগ দেন। এই সংগঠনের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ এ পূর্ববাংলার সর্বহারা পার্টি প্রতিষ্ঠায়, জাতীয় মুক্তিযুদ্ধ গড়ে তোলায়, ঘাঁটি গড়ে তোলায়, ৭২-৭৫ সংগ্রামে গনযুদ্ধ গড়ে তোলা ও ঘাঁটি গড়ে তোলায় সিরাজ সিকদারের পরে তিনি ছিলেন একজন। তিনি সভাপতি সিরাজ সিকদারের ১নং সামরিক সাহায্য়কারী ছিলেন। সভাপতি শহীদ হওযার পর তিনি পার্টির

কমরেড মোহাম্মদ শাহীন

কমরেড মোহাম্মদ শাহীন

অস্থায়ী সর্বোচ্চ সংস্থা অসস এর প্রধান নেতা ছিলেন। তারপর তিনি গ্রেফতার হন। ১৯৮০ সালে দেশব্যাপী জেলবন্দীদের বিদ্রোহে তিনি নেতৃত্ব দেন। দশ বছর জেল খেটে কমরেড আনোয়ার কবীরের নেতৃত্বের অধীনে পূবাসপার কেন্দ্রীয় সদস্য় নির্বাচিত হন। অতপর পার্টির আরেক বৃহত উত্থানের অন্যতম নেতা ছিলেন তিনি। ১৯৮০ দশকের শেষে পূবাসপা রাষ্ট্রীয় দমনে বিপর্যস্থ হলে পার্টিতে এক বিরাট দুই লাইনের সংগ্রাম উত্থিত হয় আর কেন্দ্র থেকে সমগ্র পার্টিব্য়াপী তা ছড়িয়ে পড়ে। এ দুলাসে ক..মতিনের লাইন ক এর লাইন নামে অভিহিত হয়। তার মত ছিল এই যে পার্টির নেতা ক. আনোয়র কবীরের লাইন বিপ্লবী বলপ্রয়োগের সাধারণ লাইন তথা বিপ্লবী যুদ্ধের তথা গেরিলা যুদ্ধের লাইন থেকে সড়ে গেছে, উক্ত বিপ্লবী লাইনে ফিরে গেলে বিপ্লব এগিয়ে যাবে। বিশ শতকের শেষে পার্টি বিভক্ত হয়। পার্টির একটি অংশ তার নেতৃত্বে পূবাসপার মাওবাদী বলশেভিক পুনর্গঠন আন্দোলন নাম নিয়ে পুনর্গঠিত হয়। তিনি তার লাইনকে সূত্রবদ্ধ করেন এইভাবেঃ সহিংস বিপ্লবই সবকিছু বিচারের একমাত্র মাপকাঠি। এ লাইনটি অল্পদিনের মধ্য়েই অনুশীলনে বেশকিছু সাফল্য় অর্জন করলেও পরে আর এগোতে পারেনা।  পার্টির অন্য় দুই লাইনের একটি কমরেড আনোয়ার কবীরের ডান লাইন যা কার্যত আইনী লড়াইকে প্রধান করে, আরেকটি কমরেড সুলতানের মধ্য়পন্থী গোঁড়ামীবাদী লাইন যা কিছু তত্ত্ব আওড়ানোর মধ্য়ে সীমাবদ্ধ থাকে, কিন্তু সুনির্দিষ্ট লাইন দেয়না। এর বিপরীতে ক  লাইনটি ছিল এক বাম লাইন যা মতাদর্শিক ও রাজনৈতিকভাবে সমগ্র বিষযকে দেখতে পারেনি, তাই ব্য়র্থতায় পর্যবসিত হয়। আজকে ২১ শতকের বাস্তব অবস্থায় পুরনো বিপ্লবী ধারাবাহিকতা বজায় রেথেও নতুন করে সবকিছু গড়ে তুল্তে হবে। কমরেড শাহীন ছিলেন অনেক বড় একজন বিপ্লবী। নতুন প্রজন্মের বিপ্লবীদের তা্র কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে হবে।।