মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবাদ-বিরোধী গণউত্থান

২৫ মে ২০২০ তারিখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিলিয়নোপলিস রাজ্যে চার পুলিশ মিলে আফ্রো আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েডকে কাঁধে হাঁটু চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। মৃত্যুর আগে তিনি অনুনয় করে

চার পুলিশ মিলে আফ্রো আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েডকে কাঁধে হাঁটু চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। মৃত্যুর আগে তিনি অনুনয় করে বলেছিলেনঃ আমি শ্বাস নিতে পারছিনা। বর্বররা তার কথায় কান দেয়নি।

চার পুলিশ মিলে আফ্রো আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েডকে কাঁধে হাঁটু চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। মৃত্যুর আগে তিনি অনুনয় করে বলেছিলেনঃ আমি শ্বাস নিতে পারছিনা। বর্বররা তার কথায় কান দেয়নি।

বলেছিলেনঃ আমি শ্বাস নিতে পারছিনা। বর্বররা তার কথায় কান দেয়নি। এ ঘটনায় কৃষ্ণাঙ্গ-শ্বেতাঙ্গ নির্বিশেষে সমগ্র মার্কিন জনগণ দেশব্যাপী বিদ্রোহে ফেঁটে পড়েন। রাষ্ট্র ৪০টি শহরে কারফিউ জারি করে। কারফিউ জনগণকে দমাতে পাারেনি। হোয়াইট হাউসের সামনে বিক্ষোভরত জনতার ভয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মাটির নিচের বাংকারে লুকায়। সে একজন বর্ণবাদী হিসেবে গণবিদ্রোহ দমনে সেনাবাহিনী নামাতে চায় যা বুর্জোয়াদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অনুমোদন দেয়নি। বর্ণবাদ হচ্ছে শোষণমূলক সমাজের একটি দৃষ্টিভংগী-মত যা নিজ গাত্ররংকে অন্যদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ মনে করে একটি বিশেষ শোষণ-নিপীড়ণ কাঠামো তৈরি করে পুঁজিবাদের মূল শোষণ-নিপীড়ণের কাঠামোর ভিতর। এই  বর্ণবাদ মার্কিন সমাজে টিকে আছে যুগ যুগ ধরে। এর বিরুদ্ধে ১৯৬০ দশকে ব্ল্যাক প্যান্থারের সশস্ত্র সংগ্রামের উদ্ভব ঘটেছিল। আজকের সংগ্রাম একই বাস্তবতার প্রতিফলন। ইউরোপের প্যারিসেও একই সংগ্রাম ছড়িয়ে পড়েছে।

আমরা আন্তর্জাতিক বর্ণবাদ-বিরোধী সংগ্রামে সংহতি জানাই।।