সিরাজ সিকদার রচনাঃ সুকান্ত প্রসঙ্গে

সিরাজ সিকদার

সিরাজ সিকদার


পূর্ববাংলার সর্বহারা পার্ট কর্তৃক রচনা ও প্রকাশ অক্টোবর ১৯৭৩

কমিউনিস্ট পার্টি মার্কসবাদী-লেনিনবাদী-মাওবাদী বাংলাদেশ কর্তৃক সর্বহারা পথ (www.sarbaharapath.com) এর অনলাইন প্রকাশনা ২৮ নভেম্বর ২০১৪


পিডিএফ

[এটা “গণযুদ্ধের পটভূমি” শীর্ষক কবিতা সংকলনের ভুমিকার পরে সংযুক্ত করা হয়। সুকান্ত ভট্রাচার্য ছিলেন ১৯৪০ দশকে বাংলা সাহিত্যের একজন বিখ্যাত কবি। একই সাথে তিনি ছিলেন ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির একজন সক্রিয় কর্মী। তিনি সেই পার্টির ভাবধারাকে প্রতিফলিত করেছিলেন, যে পার্টি কিনা সংশোধনবাদী লাইনে নিমজ্জিত ছিল। তাই, এক ক্ষণজন্মা প্রতিভা বিরাট সীমাবদ্ধতার দ্বারা আবদ্ধ ছিল যা তিনি ভাঙতে পারেননি — সিপিএমএলএম বাংলাদেশ]

সুকান্তের কবিতা ভারতীয় সম্প্রসারণবাদ, সামাজিক সাম্রাজ্যবাদ এবং সাম্রাজ্যবাদের দালাল শেখ মুজিব পাঠ করে, প্রশংসা করে। সংশোধনবাদীরাও একে সমাদর করে। এর কারণ শ্রেণী সংগ্রাম বুর্জোয়া এমনকি বড় বুর্জোয়াদের নিকটও গ্রহণীয় (লেনিন)।

সুকান্ত শ্রেণী সংগ্রামের কথাই বলেছেন। কিন্তু শ্রেণী সংগ্রামের অনিবার্য পরিণতি সর্বহারার একনায়কত্ব (বর্তমানে ও তখন জনগণের গণতান্ত্রিক একনায়ত্ব যা সর্বহারার একনায়ত্বের একটি রূপ) প্রতিষ্ঠার স্বীকৃতি তার কবিতায় নেই।

সর্বহারা শ্রেণীর শ্রেণী সংগ্রাম পরিচালনার বৈজ্ঞানিক তাত্ত্বিক ভিত্তি মার্কসবাদ-লেনিনবাদ (বর্তমানে মার্কসবাদ-লেনিনবাদ-মাওসেতুঙ চিন্তাধারা) এবং শ্রেণীসংগ্রাম পরিচালনার জন্য সর্বহারা শ্রেণীর রাজনৈতিক পার্টি তার কবিতায় অনুপস্থিত।

জনগণের গণতান্ত্রিক একনায়ত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য পার্টির নেতৃত্বে সশস্ত্র এবং অন্যান্য সংগ্রামের বিপ্লবী অনুশীলন সুকান্তের কবিতায় প্রতিফলিত হয়নি।

এগুলো হচ্ছে সুকান্তের সীমাবদ্ধতা।

এ কারণে বুর্জোয়া এমনকি বড় বুর্জোয়াদের নিকটও সুকান্ত গ্রহণীয়।

পূর্ববাংলার ইন্দু সাহার ক্ষেত্রেও একই বক্তব্য প্রযোজ্য