সিপিএমএলএম বাংলাদেশ দলিলঃ দেশে শোষকদের প্রণীত সামন্ততান্ত্রিক ধর্মবাদী ফ্যাসিবাদী আগ্রাসনের বিস্তার। বর্বরদের গণহত্যা গণনির্যাতনকে প্রতিরোধ করুন। সকল প্রতিক্রিয়াশীলদের শোষণ ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।।

৯ জুলাই ২০১৬

বাংলাদেশে ধর্মবাদী গণহত্যা গণনির্যাতন নতুন উচ্চতায় উত্তীর্ণ হয়েছে। ধর্মবাদীরা ঢাকার গুলশানে ১-২ জুলাই ২০১৬ স্প্যানিশ রেঁস্তোরা হলি আর্টিজান বেকারিতে গণহত্যা চালিয়ে ৯ ইতালীয়, ৭ জাপানী, ১ ভারতীয়, ১ বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত মার্কিনী, ২ বাংলাদেশীসহ মোট আনুমানিক ২০ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে যার মধ্যে ১০ জন নারী। ২ জন পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হয়েছে তাদের সাথে সংঘর্ষে। আমেরিকায় লেখাপড়া করে ফারাজ, তার সাথে ১ ভারতীয় তারুশী জৈন ও ১ বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত মার্কিন নারী অবন্তী কবির ছিল। ফারাজকে সন্ত্রাসীরা ছেড়ে দিতে চাইলে সে তার সঙ্গীদের ছেড়ে যেতে অস্বীকৃতি জানায়। চারুকলা শিল্পী ইশরাতকে কোরান পড়তে ও বোরখা পড়তে বললে সে অস্বীকৃতি জানায়। এই ধরণের অন্যায় অত্যাচার চালিয়ে ফ্যাসিস্টরা সকলকে হত্যা করে। ফারাজ ও ইশরাত মানবিকতার উদাহারণ স্থাপন করেছেন। সকল ধর্মের মধ্যে জৈন ধর্ম জীব হত্যার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশী সোচ্চার, অথচ ভারতীয় জৈন সম্প্রদায়ভুক্ত নারী তারুশী জৈন এমন নৃশংসতার শিকার হলেন। রাতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয় ফ্যাসিস্টদের গুলিতে—যার মধ্যে একজন বনানী থানার ওসি কুখ্যাত খুনী ভয়ংকর অত্যাচারী চাঁদাবাজ সালাউদ্দিন। প্রায় দশঘন্টা পর বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী অপারেশন চালায় জিম্মী সংকট অবসানে যাতে পাঁচ আক্রমনকারী নিহত ও এক রেঁস্তোরা কর্মচারী নিহত হয় আর ১৩ জন জিম্মী মুক্ত হয়। এত সময় পর তারা ট্যাঙ্ক কামান নিয়ে আসে পাঁচ ছয়জন সন্ত্রাসবাদীকে মারতে। ইতিমধ্যে সন্ত্রাসবাদীরা তাদের কব্জায় থাকা ২০ জনকে মেরে ফেলে। এ ঘটনায় ইতালী জাপান ভারতসহ সমগ্র বিশ্বে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। আমেরিকা সৈন্য পাঠাতে চায়, ভারতও তাই, ইতালী-জাপানের কথাতো বলাই বাহুল্য। তারা সমন্বিত তৎপরতা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নিহত ইতালীয়রা বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ক্রেতা। ফলে দেশের পোশাক শিল্প মুখ থুবড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নিহত জাপানীরা জাইকার কর্মকর্তা। ফলে বাংলাদেশের বহু তহাকথিত উন্নয়ন প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিদেশী পর্যটক, ক্রীড়া দল বাংলাদেশে আসবেনা বললেই চলে। এ ঘটনার পাঁচদিন পর মুসলিম ধর্মীয় উৎসব ঈদের দিন শোলাকিয়ায় দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাতে ধর্মবাদীরা হামলা চালাতে গেলে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে দুই পুলিশ, এক ধর্মবাদী আক্রমণকারী আর এক হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী ঝর্ণা ভৌমিক বাড়ির ভিতরে আসা বুলেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।

এতদিন সরকার বলে আসছিল যে দেশে কোন আইএস নেই — এখনো তাদের পুলিশ বাহিনী বলছে এগুলি জেএমবির কাজ। প্রকৃতপক্ষে জেএমবি, জামাত, আইএস, আল কায়দা ভিন্ন কিছু নয়। এদের চরিত্র মোটামুটি একই। এখন আলীগ ও বিএনপি উভয়ের মুখ চুপসে গেছে। তারা এখন জাতীয় ঐক্যের কথা বলছে।

জুন মাসে হাসিনা বিশ্বসামন্তবাদের মোড়ল সৌদি আরবে গিয়ে তাদের সামরিক জোটে অংশ নেয়ার কথা বলেছিল। সৌদি বাংলাদেশ থেকে পাঁচ লাখ দাসদাসী সংগ্রহ করার কথা জানায়। হাসিনা অবশ্য দেশে ফিরে সৌদি সামরিক জোটে অংশ নেয়ার কথা অস্বীকার করে। এদিকে হাসিনার ব্যক্তিগত ত্রাণ তহবিলে ইসলামী ব্যাংক ১৫ কোটি টাকা সাহায্য দিয়েছে। এর অর্থ সহজেই অনুমেয়।

পুলিশ বেশ কিছু আসামীকে ক্রসফায়ার দিয়ে হত্যা করেছে যার মধ্যে অভিজিত রায় হত্যার অন্যতম আসামী শরিফ, শিয়া ও আহমদিয়া মসজিদে হামলাকারী, রাবির শিক্ষক রেজাউল করিম হত্যার আসামী রয়েছে। সম্প্রতি মিতু হত্যার আসামী রাশেদ ও নবীকেও ক্রসফায়ারে দেয়া হয়েছে। ঝিনাইদহে ১ জুলাই ২০১৬ এক স্থানে পুলিশ ক্রসফায়ার দেয়ার কিছুক্ষণ পরই খুব কাছে কাষ্টসাগরা নামের একটি গ্রামে সর্বশেষ হিন্দু সেবায়েত শ্যামানন্দ দাস হত্যার ঘটনা ঘটে। এর কিছুদিন আগে ৭ জুন ২০১৬ ঝিনাইদহের মহিষভাগার গ্রামে হিন্দু পুরোহিত আনন্দগোপাল গাঙ্গুলি হত্যাকান্ড ঘটে আর পাবনার হেমায়েতপুরে অনুকুল চন্দ্রের আশ্রমের সেবায়েত নিত্যরঞ্জন পাণ্ডেকে ১০ জুন ২০১৬ নির্মমভাবে হত্যা করে ধর্মবাদীরা। ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ ও কমলাপুর বৌদ্ধবিহারের অধ্যক্ষকে হত্যার হুমকিও দেয়া হয়েছে।

সবমিলিয়ে পরিস্থিতি জটিল। সাম্রাজ্যবাদী ও সম্প্রসারণবাদী আগ্রাসনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

ধর্মবাদ কী?

আমাদের অনেক দলিলে ও লেখায় এর ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। ধর্মবাদ হচ্ছে সামন্তবাদের জরাজীর্ণ অতীতে ফিরে যাওয়ার মতবাদ। ধর্মবাদ অতিমাত্রায় শোষণভিত্তিক দাস-অর্ধদাসের নিবর্তনমূলক সমাজকে উজ্জল করে তুলতে চায়। সেখানে দরিদ্রদের ভিক্ষা হিসেবে যাকাত ফেতরা দিয়ে বশে রাখার সিস্টেম থাকে যাতে তারা বিদ্রোহ না করে। নারিদেরকে পুরুষের দাসী হিসবে দেখা হয়। সামন্ততন্ত্রে থাকে একদিকে শোষক সামন্ত জমিদাররা আরেক দিকে কৃষক জনগণ। কৃষকদের জমি ফসল পরিবার সবই জমিদারের সম্পত্তি হিসবে গন্য হয়। কৃষকদের এক টুকরো জমি নিজের চাষের জন্য থাকে, তার জন্যও তাকে জমিদারের জমিতে বেগার খাটতে হয়। ফসল খাজনাও জমিদারকে দিতে হয়। এখানে অতিরিক্ত উদ্বৃত্তমূল্য শোষণ করা হয়। এ ধরণের একটা সমাজকে তারা আদর্শ হিসেবে দেখাতে পরকাল ও বেহেশতের লোভ দেখায় জনগণকে। সামন্তবাদ এখন ক্ষয়িষ্ণু। সমগ্র বিশ্ব হতে তা বিদায় নিচ্ছে। তবে সৌদি আরব, কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে আর আফ্রিকায় তা এখনো শক্তিশালীভাবে বিরাজমান। এছাড়া এশিয়া আফ্রিকা লাতিন আমেরিকার সকল দেশেই আধাসামন্ততন্ত্র বিরাজমান যা আমলাতান্ত্রিক পুঁজিবাদ কর্তৃক লালিত পালিত হয়ে আসছে। সাম্রাজ্যবাদ ও সামন্তবাদের মধ্যে ঐক্য ও বিরোধ দুইই রয়েছে। উভয়ই অতিমুনাফা চায়। সাম্রাজ্যবাদ পুঁজিবাদের শেষ পর্যায়, তার টিকে থাকার কোন সম্ভাবনা নেই। পুঁজিবাদি প্রতিযোগিতায় পন্যের দাম কমতে থাকে, ফলে মুনাফার হার কমতে থাকে, তাই সাম্রাজ্যবাদের আবির্ভাব ঘটেছে সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জন করার জন্য। এজন্য তারা সিন্ডিকেট কার্টেল ট্রাস্ট গঠন করে। উপনিবেশ থেকে সস্তাল কাঁচামাল ও শ্রমশক্তি চায় তারা। এজন্য উপনিবেশের উপর দখল নিয়ে সাম্রাজ্যবাদী গ্রুপিং গুলির মধ্যে ভয়ংকর প্রতিযোগিতার ফলে যুদ্ধ বাঁধে। সামন্তবাদীরা ক্ষমতায় থাকলে সাম্রাজ্যবাদের সুবিধা হয় উপনিবেশে সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জনে। কারণ সামন্তবাদ এক পশ্চাদপদ সমাজ, এখানে মানুষের জীবন মান অনেক নিম্ন। ফলে সস্তায় তাদের শ্রম কিনে নেয়া যায়, আর প্রাকৃতিক সম্পদও লুটে নেয়া যায় নির্বিবাদে। ক্ষয়িষ্ণু সাম্রাজ্যবাদ ও ক্ষয়িষ্ণু সামন্তবাদের মধ্যে ঐক্য ঘটে টিকে থাকার স্বার্থে। একারণেই আলকায়দা, তালিবান, আইএসের মতো ধর্মবাদীরা মার্কিন ও ইউরোপীয় সাম্রাজ্যবাদের দ্বারা সরাসরিভাবে গড়ে উঠেছে। সৌদি সম্প্রসারণবাদ ও তুরস্ক সম্প্রসারণবাদ সরাসরি অর্থ, আশ্রয় এদের দিয়ে আসছে। এদিকে ভারত সম্প্রসারণবাদ দীর্ঘদিন ইসলাম ধর্মবাদী জাকির নায়েককে তৎপরতা চালাতে দিয়ে এসেছে যার দ্বারা বাঙালী আইএস কর্মীরা অনুপ্রাণিত হয়েছে। বাংলাদেশে আইএস কর্মীরা মাদ্রাসার পাশাপাশি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মত তথাকথিত আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছে। অর্থাৎ ধর্মবাদীরা বুর্জোয়া শিক্ষা প্রযুক্তি সবই ব্যবহার করছে। তথাকথিত আধুনিক শিক্ষালয় এ ধরণের জিনিস উৎপাদন করছে, বুর্জোয়া খোলসে যাদের অন্তরাত্মা সামন্তবাদী। সাম্রাজ্যবাদ ও সামন্তবাদের মাঝখানে আছে আমলাতান্ত্রিক পুঁজিবাদীরা, এরা উভয়ের বৈশিষ্ট্য ধারণ করে, তাই এরাও অতি মুনাফা চায়। বাংলাদেশ প্রতিক্রিয়াশীল সরকার বিদেশ থেকে তেল কিনে তিনগুণ বেশি দামে দেশে বিক্রী করছে। জনগণকে বিদ্যুৎ কিনতে হচ্ছে অনেক বেশি দামে। ট্রেনে বাসে চড়তে হচ্ছে বহুগুণ বেশী ভাড়ায়। ১ টাকায় মোবাইলে কথা বলতে হচ্ছে ততটুকু ও ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হচ্ছে ততটা যার দাম ১০ পয়সাও নয়। অথচ সারাদেশে জনগণকে নিরাপত্তার জালে আটকাতে আঙুলের ছাপ নেয়া হয়েছে যা ইতিমধ্যেই ষড়যন্ত্রকারীদের দ্বারা ব্যবহৃত হচ্ছে পরিণামে জনগণকে আইনী ফাঁদে ফেলতে। খাদ্য বস্ত্র সবকিছু উৎপাদন করে জনগণ। অথচ সরকার এমন ভাব করে যেন সে জনগণকে ভর্তুকি দিচ্ছে। সুতরাং তাদের যেন লুট করার অধিকার আছে। জনগণের নুন আনতে পান্তা ফুরায়। তারা নিঃস থেকে নিঃসতর হয়ে যাচ্ছে। শুধুমাত্র তেল বাবদই সরকার কৃষকদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা লুটে নিচ্ছে প্রতি মৌসুমে। উৎপাদন খরচ বেশি আর ফসলের দাম কম হওয়ায় কৃষকেরা পলায়ন করছে জমি থেকে। দেশে এক দুর্ভিক্ষাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। শ্রমিকদের মজুরি ৪০০০/৫০০০ টাকা, যা দিয়ে খাওয়া পড়া দুরের কথা ঘরভাড়াই দেয়া সম্ভব হয়না। এ দুর্ভিক্ষাবস্থার সুযোগ নিয়ে সরকার ইউনিয়ন কাউন্সিল নির্বাচন সম্পন্ন করেছে যাতে শত শত লোক নিহত হয়েছে। বাড়ীতে বাড়ীতে চেয়ারম্যান মেম্বর প্রার্থীরা ভোট কিনে নিতে দশ/পঞ্চাশ/একশ/দুশ টাকা দিয়েছে। ভোট না দিলে অনেক নারীকে ধর্ষণও করা হয়েছে, ভিটেমাটি ছাড়া করা হয়েছে। ব্যালট বাক্স অবশ্য তারা আগের রাতেই ভরে রেখেছিল। ঈদ করার নামে কোটি কোটি মানুষকে ট্রেনে বাসে লঞ্চের ভিড়ে নিক্ষেপ করা হয়েছে শোষকদের ঈদব্যবসা জমমাট করতে—অতিমুনাফা অর্জন করতে। বলি হচ্ছে জনগণ। প্রতিদিন নিহত হচ্ছে দুর্ঘটনায়।

আজকে ধর্মবাদী গণহত্যাকারী তৎপরতায় প্রশ্ন উঠে কারা মদদ দিয়েছে? কারা ধর্মীয় রাষ্ট্র বানিয়েছে? ধর্মীয় শিক্ষা কারা বাধ্যতামূলক করেছে? কারা মাদ্রাসা শিক্ষা টিকিয়ে রেখেছে? হাসিনা-খালেদা-এরশাদরা এসব করেছে। আর এসব তৎপরতা তাদের পূর্বসূরি শেখ-জিয়া বা তারো আগের পাকিস্তানের সময় থেকেই বেড়ে উঠেছে। ৭১ এ রাজাকার আলবদর বাহিনীর গণহত্যা আর আজকের গণহত্যা একই সূতোয় বাঁধা।

নিরীশ্বরবাদি ব্লগারদের হত্যাকান্ডে সরকার বরাবর অভিযোগ করেছে যে ব্লগাররা ধর্মের বিরুদ্ধে লিখেছে। বিএনপি ধর্মবাদীদের সাথে প্রকাশ্যে গলা মিলিয়েছে, জাপা জিকির করেছে। ধর্মের বিরুদ্ধে লেখার উক্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। নিরীশ্বরবাদীরা দুনিয়ার সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও দুনিয়ার প্রায় প্রতিটি দেশেই তারা নির্যাতিত হন। বাংলাদেশেও একই নির্যাতন। বাংলাদেশের সামন্তবাদী সরকার এমনকি সমকামিদের বিরুদ্ধে কথা বলেছে সমকামি এক্টিভিস্ট জুলহাজ মান্নান ধর্মবাদীদের হাতে নিহত হওয়ার পর। সমকামিতা একই ধরণের লিঙ্গের মধ্যে ঘটে, এটা বিচিত্র দুনিয়ার এক রকমফের। এ ধরণের যৌনতা যাদের মধ্যে রয়েছে, এটা তাদের অধিকার। অন্যদিকে, নিরীশ্বরবাদীদের জীবন অসহনীয় করে তোলে ধর্মবাদীরা। বাংলাদেশে কোন সেকুলার রাষ্ট্র নয়। এখানে কেউ নিরীশ্বরবাদী পরিচয় দিতে পারেনা। ধর্মীয়ভাবে ছাড়া বিয়ে করতে পারেনা। এক ধর্মের লোক আরেক ধর্মের কারো সাথে বিয়ে করতে পারেনা। ইসলামী রেজিস্ট্রেশন প্রথা কেবল রয়েছে। মোটামুটি এ এক বর্বর রাষ্ট্র। উত্তরাধিকারসূত্রে নারীরা সমান সম্পত্তি পায়না। এখানে ধর্মবাদি গণহত্যা-বর্বরতা আশ্চর্য কিছু নয়। এর প্রণেতা ইসলামবাদীরা প্রতীয়মান, কিন্তু আসলে প্রতিক্রিয়াশীল্ররা সকলে মিলে এটা গড়ে তুলেছে শোষণের সমাজ ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে। এর মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফল জনগণকেই ভোগ করতে হবে। তাই, জনগণকে হাতের কাছে যা আছে তাই দিয়ে একে রুখে দাঁড়াতে হবে-মোকাবেলা করতে হবে আর প্রতিরোধের শক্তিকে বিকশিত করতে হবে। তাদেরকে সকল শোষকদের কর্মকান্ড রুখতে হবে। সাম্যবাদের আদর্শকে গ্রহণ করতে হবে। একুশ শতকের নবীন প্রজন্মের কমিউনিস্ট পার্টি গড়ে তুলতে হবে।

আসুন কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিক থেকে গাইঃ

‘সনাতন জীর্ন কু আচার চূর্ণ করি

জাগো জনগণ।’

প্রতিক্রিয়াশিলদের ধ্বংস অনিবার্য।।

কমিউনিস্ট পার্টি মার্কসবাদী-লেনিনবাদী-মাওবাদী বাংলাদেশ