সিপিএমএলএম বাংলাদেশ দলিলঃ এক অপরাধী সমাজের শিশু নির্যাতন (২৪ জুলাই ২০১৫)

২৪ জুলাই ২০১৫

 সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা

বাংলাদেশে এক প্রতিক্রিয়াশীল সামাজিক ব্যবস্থার ফল হিসেবে অগণিত শিশু নির্যাতন নিপীড়ণ শোষণের স্বীকার হয়ে আসছে। প্রতিদিনই শত শত শিশু নির্যাতিত হয়ে মৃত্যু বরণ করছে, পঙ্গুত্ব বরণ করছে।

সম্প্রতি সিলেটে রাজন নামের ১৩ বছরের এক প্রতিবন্ধী দিনমজুরকে চুরির অপবাদ দিয়ে খুঁটির সাথে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করে তা ভিডিওতে ধারণ করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছিল হত্যাকারীরা। এটাই তাদের জন্য কাল হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার

শিশু রাজনকে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করে ফেসবুকে প্রচার করে খুনীরা

শিশু রাজনকে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করে ভিডিও ফেসবুকে প্রচার করে খুনীরা

পর তীব্র গণঘৃণা সৃষ্টি হলে শাসক সম্প্রদায় বাধ্য হয় ঘাতকদের গ্রেফতারে। এর আগে ছয় লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের মাধ্যমে পুলিশ অপরাধীদের বাঁচাতে চেষ্টা করেছিল বলে জানা যায়।

সম্প্রতি ভারতীয় বিএসএফ এর আদালতে দরিদ্র প্রতিবন্ধী কিশোরী ফেলানী হত্যার আসামীকে পুনরায় নির্দোষ রায় দেওয়া হয়। ফেলানীকে সীমান্ত পারাপারে সময় ২০১১ সালে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করেছিল। ফেলানীর বাবা মানবাধিকার সংগঠনের মাধ্যমে

ভারতীয় বিএসএফের গুলিতে নিহত ফেলানীর লাশ এভাবে কাঁটতারে ঝুলছিল

ভারতীয় বিএসএফের গুলিতে নিহত ফেলানীর লাশ এভাবে কাঁটাতারে ঝুলছিল

ভারতীয় সিভিল কোর্টে আপিল করতে যাচ্ছেন। ফেলানী হত্যা হচ্ছে ভারতীয় সম্প্রাসারণবাদ কর্তৃক বাংলাদেশী শিশু হত্যার দৃষ্টান্ত। প্রতিক্রিয়াশীল আদালত স্বভাবতই সাধারণ মানুষের পক্ষে সাধারণত রায় দেয়না।

সাত মাস আগে তিন বছরের দরিদ্র এক শিশু জিহাদ ঢাকায় ওয়াসার ১৪ ইঞ্চি ব্যাসের ৬০০ ফুট গভীর কূপে পড়ে নিহত হয়। আমলাতান্ত্রিক বুর্জোয়ারা এরূপ হাজার হাজার কূপ খোলা রেখে প্রতিদিন শিশু হত্যা করে আসছে। পুলিশ প্রশাসন ও সরকার শিশুটিকে উদ্ধারে

ওয়াসার ৬০০ ফুট গভীর ১৪ ইঞ্চি ব্যাসের কূপে পড়ে নিহত ৩ বছরের শিশু জাহিদ

ওয়াসার ৬০০ ফুট গভীর ১৪ ইঞ্চি ব্যাসের কূপে পড়ে নিহত ৩ বছরের শিশু জিহাদ

জনগনের উদ্যোগকে বাঁধাগ্রস্ত করে। ফলে শিশুটিকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়না। সরকারী উদ্ধার অভিযান ব্যর্থ ঘোষিত হলে জনগণ নিজে উদ্যোগে প্রযুক্তি তৈরি করে শিশুটিকে যখন উদ্ধার করে তখন ইতিমধ্যেই সে মারা গেছে।

দুই বছর আগে নারায়নগঞ্জে ত্বকী নামের মধ্যবিত্ত এক মেধাবী কিশোরকে অপহরণ করে

মেধাবী কিশোর ত্বকীকে ফ্যাসিবাদী রাজনীতিকরা নির্মমভাবে হত্যা করে

মেধাবী কিশোর ত্বকীকে ফ্যাসিবাদী রাজনীতিকরা নির্মমভাবে হত্যা করে

নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এলাকা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকারী দলের ফ্যাসিবাদী রাজনীতিকরা তাদের ভাড়াটিয়া খুনীদের দিয়ে এ হত্যাকান্ড করিয়েছে জানা যায়। এই হত্যার বিচারকে সরকার বাঁধাগ্রস্ত করছে বলেও জানা যায়।

শত সহস্র ঘটনার মধ্যে এগুলো হচ্ছে দু একটি যা আলোড়ণ সৃষ্টি করেছে।

দাস হিসেবে জন্ম ও লালন

পন্যে রূপান্তর

বাংলাদেশ একটি আধা উপনিবেশিক আধা সামন্তবাদী সমাজ ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থায় মুষ্টিমেয় শোষক বুর্জোয়া ও সামন্তরা ব্যপক অধিকাংশ মানুষকে শোষণ ও নির্যাতন করে। জনগণ হচ্ছে দাস, ভুমিদাস ও মজুরী দাস। শিশুরা দাস, ভুমিদাস ও মজুরী দাস হিসেবে জন্ম নেয় ও লালিত পালিত হয়।

সর্বহারা শ্রেণী ও গরীব কৃষক শিশুরা

জন্মের আগেই অনেক শিশু মরে যায়। চরম দারিদ্রের প্রতিকুল পরিবেশে নিরাপদ মাতৃত্বের অভাব। জন্মের সময় সামন্ত কুসংস্কার অথবা চিকিৎসা ব্যবসার স্বীকারে পরিণত হয় শিশুর মা। পেটের ভেতর থেকেই এবং জন্মের পর থেকে খাদ্যাভাবে চরম অপুষ্টিতে বাড়তে থাকে শিশু। অনেকেই প্রতিবন্ধি হয়ে যায়, অনেকে অনাথ। পারিবারিকভাবে শিশুরা মা বাবা ও আত্মীয় স্বজন আর সামাজিকভাবে শাসকশ্রেণীর পদাঘাত গালমন্দ পিটুনি খেয়ে বড় হতে থাকে। দু এক বছর পর তাদের উপর আরোপিত হয় বাধ্যতামূলক ধর্মীয় শিক্ষা, যারা এতে অস্বীকার করে অথবা একাত্ম হতে হতে পারেনা — অধিকাংশ শিশুই পারেনা – তাদের উপর নেমে আসে অবর্ণনীয় দৈহিক নির্যাতন। অধিকাংশ শিশু যৌন নির্যাতনের স্বীকার হয়। অনেকে হয় মাদকের স্বীকার। ভুত প্রেত পরকালের ভয় দেখানো হয় ও নির্যাতন চালানো হয়।

অনেক দরিদ্র শিশু প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারেনা। তাদের অনেকে মাদ্রাসা শিক্ষার বর্বরতায় নিক্ষিপ্ত হয়। অনেকে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনা। সরকারী শিক্ষাব্যবস্থায় দু এক বছর মাস্টারদের গালমন্দ দৈহিক নির্যাতন সওয়ার পর সর্বদা ক্ষুধার্ত বিরাট সংখ্যক শিশু পথশিশুতে পরিণত হয়, ফেরিঅলা হয়, বাবা মার সাথে কাজে নেমে পড়ে। আরো কয়েক বছর পর তারা হয় পোশাক কারখানার শ্রমিক, রিকশা অলা, সবজি বিক্রেতা, ভ্যান চালক, দিনমজুর, ক্ষেতের কামলা, ধনী কৃষকদের দৈনিক মাসিক বাৎসরিক কামলা। শহরে রাস্তায় পুলিশের নির্মম নির্যাতন তাদের সইতে হয়। এইসব শিশুরা স্বাভাবিকভাবেই বিদ্রোহী ও বিপ্লবী। মেহনতি মানুষের শ্রম শোষণ করে যে বুর্জোয়া ও সামন্তদের সম্পদের পাহাড় গড়ে উঠেছে এটা এইসব শিশুরা একটু ইঙ্গিত পেলেই সহজেই বুঝতে সক্ষম হয়। তাদেরকে সাম্যবাদী মতাদর্শিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে পারলে ভবিষ্যতের যথার্থ বিপ্লবী বাহিনী তৈরী হবে যারা শোষণের সমাজ ব্যবস্থার অবসান ঘটাতে নেতৃত্ব দেবে।

মধ্যশ্রেণীর শিশুরা

মধ্য শ্রেণীর অধিকাংশ শিশু এখন স্বাভাবিক জন্মের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়, ডাক্তারী প্রতারণার ফল হিসেবে তাদের ও এমনকি অনেক দরিদ্র সন্তানের জন্ম হয় সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে। তারা বেশির ভাগই মাতৃদুগ্ধ থেকে বঞ্চিত হয়। সাম্রাজ্যবাদী কোম্পানীগুলির শিশুখাদ্যের ব্যবসা চাঙ্গা হয় কিন্তু এইসব শিশুরা বঞ্চিত হয় প্রয়োজনীয় অনেক পুষ্টি থেকে। একদিকে সামন্ততান্ত্রিক কুসংস্কার, ধর্মবাদী বর্বরতা তাদের আয়ত্ত করতে নির্মম নির্যাতন চালানো হয়, অপরদিকে তথাকথিত শিক্ষা ব্যবস্থার অসম প্রতিযোগিতায় তাদের নিক্ষেপ করা হয়। যারা কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করে বাণিজ্যিক শিক্ষা কিনতে পারে তাদের কাছে অধিকাংশ নিম্ন ও মাঝারি মধ্যবিত্ত পরিবার পরাজিত হয়। মানবিক গূণাবলীর বদলে টাকার পিছনে ছুটে দুর্নীতি করার শিক্ষা দেওয়া হয়। মধ্যশ্রেণীর শিশুদেরকে ধনীদের কেরাণী হওয়ার জন্য গড়ে তোলা হয়। কায়িক শ্রম ও গ্রামাঞ্চল থেকে করা হয় বিচ্ছিন্ন। তাদের সামন্ততান্ত্রিক পারিবারিক, সামাজিক নির্যাতন সইতে হয়, প্রায়ই যৌন নির্যাতন ও মাদকের স্বীকার হয়। পুঁজিবাদী পন্য হিসেবে তাদের গড়ে তোলার প্রচেষ্টা হয়। তারা মূলত দাস হিসেবেই গড়ে উঠে। স্বাভাবিকভাবেই শিশুমন এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে চায়। একে দাবিয়ে রাখার সর্ববিধ প্রচেষ্টা চালানো হয়। শারিরীক নির্যাতনের পাশাপাশি, ভুত-প্রেত-পরকাল ইত্যাদি ধর্মবাদী ভয় দেখানো ও নির্যাতন চালানো হয়। অধ্যয়নের সুযোগ আর নির্যাতিত হওয়ার কারণে মার্কসবাদের জ্ঞান অর্জন করা এই শিশুদের জন্য সহজ। যারা এই জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হবে তারা ভবিষ্যতে সর্বহারা শ্রেণীর সাথে মিশে সাম্যবাদী আন্দোলনের নেতৃত্বের কাতারে আসতে পারে।

ধনী শ্রেণীর শিশুরা

ধনী শ্রেণীর শিশুদের তুলনামূলক আরামদায়ক পরিবেশে জন্ম ও লালন হয়, কিন্তু এদের মধ্য ভয়ংকর লোভ-লালসা, অধিক থেকে অধিক মুনাফার পেছনে ছোটা, সাধারণ মানুষকে ও কায়িক শ্রমকে ঘৃণার দৃষ্টিতে দেখা ইত্যাদি শিক্ষা দেয়া হয়। এদেরকে সাম্রাজ্যবাদীদের কেরানী অথবা দালাল হিসেবে গড়ে উঠার লক্ষ্য শেখানো হয়। দেশের চেয়ে বিদেশে চলে যাওয়ার শিক্ষা দেয়া হয়। এইসব অশিক্ষা কুশিক্ষার বিরুদ্ধে শিশুমন স্বাভাবিকভাবে বিদ্রোহ করে, তখন তাদের শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়, ধর্মবাদী ভয় দেখানো ও নিপীড়ণ চালানো হয়। এরাও ব্যাপকভাবে যৌন নিপীড়ণ ও মাদকের স্বীকার হয়। এদের মধ্যেকার অনেকেই ভবিষ্যতে বিদ্রোহ করবে আর সর্বহারা শ্রেণীর সাথে মিশে যাবে।

শিশু অপহরণ ও পাচার

শিশুদের অপহরণ করে তাদের মাতা পিতার কাছ থেকে বিরাট অংকের টাকা আদায় করা হয়। টাকা না পেলে অনেক শিশুকে হত্যা করা হয়। শিশুদের বিদেশে পাচার করে বিক্রীর জন্য তাদের শরীরের অঙ্গ কেটে নিয়ে তাদের মেরে ফেলা হয়। এসবই প্রতিক্রিয়াশীল খুনী শিশুহত্যাকারী সমাজের চিত্র। মধ্যপ্রাচ্যের শেখরা উটের দৌড় প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের শিশুদের জকি হিসেবে ব্যবহার করে অগণিত শিশুদের হত্যা করেছে।

শিল্প, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞান বনাম কুসংস্কার

শিশুরা স্বভাবসুলভ বিজ্ঞানমনষ্ক ও শিল্পী। তারা অত্যন্ত অনুসন্ধিৎসু। তাদের সুতীব্র জ্ঞান পিপাসাকে প্রতিরোধ করতে তাদের কুসংস্কার শিখতে বাধ্য করা হয়। শিল্প ও সংস্কৃতির মাধ্যমে তাদের সৃজনশীলতা বিকাশের বিরুদ্ধে অপসংস্কৃতি চর্চা করতে বাধ্য করা হয়। এভাবে তাদের মন কলুষিত করার চেষ্টা করা হয়।

চিত্তবিনোদনের অভাব

শহরের শিশুদের জন্য খেলার মাঠ নেই এখন। নেই সাতার শেখার ব্যবস্থা। নেই অন্য কোন চিত্ত বিনোদনের ব্যবস্থা গ্রামে শহরে। নেই কোন পাঠাগার।

ফ্যাসিবাদ বনাম সাম্যবাদ

পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে শিশুদের জাতীয়তাবাদী ও ধর্মবাদী ফ্যাসিবাদ শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। তারা কোনভাবে সাম্যবাদী চিন্তার সংস্পর্শে আসা মাত্রই তার বিরাট সমর্থকে পরিণত হয়। সুতরাং সাম্যবাদী শিক্ষা শিশুদের মধ্যে ছড়াতে হবে, তাহলে তারা নিজেরাই শিখবে কিভাবে বিবিধ ফ্যাসিবাদকে মোকাবেলা করতে হয়। তারা জানবে জাতীয়তাবাদ ও ধর্মবাদ কীভাবে মুষ্টিমেয় শোষক শ্রেণীর স্বার্থে ব্যাপক জনগণকে দেশী বিদেশী শোষণের অধীন করে রাখে। এগুলো হচ্ছে শোষণের মতবাদ। এগুলো হচ্ছে প্রতারণা আর মানুষের জীবন নিয়ে ব্যবসা। সহস্র সহস্র শিশু প্রতিদিন এদের দ্বারা নিহত হচ্ছে ও পঙ্গুত্ব বরণ করছে। শিশুরা এদের দ্বারা সবচেয়ে বেশী অত্যাচারিত হয় বলে তারা খুব সহজেই এটা বুঝে যায়।

নারী শিশুরা অধিক নিপীড়ণের স্বীকার হয়

সমাজের পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গীর কারণে পুরুষ শিশুদের চেয়ে নারী শিশুরা অধিক নিপীড়িত হয়। অনেক সময় মাতৃগর্ভেই তাদের হত্যা করা হয়। জন্মের পর থেকে ভয়ংকর পুরুষতান্ত্রিক নিপীড়ণের স্বীকার হতে থাকে তারা। খাদ্য, পুষ্টি ও চিকিৎসা কম পায় তারা। শিক্ষার সুযোগ কম পায় তারা। স্বাভাবিকভাবেই বিপ্লবী সম্ভাবনা তাদের মধ্যে বেশী।

প্রতিবন্ধী শিশুরাও অধিক নিপীড়ণের স্বীকার হয়

শারিরীক ও মানসিক প্রতিবন্ধি শিশুরা চরমভাবে অবহেলা ও অনাদরের স্বীকার হয়। তাদের প্রতি সহানুভূতি এই অমানবিক সমাজে কেই বা দেখাবে? কমিউনিস্টরা অবশ্যই তাদের রক্ষা করবেন ও তাদের মানবিক বিকাশের জন্য এক নতুন সমাজের বিনির্মাণ করবেন।

শিশুরা জীবজগতের অনুরাগী

শিশুরা জীবজগতকে ভালবাসে। তারা প্রাণী ও উদ্ভিদকে রক্ষা করতে চায়। কিন্তু তাদের চোখের সামনে ঘটে ব্যাপক প্রাণীহত্যা, গাছ কাটা ও পরিবেশ ধ্বংস।

শিশুরা বিরাট সম্ভাবনাময়

শিশুরা আগামী দিনের যোদ্ধা

এত নির্যাতন, এতসব কিছুর পরও শিশুদের আটকানো যায় না। ইন্টারনেটের মাধ্যমে তারা পরিচিত হয়ে যাচ্ছে জ্ঞান বিজ্ঞানের সাথে। শিশুরা সজীব ও নবীন। তারা ভোরের উদীয়মান সূর্যের মত। মানুষের সহজাত মানবিক গুণাবলী শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। কোমল মন ও মানবিক ভালবাসা স্নেহ শিশুদের মধ্যে বেশি। পরোপকার ও মানুষের সেবা করার প্রবণতাও তাদের বেশি। এই অপরাধী সমাজ ব্যবস্থা কীভাবে পদে পদে শিশুদের জন্ম থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত নির্যাতন করছে এটা শিশুরা খুব ভালই বোঝে। স্বাভাবিকভাবেই শিশুদের সঠিক পথনির্দেশ করলে তারা ভবিষ্যত বিপ্লবী হয়ে উঠবে। তারাই আগামী দিনের সাম্যবাদী সমাজের অগ্রযোদ্ধা!

কমিউনিস্ট পার্টি মার্কসবাদী-লেনিনবাদী-মাওবাদী