পূর্ববাংলা শ্রমিক আন্দোলন কর্তৃক রচনা ও প্রকাশ সম্ভবতঃ ১৯৭০
কমিউনিস্ট পার্টি মার্কসবাদী-লেনিনবাদী-মাওবাদী বাংলাদেশ কর্তৃক সর্বহারা পথ (www.sarbaharapath.com) এর অনলাইন প্রকাশনা ৪ ডিসেম্বর ২০১২
পিডিএফ
১। পূর্ববাংলার সমাজের শ্রেণী বিশ্লেষণ শিক্ষা দেওয়া এবং বিপ্লবের শত্রু ও মিত্র এবং নেতা নির্ণয় করে দেওয়া। তাদের নিজেদের শ্রেণীও নির্ণয় করে দেওয়া। এ পর্যায়ে শ্রেণী বিশ্লেষণ বিষয়ক দলিলাদি পড়াতে হবে।
২। মতাদর্শের ক্ষেত্রে
(ক) ব্যক্তিস্বার্থকে কেন্দ্র করে আবর্তিত ক্ষুদে বুর্জোয়া মতাদর্শকে সর্বহারার মতাদর্শ মার্কসবাদ-লেনিনবাদ-মাওসেতুঙ চিন্তাধারা (যা জনগণের স্বার্থকে কেন্দ্র করে আবর্তিত) দ্বারা সংগ্রামে উদ্ধুদ্ধ করা। এ পর্যায়ে সভাপতি মাওয়ের পাঁচটি প্রবন্ধের তিনটি প্রবন্ধ সর্বদা পড়ানো এবং তা প্রয়োগ করতে উৎসাহিত করানো।
(খ) ক্ষুদে বুর্জোয়া ও সর্বহারার মতাদর্শের চিন্তার ক্ষেত্রে, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে, সাংগঠনিক ক্ষেত্রে, সামরিক ও অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রকাশ সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া যাতে করে কর্মীরা এ সকল ক্ষেত্রে সর্বহারার শ্রেণী লাইন ও বুর্জোয়া লাইন সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা লাভ করেন।
এ পর্যায়ে ‘পাঁচটি প্রবন্ধ’, ‘গণযুদ্ধ’, ‘উদ্ধৃতি’, ‘দর্শনের ক্ষেত্রে চারটি প্রবন্ধ’ (Four Essays on Philosophy) পড়াতে হবে।
৩। শ্রমিক–কৃষকের সাথে একীভূত করানো
শ্রমিক কৃষকের সাথে প্রতিনিয়ত একীভূত করানো, তাদের দুঃখ-কষ্ট ও অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক অবস্থার পুংখানুপুংখ তদন্ত করতে শেখানো। তাদের নিয়ে অভিযোগসভা করানো। এর ফলে কর্মীদের সর্বহারা ও গরীব জনগণের প্রতি মমত্ববোধ জাগবে এবং নিজেদের শ্রেণী চেতনাবোধ উন্নত হবে এবং তাদের সর্বহারাকরণ ত্বরান্বিত হবে।
— ক্ষুদে বুর্জোয়া জনগণকে পাটির নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ করতে নিপুণ হন।
— পার্টি অভ্যন্তরে ক্ষুদে বুর্জোয়া মতাদর্শ ও তার প্রকাশের সাথে সর্বহারার মতাদর্শ ও তার প্রকাশের স্পষ্ট ও কঠোর পার্থক্য–রেখা টানুন।
— পার্টি অভ্যন্তরে ক্ষুদে বুর্জোয়া মতাদর্শ ও তার প্রকাশের বিরুদ্ধে শ্রেণী সংগ্রাম জোরদার করুন।
— ক্ষুদে বুর্জোয়া মতাদর্শ ও তার প্রকাশের বিরুদ্ধে সংগ্রামে বিজয় অর্জন করুন। ■