সিরাজ সিকদার রচনাঃ পূর্ববাংলার আন্তরিকভাবে সর্বহারা বিপ্লবীদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে ১নং বিবৃতি

সিরাজ সিকদার

সিরাজ সিকদার


পূর্ববাংলার সর্বহারা পার্টি কর্তৃক রচনা ডিসেম্বর ১৯৭২, প্রকাশ ১৯৭৩

কমিউনিস্ট পার্টি মার্কসবাদী-লেনিনবাদী-মাওবাদী বাংলাদেশ কর্তৃক সর্বহারা পথ (www.sarbaharapath.com) এর অনলাইন প্রকাশনা ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪


পিডিএফ

পূর্ববাংলার সর্বহারা বিপ্লবীদের মধ্যকার ঐক্যের পরিকল্পনা

পূর্ববাংলার জনগণ, সর্বহারা শ্রেণী এবং আন্তরিকভাবে বিপ্লবীরা সর্বহারা বিপ্লবীদের মধ্যকার অনৈক্য, বারংবার বিভক্তিতে খুবই দুঃখিত।

তারা বিপ্লবীদের ঐক্য চান। জনগণ, সর্বহারা শ্রেণী ও বিপ্লবীদের আন্তরিক আকাঙ্খার সাথে আমরাও একাত্মতা ঘোষণা করি। পূর্ববাংলার বর্তমান বিপ্লবী পরিস্থিতিতে এ ঐক্য আরো অধিক প্রয়োজন।

এ কারণে সর্বহারা বিপ্লবীদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য একটি পরিকল্পনা পেশ করা হচ্ছে।

আমরা আশা করি আন্তরিকভাবে বিপ্লবীরা এ পরিকল্পনা বিবেচনা করবেন এবং ঐক্যের প্রচেষ্টায় সাড়া দিবেন।

আমাদের সর্বদা স্মরণ রাখতে হবে সর্বহারা বিপ্লবীদের ঐক্য সর্বহারা শ্রেণী ও জনগণের ঐক্যের মৌলিক শর্ত এবং বিপ্লবীদের আত্মত্যাগের সফলতার পূর্বশর্ত।

সর্বহারার বিপ্লবীদের মধ্যকার ঐক্যের ভিত্তি নিম্নরূপ

  • পূর্ববাংলার বিপ্লবের পথ প্রদর্শক তাত্ত্বিক ভিতি হিসেবে মার্কসবাদ-লেনিনবাদ-মাওসেতুঙ চিন্তাধারা গ্রহণ।
  • পূর্ববাংলার বিপ্লবের বিশেষ অনুশীলনের সাথে মার্কসবাদ-লেনিনবাদ-মাওসেতুঙ চিন্তাধারার বিশেষ প্রয়োগের নীতি স্বীকার করা।
  • সোভিয়েট সামাজিক সাম্রাজ্যবাদীদের নেতৃত্বে আধুনিক সংশোধনবাদী এবং অন্যান্য বিভিন্ন আকৃতির সংশোধনবাদী ও সুবিধাবাদীদের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিরোধিতা করা।
  • মার্কিন সাম্রাজ্যবাদীদের নেতৃত্বে সাম্রাজ্যবাদ, সোভিয়েট সামাজিক সাম্রাজ্যবাদ এবং সম্প্রসারণবাদকে বিরোধিতা করা।

মার্কসবাদের মৌলিক বিষয় হচ্ছে অনুশীলন। মার্কসবাদের মৌলিক নীতিসমূহকে বজায় রেখে অনুশীলনের ভিত্তিতে মার্কসবাদীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া সম্ভব।

পূর্ববাংলার সর্বহারা শ্রেণীর প্রতিনিধিত্বকারী একটিই রাজনৈতিক পার্টি হতে পারে।

একটি শ্রেণীর প্রতিনিধিত্বকারী একাধিক পার্টি হতে পারেনা। এ কারণে পূর্ববাংলায়ও সর্বহারা শ্রেণীর প্রতিনিধিত্বকারী একাধিক পার্টি হতে পারেনা।

অতএব, একাধিক পার্টির অস্তিত্ব বিলোপ করে একটি পার্টি গড়ে তোলা আন্তরিকভাবে সর্বহারা বিপ্লবীদের বিপ্লবী দায়িত্ব।

এ দায়িত্ব পালনে অনিচ্ছুকরা হচ্ছে সর্বহারা শ্রেণীর সাথে বিশ্বাসঘাতক।

পূর্ববাংলার সর্বহারা বিপ্লবীদের মধ্যে বিভিন্ন প্রশ্নে বিতর্ক বজায় রেখেও নিম্নভাবে ঐক্য সম্ভব।

হক, আমজাদ গ্রুপসমূহ সোভিয়েটের ও ভারতের সাথে পূর্ববাংলার জনগণের জাতীয় দ্বন্দ্বকে প্রধান বলে। তারা বলেন, পূর্ববাংলা রাশিয়ার উপনিবেশ, ভারত তা তদারক করছে।

জনাব তোহা বলেন, পূর্ববাংলা ভারত-রাশিয়া উভয়েরই উপনিবেশ। ভারত-রাশিয়া উভয়ের সাথে পূর্ববাংলার জনগণের জাতীয় দ্বন্দ্ব প্রধান দ্বন্দ্ব।

মতিন-আলাউদ্দিন গ্রুপ সামন্তবাদের সাথে কৃষকের দ্বন্দ্বকে প্রধান বলেন। এদের মতে পূর্ববাংলা আধা উপনিবেশ।

পূর্ববাংলার সর্বহারা পার্টি ভারতীয় সম্প্রসারণবাদের সাথে পূর্ববাংলার জনগণের জাতীয় দ্বন্দ্বকে প্রধান দ্বন্দ্ব বলে। এ থেকে আসে পূর্ববাংলা ভারতের উপনিবেশ।

এ বিশ্লেষণ থেকে সামরিক ক্ষেত্রে সর্বহারা পার্টির লাইন হচ্ছে জাতীয় মুক্তিযুদ্ধ, জাতীয় শত্রু খতমের মাধ্যমে গেরিলা যুদ্ধ শুরু করা। এ জাতীয় শত্রুরা একই সাথে জনগণ কর্তৃক ঘৃণীত এবং সরকারের চোখ-কান।

হক, তোহা, আমজাদের বিশ্লেষণের ভিত্তিতে গৃহীত সামরিক লাইন হচ্ছে জাতীয় মুক্তিযুদ্ধ, এবং স্বাভাবিকভাবেই জাতীয় শত্রু খতমের মাধ্যমে গেরিলা যুদ্ধ সূচনা করা।

কাজেই জাতীয় শত্রু নির্ণয়ের প্রশ্নে অর্থাৎ সামরিক লাইনে হক, তোহা, আমজাদের সাথে সর্বহারা পার্টির পার্থক্য নেই। তারা যাদেরকে জাতীয় শত্রু বলেন, সর্বহারা পার্টিও তাদেরকে জাতীয় শত্রু বলে। কাজেই সামরিক লাইন ও অনুশীলনের বর্তমান মুহুর্তে  “জাতীয় শত্রু খতমের মাধ্যমে জাতীয় মুক্তিযুদ্ধ শুরু কর” —এ শ্লোগানের ভিত্তিতে হক, তোয়াহা, আমজাদ গ্রুপের সাথে সর্বহারা পার্টির ঐক্য সম্ভব। এ জাতীয় শত্রু খতমের প্রক্রিয়ায় পুলিশ, বিডিআর, রক্ষী বাহিনী, ভারতীয় বাহিনী প্রভৃতিদের ঘেরাও দমনের বিরুদ্ধে গণযুদ্ধের রণনীতি ও রনকৌশল প্রয়োগে সর্বহারা বিপ্লবীদের মধ্যে কোন পার্থক্য থাকতে পারে না।

কাজেই গ্রাম মুক্ত করা, গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনা এবং ঘাঁটি এলাকা গঠন প্রভৃতি সামরিক অনুশীলন অর্থাৎ সশস্ত্র সংগ্রাম আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে পরিচালনা করতে পারি।

এ অনুশীলনের প্রক্রিয়ায় প্রমাণিত হবে ভারত-রাশিয়া উভয়ে, না শুধুমাত্র ভারতীয় সম্প্রসারণবাদ প্রধান শত্রু।

উপরোক্ত বিশ্লেষণ থেকে দেখা যায় জাতীয় শত্রু খতমের মাধ্যমে জাতীয় মুক্তির গেরিলা যুদ্ধ সূচনা থেকে ঘাঁটি এলাকা গঠনের পর্যায় পর্যন্ত প্রধান দ্বন্দ্বের প্রশ্নে আভ্যন্তরীণ বিতর্ক বজায় রেখেও অনুশীলনের ভিত্তিতে আমদের ঐক্য বজায় রেখে কাজ করা সম্ভব।

সাংগঠনিক ঐক্য

সাংগঠনিক ঐক্যের পূর্বে প্রয়োজন মতাদর্শগত ঐক্য।

মতাদর্শগত ঐক্য না হলে সাংগঠনিক ঐক্য টিকতে পারে না। তার প্রমান হচ্ছে হক-তোয়াহা-মতিন-আলাউদ্দিন, দেবেন-বাসারদের বিভক্ত হয়ে পড়া, হক-তোয়াহাদের বিভক্ত হয়ে পড়া, মতিন-আমজাদদের বিভক্ত হয়ে পড়া। কাজেই সাংগঠনিক ঐক্যের ভিত্তি হচ্ছে মতাদর্শগত ঐক্য।

এ ঐক্য প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে ঐক্যে ইচ্ছুক বিপ্লবীরা একে অপরকে কমরেডসুলভ সমালোচনা ও নিজেরা আত্মসমালোচনা করবেন।

প্রকাশ্য সমালোচনা পরিহার করবেন এবং ঐক্য বিষয়ক কাজকে প্রাধান্য দিবেন, ঐক্য ব্যাহত হয় এরূপ কার্য পরিহার করবেন।

ঐক্যে ইচ্ছুক নয় এমন আন্তরিক বিপ্লবীদের সাথেও সংযোগ স্থাপনা করা, তাদেরকে ঐক্যের পক্ষে বুঝানো, ধীরে ধীরে তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।

কেবলমাত্র ঐক্যে অনিচ্ছুক প্রমাণিত শত্রুচরদেরই প্রকাশ্যে মুখোশ উন্মোচন করা।

মতাদর্শগত ঐক্যের উদ্দেশ্যে বিভেদপন্থীবাদ, আঞ্চলিকতাবাদ, উপদলবাদ ও গোড়ামীবাদ বিরোধী শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করা। এ শুদ্ধি অভিযান পরিচালনায় ঐক্যে ইচ্ছুকদের একে অপরকে সহায়তা করা এবং একে অপরের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা।

এ প্রক্রিয়ায় বিভেদপন্থীবাদ, আঞ্চলিকতাবাদ, উপদলবাদ এবং গোড়ামীবাদ মুক্ত কমরেডগণ সাংগঠনিকভাবে ঐক্যের পদক্ষেপ নিবেন।

এ প্রক্রিয়ায় ঐক্যে ইচ্ছুক আন্তরিক বিপ্লবীদের কেডার ইতিহাস সংগ্রহ করা এবং সাংগঠনিকভাবে ঐক্যের সময় তা বিবেচনা করা। এর ফলে এজেন্ট ও খারাপ লোকদের অনুপ্রবেশ ব্যাহত হবে। ঐ ঐক্যের সাংগঠনিক লাইন হচ্ছে গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতা।

পূর্ববাংলার বর্তমান ও অতীত রাজনৈতিক প্রশ্ন

রাজনৈতিক প্রশ্নে বিতর্কমূলক বিষয়ে অনুশীলন প্রমাণ ব্যতীত সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিরত থাকা। কারণ অনুশীলনসিদ্ধ নয় এরূপ প্রশ্নে তত্ত্ব থেকে সিদ্ধান্ত নিতে গেলে ঐক্য বিনষ্ট হবে।

রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ঐক্যমতে পৌঁছানো সম্ভব এরূপ বিষয়সমূহ খুঁজে বের করা, বিতর্কিত বিষয়সমূহে মার্কসবাদ-লেনিনবাদ-মাওসেতুঙ চিন্ত্রাধারার মৌলিক নীতি ও অনুশীলনের ভিত্তিতে একটি একটি করে ঐক্যে পৌঁছানো।

পূর্ববাংলার অতীত রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সম্পর্কেও বিতর্কমূলক প্রশ্নে সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিরত থাকা।

মতিন-আলাউদ্দিন প্রসঙ্গে

এরা সামন্তবাদের সাথে কৃষকের দ্বন্দ্বকে প্রধান বলেন। শ্রেণী শত্রু খতমের মাধ্যমে গেরিলাযুদ্ধ চালাতে চান।

শ্রেণী শত্রু হিসেবে জনগণ কর্তৃক ঘৃণিত সরকারের চোখ-কান যদি খতম করা হয় তবে সর্বহারা পার্টির জাতীয় শত্রু খতমের লাইনের সাথে সামরিক অনুশীলনে এর কোন পার্থক্য নেই।

শ্রেণী শত্রু না জাতীয় শত্রু এ প্রশ্নে সর্বহারারা বিভক্ত না হয়েও সামরিক অনুশীলনে নিম্নোক্ত সাধারণ শ্লোগান নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে পারে।

‘গ্রামসমূহকে প্রতিক্রিয়াশীলদের কব্জা থেকে মুক্ত কর।’

এ কব্জা ভাঙ্গার প্রক্রিয়ায় পুলিশ, বিডিআর, রক্ষী বাহিনী, সেনাবাহিনী এলে তাদের বিরুদ্ধে গণযুদ্ধের রণনীতি ও রণকৌশল প্রয়োগে কোন দ্বিমত সর্বহারা বিপ্লবীদের থাকতে পারেনা।

এ অনুশীলনের প্রক্রিয়ায় প্রমাণিত হবে পূর্ববাংলার প্রধান দ্বন্দ্ব।

কাজেই প্রধান দ্বন্দ্বের প্রশ্নে বিভক্ত না হয়ে আভ্যন্তরীণ বিতর্ক চালিয়েও সামরিক অনুশীলনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করা সম্ভব।

দেবেন-বাসার প্রসঙ্গে

এরা প্রকাশ্য ও গণসংগঠনের কাজ করতে চান। এ পরিপ্রেক্ষিতে সর্বহারা পার্টির বিরোধ নেই।

তবে গোপন পার্টি কাজ ও সশস্ত্র সংগ্রাম প্রধান কাজ।

মার্কসবাদ-লেনিনবাদ-মাওসেতুঙ চিন্তাধারাকে তাত্ত্বিক ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করা, সোভিয়েট সামাজিক সাম্রাজ্যবাদের নেতৃত্বে আধুনিক সংশোধনবাদকে বিরোধিতা করা, ভ্রাতৃপ্রতীম পার্টিসমূহ সম্পর্কে প্রকাশ্যে সমালোচনা না করা, দেশীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে বিতর্কমূলক বিষয়ে প্রকাশ্যে মতামত পেশ না করা, সাংগঠনিক ও মতাদর্শগত ক্ষেত্রে বিভেদপন্থীবাদ, উপদলবাদ, আঞ্চলিকতাবাদ, গোড়ামীবাদ, কর্মপদ্ধতির ক্ষেত্রে প্রকাশ্য ও গৌণ কাজের সম্পর্কের উপর শুদ্ধি অভিযান পরিচালনার ভিত্তিতে ভুল চিন্তাধারা ও ভুল কর্মপদ্ধতি পরিহার করে সাংগঠনিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়া সম্ভব।

সাংগঠনিক লাইন হবে গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতা। অনুশীলন প্রমাণিত নয় এরূপ বিষয়ে তত্ত্বগত বিতর্ক করেই সিদ্ধান্ত না নেওয়া যাতে ঐক্য বিনষ্ট না হয়।

উপসংহার

দেশীয় আন্তর্জাতিক অনুশীলনে প্রমাণিত নয় এরূপ প্রশ্নে তত্ত্বগত বিতর্ক করেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা বা বিভক্ত হওয়া বা বিভক্ত থাকা উচিত নয়।

পার্টির নেতৃত্বে প্রধান ধরনের সংগঠন হচ্ছে সশস্ত্র বাহিনী এবং প্রধান ধরনের সংগ্রাম হচ্ছে সশস্ত্র সংগ্রাম।

উপনিবেশিক বা আধা-উপনিবেশিক, সামন্তবাদী বা আধা-সামন্তবাদী দেশে গ্রামসমূহ মুক্ত করা, ঘাঁটি এলাকা গঠন করা, গ্রাম দখল করে শহর ঘেরাও করা এবং শেষ পর্যন্ত শহরসমূহ দখল করা হচ্ছে বিপ্লবের মৌলিক বৈশিষ্ট্য।

কাজেই প্রধান ধরনের সংগঠন গড়ে তোলা, প্রধান ধরনের সংগ্রাম এবং বিপ্লবের মৌলিক বৈশিষ্ট্যসমূহের ক্ষেত্রে আমাদের অনুশীলনে ঐক্য সম্ভব। অর্থাৎ ঐক্যের দিকই হচ্ছে প্রধান, অনৈক্যের দিক গৌণ। কাজেই রাজনৈতিক বা অন্যান্য ক্ষেত্রে বিতর্ক চালিয়ে যেয়েও ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা সম্ভব।

আমরা আশা করি আন্তরিক বিপ্লবীরা মার্কসবাদ-লেনিনবাদ-মাওসেতুঙ চিন্তাধারার সার্বজনীন সত্য এবং অনুশীলনের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হবেন।

বিভিন্ন প্রশ্নে বিতর্কের জন্য বিভক্ত হয়ে পার্টির অধীন প্রধান সংগঠন (সশস্ত্র বাহিনী), প্রধান ধরনের সংগ্রাম সশস্ত্র সংগ্রাম এবং ঘাঁটি এলাকা গঠনের প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করা উচিত নয়। কারণ জনগণের গণবাহিনী ছাড়া কিছুই নেই এবং ঘাঁটি এলাকা প্রতিষ্ঠা হচ্ছে বিপ্লবের গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। ঘাঁটি এলাকায়ই বিভিন প্রশ্নে বিতর্ক করা, গবেষণা এবং তা সমাধান করা শ্রেয় হবে।

পূর্ববাংলার ও বিশ্বের সর্বহারা শ্রেণী, জনগণ ও বিপ্লবের স্বার্থে আসুন, আমরা ঐক্যবদ্ধ হই