ফেনীর সোনাগাজী থেকে ভোলার বোরহানুদ্দিন

ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফীর ওপর যৌন নিপীড়ণ চালায় মাদ্রাসার অধ্য়ক্ষ সিরাজ উদদৌলা, যেমন সে অন্য় ছাত্রীদের ওপরও চালায়। নুসরাত অন্যদের মত না। সে চুপ করে থাকবেনা। সে এর বিচার দাবী করে। থানায় এজাহার দিতে গেলে ওসি মোয়াজজেম তার ওপর নির্যাতন চালায়। ধর্ষক গ্রেফতার হলে সে জেল থেকে তার সাঙাত আলীগ বাজাদ নেতাদের, রাষ্ট্রযন্ত্রের লোকদের, তার ছাত্র ছাত্রীদর অনেককে নির্দেশ দেয় তথাকথিত আলেম সমাজের সম্মান রক্ষা করতে রাফিকে চাপ দিতে যাতে সে মামলা তুলে নেয়। অন্য়থায় তাকে পুড়িয়ে মারার নির্দেশ দেয় সে। সেই মতো রাফিকে তারা পরীক্ষার হল থেকে ডেকে নিয়ে চাপ দেয় কেস তুলে নিতে।

নুসরাত জাহান রাফি শোষকদের সম্মিলিত নির্যাতনে মারা যায়

নুসরাত জাহান রাফি শোষকদের সম্মিলিত নির্যাতনে মারা যায়

রাফি অস্বীকৃতি জানালে তার শরীরে তারা কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালায ৬ এপ্রিল ২০১৯। ১০ এপ্রিল ২০১৯ ঢামেক হাসপাতালে সে মারা যায়। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত সে দৃঢ় থাকে। নিপীড়কদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করে, এদের সকলের নাম প্রকাশ করে। ওসি মোয়াজ্জেমসহ পুলিসদের শাস্তি হযনি। সিরাজসহ ১৬ আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে বুর্জোয়া আদালত। যদিও উচ্চতর আদালতে তা বহাল থাকবে কিনা, থাকলে কতটা কার্যকর হবে সংশয় রযেছে জনগনের মধ্য়ে।

ভোলার বোরহানুদদিনে ১৭ অক্টোবর বিপ্লব শুভর ফেবু হ্য়াক করে ইসলাম ধর্মবাদীরা মুসলিম আল্লা ও মোহাম্মদের নিন্দা ছড়িয়ে সামপ্রদাযিক দাংগা বাঁধানোর পায়তারা করে। পরের দিন তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুলিশের গুলিতে ৪ জন মারা যায়। এরা হয় ধর্মবাদী অথবা প্রতারিত জনগনের পশ্চাদ অংশ। ধর্মবাদীরা ২০১২ সালের কক্সবাজারের রামু ও ২০১৬ সালের ব্রাহ্মনবাড়িয়ার নাসিরনগরের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটানোর প্রবল প্রচেষ্টা চালায়। কিন্তু এবার শুধু কয়েকটি হিন্দু সম্প্রদাযের ধর্মশালা ও বাড়িতে হামলা চালাতে পেরেছে, ব্যাপকভাবে পারেনি।

বাংলাদেশের গ্রাাম এলাকা সামন্ততান্ত্রিক। এখানে ধর্ম ও ধর্মবাদীরা অনেক জাযগায় নিয়ন্ত্রক। এরা নারী নির্যাতন চালায। সাম্প্রদায়িক দাংগা বাঁধায়। ভিন্ন ধর্মের লোক ও তাদের ঘরবাড়ির ওপর হামলা করে, লুটতরাজ চালায়। এরা প্রগতিশীলদের ওপর গনহত্য়া চালায়, তাদের এলাকা থেকে বিতাড়িত করার চেষ্টা করে। ধর্মের মান রক্ষার নামে তারা জালেমদের মান রক্ষার কথা বলে।।