সিরাজ সিকদার রচনাঃ বিভিন্ন কমরেডের সাথে বৈঠকে প্রদত্ত সিদ্ধান্তের অংশবিশেষ

সিরাজ সিকদার

সিরাজ সিকদার


পূর্ববাংলার সর্বহারা পার্টি কর্তৃক বর্ষাকালীন রণনৈতিক আক্রমণের প্রারম্ভে মধ্য ১৯৭৩ সালে রচিত ও প্রকাশিত

কমিউনিস্ট পার্টি মার্কসবাদী-লেনিনবাদী-মাওবাদী বাংলাদেশ কর্তৃক সর্বহারা পথ (www.sarbaharapath.com) এর অনলাইন প্রকাশনা ১০ নভেম্বর ২০১৪


পিডিএফ

বর্ষাকালীন রণনৈতিক আক্রমণের সাধারণ কর্মসূচী নিম্নরূপঃ

১। অস্ত্র দখল কর, অর্থ সংগ্রহ কর।

২। নিয়মিত, স্থানীয় বাহিনী গড়ে তোল।

৩। ব্যাপক প্রচার জোরদার কর।

৪। স্থানীয় শত্রুদের উৎখাত কর।

৫। জনগণকে সংগঠিত কর।

৬। সশস্ত্র ও গণসংগ্রাম সমন্বিত কর।

৭। গ্রামসমূহ মুক্ত কর।

○ জনগণকে সংগঠিত করঃ

▬ স্থানীয় রাজনৈতিক ক্ষমতা কায়েম করা।

▬ গ্রাম পরিচালনা কমিটি গঠন করা।

▬ বিভিন্ন ফ্রন্ট সংগঠন গড়ে তোলা।

○ কৃষক মুক্তি সমিতি

○ শ্রমিক মুক্তি সমিতি

○ স্থানীয় গেরিলা বাহিনী

○ নারী মুক্তি সমিতি

○ শিশু মুক্তি সমিতি

○ যুব মুক্তি সমিতি

… … ইত্যাদি।

(এসকল সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে গ্রাম পরিচালনা কমিটি গঠন করা)।

○ কৃষক, যুবক, গেরিলা সংগঠন হচ্ছে মৌলিক শক্তি;

মূলতঃ এদের প্রতিনিধি নিয়ে গ্রাম পরিচালনা কমিটি গঠন।

○ অতীত ইতিহাস ও শ্রেণীভিত্তি পর্যালোচনার ভিত্তিতে এ সকল গণসংগঠনের সবচেয়ে সক্রিয় ও অগ্রগামীদের নিয়ে গ্রাম পার্টি কমিটি গড়ে তোলা।

পার্টি কমিটির সদস্য হবে ৭/৯/১১ (?) জন, একজন সভাপতি/সম্পাদক।

○ পার্টি রিক্রুটমেন্টের কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল করতে হবে।

○ শত্রু এলাকায় গোপনভাবে এবং মুক্ত এলাকায় প্রকাশ্যভাবে গ্রাম পরিচালনা কমিটি গঠন করতে হবে।

○ গ্রাম পরিচালনা কমিটির সভ্য হবে ৫/৭/৯ জন, সভাপতি একজন।

○ বৃদ্ধদের জন্য আলাদা বৃদ্ধ মুক্তি সমিতি গঠন করতে হবে।

গ্রাম পরিচালনা কমিটি সমূহের কাজঃ

○ সাধ্য অনুযায়ী প্রত্যেকের কাছ থেকে চাঁদা সংগ্রহ করবে।

○ জাতীয় শত্রুদের ভুমি বিতরণ করবে।

○ আশ্রয়স্থল তৈরী করবে।

○ স্থানীয় প্রশাসন চালাবে (শিক্ষা, বিচার, প্রতিরক্ষা, চিকিৎসা, গেরিলা সংগ্রহ)।

○ স্থানীয় প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা করবে।

○ সশস্ত্র সংগ্রামকে সর্বতোভাবে সাহায্য করবে। গণসংগ্রামের জন্য জনগণকে সমাবেশিত করবে।

○ কমিটি গণতান্ত্রিক উপায়ে গঠন করতে হবে।

○ কমিটিতে যারা সদস্য হবে তাদেরকে আগেই তাদের করণীয় সম্পর্কে বলে দিতে হবে।

○ গ্রাম থেকে ফাঁড়ি প্রত্যাহারের ফলে শত্রুর সামরিক শুন্যতার সুযোগ ভালভাবে ব্যবহার করতে হবে। জনগণকে ব্যাপকভাবে সংগঠিত করতে হবে।

○ জনগণকে প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে সমাবেশ করতে হবে।

▬ প্রতিদ্বন্দ্বীদের উৎখাত করার জন্য জনগণ দ্বারা তাদের বিরুদ্ধে মিছিল করানো, শ্লোগান দেওয়া।

○ এভাবে গণসংগ্রাম করা।

○ শত্রুদের বিরুদ্ধেও এভাবে গণসংগ্রাম করা।

○ এলাকাভিত্তিক কর্মী ও গেরিলাদের Target ও কর্তব্য স্থির করে দেওয়া। সময়সীমা ঠিক করে দেওয়া।

○ নিয়মিত সশস্ত্র দলের সাথে

▬ প্রচার দল,

▬ সাংগঠনিক দল,

▬ স্থানীয় স্কাউট গ্রুপ নেওয়া।

○ সশস্ত্র সংগ্রামের সাথে গণসংগ্রাম সমন্বিত করা।

গণসংগ্রাম সংক্রান্ত অভিজ্ঞতার জন্য ভিয়েতনাম পুস্তকটি পড়বে।

সশস্ত্র সংগ্রামের সাথে গণসংগ্রামের সংযোগ ব্যতীত বিপ্লব বিজয় অর্জন করতে পারে না