ভুল চিকিৎসার শিকার তসলিমা নাসরিন

বাংলাদেশের নারী আন্দোলনের একজন নেত্রী তসলিমা নাসরিন। তিনি ১৯৯০ দশকে ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ করলে বাংলাদেশের মোল্লাতন্ত্র তার বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তাই তিনি দেশত্যাগ করেছিলেন। দেশত্যাগ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে থাকতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সেখানকার মোল্লাতন্ত্রের চাপে তাকে

তসলিমা নাসরিন

তসলিমা নাসরিন

সরে যেতে হয়েছিল। তিনি সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলিতে ঘুরে বেড়িয়ে আবার ভারতে আসেন। ভারতের হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে বাংলাদেশের মুসলমান রোগী মনে করে ভুল চিকিৎসা করে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। অপ্রয়োজনীয়ভাবে কোমরের হাড় প্রতিস্থাপন করে তাকে পঙ্গু করে দেয়া হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।

তসলিমা নাসরিন সাম্রাজ্যবাদী মার্কিন-পশ্চিম ইউরোপ ও ভারতীয় সম্প্রসারণবাদের কাছে আশ্রয় নিয়েছিলেন যাদের ইসলামোফোবিয়া নামে সমস্যা আছে। এরা ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে বিষেদগার করে মুসলমান সম্প্রদায়ের লোকদের বিরুদ্ধে ঘৃণা সৃষ্টি করে। একই ঘৃণার শিকার আজকে তসলিমা নিজেও। আমরা জানি তসলিমা একজন প্রগতিশীল নারীবাদী ও নিরীশ্বরবাদী। কিন্তু তার ভুল ছিল বাংলাদেশের ইসলাম ধর্মবাদের বিরোধিতা করে হিন্দুত্ববাদ ও সাম্রাজ্যবাদের কাছে আশ্রয় গ্রহণ। তাহলে তিনি কোথায় যাবেন? তাকে নিজদেশেই থাকতে হবে। ধর্মবাদ, সামন্ততন্ত্র, পুঁজিতন্ত্র ও সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে নিজদেশে টিকে থাকা যায় ও জনগণের মুক্তি আনয়ন করা যায়। নারীমুক্তিও সাধন করা যায়। এভাবে এদেশে কোটি কোটি নারীপুরুষ লড়াই করে টিকে আছেন। সুতরাং তিনিও থাকতে পারবেন। জনগণের মধ্যে টিকে থাকতে হবে যেমন মাছ পুকুরে থাকে তেমনভাবে। শোষকদেরকে ইঞ্চি ইঞ্চি করে হলেও উচ্ছেদ করতে হবে। শোষকদের মতাদর্শকে পরিপুর্ণভাবে বিরোধিতা করতে হবে।  পুরুষতন্ত্র টিকে আছে পুঁজিবাদ ও সামন্তবাদের ভিত্তিতে। সুতরাং নারীমুক্তি আন্দোলন পুঁজিবাদ ও সামন্তবাদ বিরোধিতার সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। এসবই তসলিমা জানেন। তিনি সাম্যবাদকে সমর্থনও করেন। কিন্তু শোষকদের একটিকে বিরোধিতা করে অন্যটির ব্যাপারে নিরব থাকলে অথবা তাদের উদ্দেশ্য বুঝেও আশ্রয় গ্রহণ করলে তাদের ফাঁদে পড়তে হবে। আর এটাই তসলিমার জীবনে ঘটেছে। আমরা তসলিমার সুস্থ জীবন কামনা করি।।