সিরাজ সিকদার রচনাঃ কতিপয় সামরিক পয়েন্ট

সিরাজ সিকদার

সিরাজ সিকদার


পূর্ববাংলার সর্বহারা পার্টি কর্তৃক রচনা ও প্রকাশ দ্বিতীয়ার্ধ ১৯৭৩

আগষ্ট ১৯৭৪-এ রচনাটি কমরেড সিরাজ সিকদারের নির্বাচিত সামরিক রচনাবলীতে অন্তর্ভুক্ত হয়

কমিউনিস্ট পার্টি মার্কসবাদী-লেনিনবাদী-মাওবাদী বাংলাদেশ কর্তৃক সর্বহারা পথ (www.sarbaharapath.com) এর অনলাইন প্রকাশনা ১১ নমেম্বর ২০১৪


পিডিএফ

১। প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমাদের দু’ধরণের ঝোঁকের বিরোধিতা করতে হবে।

বাম ঝোঁক—যা বাস্তব বাধাবিপত্তি সমূহ খুব ছোট করে দেখে।

ডান ঝোঁক—যা বাস্তব বাধাবিপত্তি সমূহকে অতিরঞ্জিত করে দেখে।

সামরিক পরিকল্পনা করার সময় আমাদেরকে এ দু’ধরণের ঝোঁকের বিরোধিতা করতে হবে।

২। আমাদের সামরিক পরিকল্পনা এমনভাবে করতে হবে যাতে বাস্তব অবস্থার বিবেচনার সাথে আত্মগত অবস্থার বিবেচনা সংগতিপূর্ণ হয়। অর্থাৎ বস্তুগত অবস্থার সাথে আত্মগত অবস্থার সামঞ্জস্য বিধান করতে হবে।

৩। কোন সামরিক পরিকল্পনা করার পূর্বে আমাদের অবস্থা এবং শত্রুর অবস্থা ভালভাবে বিবেচনা করতে হবে।

এ বিবেচনা করার ক্ষেত্রে আত্মগতভাব, ভাসাভাসাভাব, একতরফাবাদ পরিহার করতে হবে এবং যা বস্তুগত তাই বিবেচনা করতে হবে।

এ সময় বাম ও ডান ঝোঁকের প্রতিও সতর্ক থাকতে হবে।

৪। আমাদের অবস্থা হচ্ছে, আমাদের সবল দিক ও দুর্বল দিকসমূহ।

শত্রুর অবস্থা হচ্ছে, শত্রুর সবল দিক ও দুর্বল দিকসমূহ।

একটা নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে দু’দুটি অবস্থা মোটামুটি অপরিবর্তনীয় বলে বিবেচনা করতে হবে।

এ দু’টি অবস্থার দ্বারা নির্ধারিত সীমা আমরা লংঘন করতে পারি না, কিন্তু এ সীমার মধ্যে থেকেই উত্তমরূপে যুদ্ধ পরিচালনা করে আমাদের বিজয় অর্জন করতে হবে।

৫। কোন সামরিক অপারেশনের পরিকল্পনা এমনভাবে করতে হবে যাতে

▬ শত্রু তার সবল দিকসমূহ ব্যবহারের সুযোগ না পায়।

▬ শত্রুর দুর্বল দিকসমূহ যাতে আমরা পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারি।

▬ আমাদের সবল দিকসমূহ যাতে সম্পূর্ণরূপে ব্যবহৃত হয়।

▬ আমাদের দুর্বল দিকসমূহ যাতে আমাদের উদ্দেশ্য সাধনে কোন প্রকার বাধার সৃষ্টি না করে এবং আমাদের দুর্বল দিকসমূহ যাতে শত্রু ব্যবহার করতে না পারে।

৬। আমাদের সামরিক বিকাশের বর্তমান পর্যায়ে সামরিক অপারেশনের প্যাটার্ন হওয়া উচিত কমান্ডো আক্রমণ অর্থাৎ-

▬ অতর্কিতে আক্রমণ।

▬ অত্যন্ত স্বল্প সময়সীমার আক্রমণ।

আক্রমণের আগমুহুর্ত পর্যন্ত কঠোরভাবে গোপনীয়তা বজায় রাখতে হবে।

গোপনীয়তা ফাঁস হয়ে পড়লে অপারেশন বাতিল করতে হবে।

কারণ গোপনীয়তা প্রকাশ হয়ে পড়লে, শত্রু প্রস্তত হয়ে থাকবে, অতর্কিতে তাকে আক্রমণ করা যাবে না, অল্প সময়ের মাঝে তাকে আত্মসমর্পণ করানো যাবে না, তার সাথে লড়তে হবে অবস্থান যুদ্ধের মত।

এক্ষেত্রে অস্ত্র ও ট্রেনিং-এর দুর্বলতার কারণে শত্রুকে পরাজিত করা খুবই কষ্টকর হবে।

উপরন্তু আমাদের অস্ত্র ও লোক ক্ষয় হতে পারে।

এক্ষেত্রে শত্রু আমাদের দুর্বলতা ব্যবহারের সুযোগ পাবে।

এক্ষেত্রে অপারেশন অবশ্যই বাতিল করতে হবে।

▬ কমান্ডো আক্রমনের জন্য ক্ষুদ্র, সাহসী ও তড়িৎগতি সম্পন্ন ট্রুপ হচ্ছে সবচেয়ে কার্যকরী।

▬ অতর্কিত আক্রমণ, অল্প সময়সীমার আক্রমণ ও ক্ষুদ্র-সাহসী এবং কার্যকরী ট্রুপ ব্যবহার করার ফলে আমাদের দুর্বল দিকসমূহ শত্রু ব্যবহার করতে পারবে না, শত্রু নিজের সবল দিকসমূহও ব্যবহার করতে পারবে না। পক্ষান্তরে আমরা আমাদের সবল দিক ও শত্রুর দুর্বল দিক (অপ্রস্তুত অবস্থা, ভীতি প্রভৃতি) ব্যবহার করে আমাদের উদ্দেশ্য সাধন করতে সক্ষম হবো।

এ ধরণের আক্রমণে শত্রু হতবুদ্ধি ও কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়বে।

কোথাও কোথাও শত্রু তার অস্ত্র ব্যবহারেরও সুযোগ পায়নি।

৭। সামরিক বিভাগের লোকদের অবশ্যই সাহসী ও বিচক্ষণ হতে হবে।

▬ অনুসন্ধান, প্লান-পরিকল্পনা, জিনিসপত্র ও গেরিলা একত্রীকরণ, শেষ মুহুর্তের অনুমতি প্রভৃতি ক্ষেত্রে বিচক্ষণতা হচ্ছে প্রধান দিক।

▬ অপারেশন চলাকালীন সময় সাহস হচ্ছে প্রধান দিক।

বিচক্ষণতা বাড়াবার উপায় হচ্ছে সুনির্দিষ্ট বিষয়বস্তুর উপর যথাসম্ভব বেশী চিন্তা করা, লোকের সাথে বিশেষ করে অভিজ্ঞ লোকের সাথে পরামর্শ করা।

সাহস বাড়াবার উপায় হচ্ছে মতাদর্শগতভাবে উন্নত করা।

৮। বর্তমান পর্যায়ে আমাদের সামরিক লক্ষ্যবস্তু সমূহকে মোটামুটি তিনভাগে ভাগ করা যায়।

▬ আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু, যার জন্য যুদ্ধের প্রয়োজন। যেমন—থানা, ফাঁড়ি ইত্যাদি।

▬ দখলের লক্ষ্যবস্তুঃ যার জন্য সাধারণতঃ যুদ্ধের প্রয়োজন হয়না—ব্যাংক, দোকান প্রভৃতি।

▬ ঠেকানোর লক্ষ্যবস্তুঃ এখানে যুদ্ধের প্রয়োজন হয়।

৯। যেহেতু আমাদের সামরিক পরিচালক, কমান্ডার এবং গেরিলারা অনভিজ্ঞ সেহেতু বর্তমান পর্যায়ে আমাদের একটি আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু বিশিষ্ট শত্রু অবস্থান অপারেশন করা উচিত।

কারণ দুই-তিনটি আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু বিশিষ্ট শত্রু অবস্থানের অপারেশন হচ্ছে জটিল এবং বর্তমান পর্যায়ে আমাদের পক্ষে সফলতার সাথে জটিল অপারেশন করা সকল স্থানে সম্ভব নয়।

সাটুরিয়া থানায় সফল আক্রমণের মাধ্যমে আমরা একাধিক লক্ষ্যসম্পন্ন অবস্থান দখল করতে সক্ষম হই।

যে সকল অঞ্চলে সামরিক অপারেশনের অভিজ্ঞতা রয়েছে তারা সাটুরিয়ার অভিজ্ঞতা প্রয়োগ করে একাধিক লক্ষ্যবস্তুসম্পন্ন শত্রু অবস্থান আক্রমণ করতে পারে।

একাধিক লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে প্রধান ও গৌণ লক্ষ্যবস্তু নির্ণয় করতে হবে। সে অনুযায়ী আমদের শক্তি নিয়োগ করতে হবে। বিভিন্ন আক্রমণকারী ইউনিট সমূহের মাঝে যথাযথভাবে সমন্বয় রক্ষা করতে হবে।

১০। কোন অপারেশন ট্রুপকে সাধারণতঃ তিনভাগে ভাগ করতে হবেঃ

ক) আক্রমণকারী ট্রুপ

খ) রিজার্ভ ট্রুপ

গ) বহনকারী ট্রুপ

বিশেষ অবস্থায় বহনকারী ট্রুপ রিজার্ভের অনুরূপ ব্যবহার করতে হবে।

যদি কোন অপারেশনে ঠেকানোর লক্ষ্যবস্তু থাকে তাহলে পুনরায় আক্রমণকারী ট্রুপকেঃ

▬ মূল আক্রমণকারী ট্রুপ এবং

▬ ঠেকানো ট্রুপে ভাগ করতে হবে।

১১। কোন অবস্থানেই একটি অস্ত্র ও একজন গেরিলা নিয়োগ করা উচিত নয়। কারণ একটি অস্ত্র জাম হয়ে যেতে পারে, তার ফলে অপারেশনে বিপর্যয় আসতে পারে।

এমনও হয়েছে যে এক সাথে দুই তিনটি অস্ত্রও জাম হয়ে গেছে এবং অপারেশন বাতিল করতে হয়েছে বা ট্রুপ বিপদগ্রস্ত হয়েছে।

১২। অপারেশন করার পর বক্তৃতা ও শ্লোগান করার মাধ্যমে জনগণকে আমাদের উদ্দেশ্য বুঝানো। সরকারী ও শত্রুর সম্পদ যা আমরা আনতে পারব না তা জনগণের মাঝে বিলিয়ে দেওয়া, আহত ও আত্মসমর্পণকারী শত্রুদের সাথে ভাল ব্যবহার করা, তাদেরকে আমাদের উদ্দেশ্য বুঝানো, আমাদের নিজেদের আহত/নিহতদের নিয়ে আসা, জনগণের নিকট থেকে চাঁদা তোলা, দখলকৃত দ্রব্যাদি নিয়ে আসা প্রভৃতি শত্রুর সাহায্য আসার পূর্বেই সম্পন্ন করে নিরাপদে সরে আসতে হবে।

১৩। আমাদের মত দেশে যেখানে গেরিলা যুদ্ধ চালাবার জন্য ভৌগলিক সুবিধা কম সেখানে যদি সশস্ত্র সংগ্রামের সাথে গণসংগ্রাম সমন্বিত করা না হয় তবে সামরিক তৎপরতা টিকিয়ে রাখা কষ্টকর হবে।

কাজেই গণসংগ্রামের বিষয়টিকে অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে এবং এ কাজের জন্য লোক নিয়োগ ও ট্রেইন করতে হবে।

১৪। আমাদের সামরিক তৎপরতা শুরু হলে, একটা পর্যায়ের পর শত্রু গ্রাম এলাকা থেকে সকল ফাঁড়িসমূহ প্রত্যাহার করে।

এ সময় গ্রাম এলাকায় যে সামরিক ও রাজনৈতিক শুন্যতার সৃষ্টি হয় তার সম্পূর্ণ সুযোগ নিতে হবে।

ঐ সকল এলাকায় আমাদের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক তৎপরতা জোরদার করে জনগণকে দ্রুত আমাদের নেতৃত্বে সংগঠিত করে ফেলা উচিত।

১৫। আমাদের সামরিক তৎপরতা চলার পর শত্রু এলাকায় প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

এতে ভয় পাবার কিছু নেই, কারণ প্রচণ্ড চাপের পরই শত্রু সম্পূর্ণ ঢিলে দেয়।

কাজেই আমরা যদি ধৈর্য ধরে চাপের সময়টা সহ্য করতে পারি তবে পুনরায় আমরা আমাদের উদ্যোগ ক্ষমতা ফিরে পাব।

১৬। অপারেশনের সময়ঃ

▬ বিভিন্ন বিষয়ের সমন্বয় সাধন করা।

▬ শেষ মুহুর্তের অনুসন্ধান।

▬ নতুন উত্থাপিত সমস্যার সমাধান।

▬ শেষ মুহুর্তে অনুমতি প্রদান।

প্রভৃতি অতিমাত্রায় গুরুত্ব সম্পন্ন কাজগুলো যথাযথভাবে করার জন্য অপারেশন পরিচালকের অপারেশন স্থানের নিকটে অবস্থান করা উচিত।

১৭। কোন অপারেশন প্রথমবারেই সফল হবে এরূপ মনে করা উচিত নয়।

আমাদের ধরে নেয়া উচিত যে একটা অপারেশন কমপক্ষে ২/৩ বারে সফল হবে। এর ফলে কোন কারণবশতঃ অপারেশন প্রথমবার ব্যর্থ হলে হতাশা আসবে না।

১৮। কোন অপারেশনের লক্ষ্যবস্তু ঠিক করে তা দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা উচিত এবং একবার অপারেশন সফল না হলে ২/৩ বার পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

কোন অপারেশন প্রথমবারে ব্যর্থ হলে অপারেশনের পরিকল্পনা প্রকাশিত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। প্রথমবার সফল না হলেও অপারেশন পরিকল্পনা যাতে প্রকাশিত না হয় তার ব্যবস্থা করতে হবে এবং এ সম্পর্কে সংশ্লিষ্টদের বিশেষ গোপনীয়তার বিষয়ে ট্রেইন করতে হবে।

১৯। প্রতিটি আক্রমণের শেষে উত্তমরূপে সারসংকলন করা উচিত।

সারসংকলন করলে আমরা ভুলের পুনরাবৃত্তি রোধ করতে পারব এবং আমাদের ক্ষতি কম হবে।

সারসংকলন না করে পরবর্তী আক্রমণ করা উচিত নয়।

২০। যথেষ্ট পরিমাণ বাস্তব কারণ না থাকলে কোন অপারেশন বাতিল করা উচিত নয়। কোন অপারেশন বাতিল করতে হলে কারণসমূহ সংশ্লিষ্টদের ভালভাবে বুঝাতে হবে।

২১। অপারেশনের লক্ষ্যবস্তু সতর্কতার সাথে ঠিক করা উচিত।

এমন কোন লক্ষ্যবস্তু ঠিক করা উচিত না যা আমাদের পক্ষে করা সম্ভব নয়।

লক্ষ্যবস্তু বারংবার ঠিক করা এবং বাতিল করা উচিত নয়।

সর্বদা মনে রাখা উচিত বারংবার ব্যর্থতা হতাশা আনে।

২২। অপারেশনে ট্রুপ এমনভাবে নির্বাচন করা উচিত যাতে ট্রুপের কোন ক্ষতি হলে সাংগঠনিক কাজ ও নিরাপত্তা যথাসম্ভব কম বিঘ্নিত হয়।

২৩। অপারেশন চলাকালীন কেউ আহত বা নিহত হলে তা সামলানোর দায়িত্ব রিজার্ভ বাহিনীর। আক্রমণকারী টুপ তার আক্রমণ চালিয়ে যাবে।

২৪। আক্রমণের সময় সর্বদা শ্লোগান ব্যবহার করা উচিত। এতে আমাদের সাহস বাড়ে এবং শত্রুর মনে ভীতি সঞ্চার হয়।

২৫। আক্রমণের পর দখলকৃত এলাকা খুব ভালভাবে খোঁজ করা উচিত যাতে কোন জিনিসপত্র থেকে না যায়।

২৬। আক্রমণের এলাকা, পশ্চাদবর্তী এলাকা, সমন্বিত এলাকা, সমন্বিত কমান্ড, ভৌগলিকভাবে একনাগাড়ে কাজ, শহরে ও গ্রামে ভাল কাজ প্রভৃতি বুদ্ধি প্রয়োগ করা উচিত।

২৭। আমাদের সামরিক তৎপরতার পর শত্রু যে শ্বেতসন্ত্রাস চালায় তার বিরুদ্ধে স্বতঃস্ফূর্তভাবে যে সকল গণসংগ্রাম হয় তাকে আমাদের নেতৃত্বে অবশ্যই সংগঠিত গণসংগ্রামের রূপ দিতে হবে।

এভাবে সশস্ত্র সংগ্রামের সাথে গণসংগ্রামকে সমন্বিত করতে হবে। সশস্ত্র সংগ্রামে সমগ্র জনগণকে অংশগ্রহণ করানোর লক্ষ্য এভাবে অর্জিত হবে।

এভাবে সশস্ত্র সংগ্রাম সমগ্র জনগণের সংগ্রামে রূপ লাভ করবে যা হবে অপরাজেয়।

কেবলমাত্র এভাবেই জনযুদ্ধ পরিচালনা করা যাবে।

২৮। জনগণের মধ্যে কাজ করতে সক্ষম এবং গণসংগ্রাম পরিচালনা করতে সক্ষম এরূপ পার্টি-কেডার তৈরী করতে হবে।

২৯। শত্রুর সামরিক ও প্রশাসনিক শুন্যতার সুযোগ নিয়ে জাতীয় শত্রুর জমি বিতরণের পদক্ষেপ নিতে হবে।

এর ফলে বিপ্লবের আর্থিক ও বৈষয়িক লাভের সম্বন্ধে জনগণ অবহিত হবেন এবং বিপ্লবের প্রতি অতিমাত্রায় আস্থা স্থাপন করবেন।

৩০। আমাদের সামরিক তৎপরতার পর জনগণ আমাদেরকে ব্যাপকভাবে সমর্থন করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাপক গ্রামঞ্চল থেকে চাঁদা সংগ্রহ করতে হবে।

শ্রেণী হিসেবে চাঁদা নির্ধারণ করে দিতে হবে।

চাঁদা সংগ্রহের জন্য স্থানীয় কর্মীদের নিয়োগ করতে হবে।

এ পদ্ধতিতে স্থানীয়ভাবে আর্থিক স্বাবলম্বী হতে হবে।

৩১। প্রতি অঞ্চলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহকারী তৈরী করতে হবে।

যেমন অঞ্চল পরিচালকের সাংগঠনিক সহকারী, সামরিক সহকারী ইত্যাদি তৈরী করতে হবে।

বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহকারী কেডার তৈরী করলে কোন অবস্থায়ই নেতৃত্বের শুন্যতা থাকবে না।

ফলে আমাদের সংগঠন অপ্রতিহতভাবে বিকাশ লাভ করবে