পূর্ববাংলার সর্বহারা পার্টি কর্তৃক রচনা ও প্রকাশ সম্ভবতঃ এপ্রিল ১৯৭৩
কমিউনিস্ট পার্টি মার্কসবাদী-লেনিনবাদী-মাওবাদী বাংলাদেশ কর্তৃক সর্বহারা পথ (www.sarbaharapath.com) এর অনলাইন প্রকাশনা ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪
পিডিএফ
পূর্ববাংলার সর্বহারা পার্টির প্রথম কেন্দ্রীয় কমিটির অষ্টম পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন সাফল্যজনকভাবে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় কেন্দ্রীয় কমিটির সকল সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। সভায় কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সভাপতিত্ব করেন।
সভায় অন্যান্য সিদ্ধান্তের মাঝে নিম্নলিখিত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়।
পূর্ববাংলার জাতীয় গণতান্ত্রিক বিপ্লবের জাতীয় বিপ্লব প্রধান। এই জাতীয় গণতান্ত্রিক বিপ্লব পরিচালনার জন্যে একটি সংগঠন প্রয়োজন যা জাতীয় চরিত্র সম্পন্ন।
যেহেতু জাতি বিভিন্ন শ্রেণী, স্তর ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিয়ে গঠিত হয়, এ কারণে এদের প্রতিনিধি সম্বলিত সংগঠন হয় — সর্বত্রই জাতীয় চরিত্র সম্পন্ন হতে পারে।
পূর্ববাংলার ভৌগলিক সীমারেখার মাঝে বসবাসকারী জতিগত ও ভাষাগত সংখ্যালঘু জনগণের মুক্তিও পূর্ববাংলার জনগণের মুক্তির সাথে জড়িত। এ কারনে পূর্ববাংলার জাতীয় চরিত্র সম্পন্ন সংগঠনে এদের প্রতিনিধিত্ব থাকা প্রয়োজন এদের সংগ্রামকে সম্বলিত করার জন্য।
বর্তমান যুগে সর্বহারা শ্রেণীর নেতৃত্ব ব্যতীত জাতির মধ্যকার বিভিন্ন শ্রেণী, স্তর এবং সংখ্যালঘু জনগণ নিজেদের সংগঠিত করা ও নিজের মুক্তি আনয়ণ করতে পারে না।
এ কারণে সর্বহারা শ্রেণীর নেতৃত্বে একটি জাতীয় চরিত্র সম্পন্ন এবং ভাষাগত ও জাতিগত সংখ্যালঘু জনগণের প্রতিনিধি রয়েছে এরূপ সংগঠন গড়ে তোলা এবং এর নেতৃত্বে জাতীয় গণতান্ত্রিক বিপ্লব পরিচালনা ও সম্পন্ন করা প্রয়োজন।
এ জাতীয় চরিত্র সম্পন্ন সংগঠনের নাম পূর্ববাংলার জাতীয় মুক্তিফ্রন্ট।
আমরা যদি পার্টি, ফ্রন্ট এবং দেশপ্রেমিক বাহিনী যথাযথভাবে পরিচালনা করতে পারি, তাহলে বিপ্লবের বিজয় অনিবার্য।
এ কারণে জাতীয় মুক্তিফ্রন্ট গঠন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হচ্ছে।
● নিম্নলিখিত গণসংগঠনসমূহ গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হচ্ছে। এ সংগঠনসমূহ শত্রু এলাকায় গোপনভাবে এবং মুক্ত এলাকায় প্রকাশ্য-আধা প্রকাশ্যভাবে কাজ করবে।
▬ শ্রমিক ও কর্মচারী মুক্তি সমিতি;
▬ ছাত্র-যুব মুক্তি সমিতি;
▬ ধর্মীয় সংখ্যালঘু মুক্তি পরিষদ;
▬ দেশপ্রেমিক ওলেমা সমিতি;
▬ নারী, শিল্প-সংস্কৃতি, সংবাদপত্র ও সাহিত্য মুক্তি সমিতি;
▬ দেশপ্রেমিক ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি সমিতি;
▬ কৃষক মুক্তি সমিতি;
▬ জাতিগত সংখ্যালঘু মুক্তি পরিষদ;
▬ জেলে, বেদে এবং অন্যান্য পেশাভিত্তিক সংগঠন গড়ে তোলা।
এ সকল গণসংগঠনসমূহ পরিচালনার জন্য নির্দিষ্ট কমরেডদের নিয়োগ করা হয়।
তারা প্রয়োজনীয় কমিটি, গ্রুপ গঠন করবে যথাযথ স্তরের অনুমতি নিয়ে।
প্রতি অঞ্চল জনগণকে উপরোক্ত গণসংগঠনসমূহে সংগঠিত করবে।
● পূর্ববাংলার সশস্ত্র দেশপ্রেমিক বাহিনীর সর্বোচ্চ পরিচালকমণ্ডলী গঠন করা হয়। সর্বোচ্চ পরিচালক মণ্ডলের সভাপতি এবং সশস্ত্র দেশপ্রেমিক বাহিনীর সর্বোচ্চ অধিনায়ক ও রাজনৈতিক কমিশার হিসেবে সিরাজ সিকদারকে নিযুক্ত করা হয়।
● (১) পূর্ববাংলার সর্বহারা পার্টি, (২) পূর্ববাংলার সশস্ত্র দেশপ্রেমিক বাহিনী, (৩) শ্রমিক-কর্মচারী মুক্তি সমিতি, (৪) ছাত্র-যুব মুক্তি সমিতি, (৫) ধর্মীয় সংখ্য্যালঘু মুক্তি পরিষদ, (৬) দেশপ্রেমিক ওলেমা সমিতি, (৭) নারী, শিল্প-সংস্কৃতি, সংবাদপত্র ও সাহিত্য মুক্তি সমিতি, (৮) দেশপ্রেমিক ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি সমিতি, (৯) কৃষক মুক্তি সমিতি, (১০) জাতিগত সংখ্যালঘু মুক্তি পরিষদ জাতীয় মুক্তিফ্রন্টে যোগদান করার সিদ্ধন্ত নিচ্ছে।
ফ্রন্টের উপরোক্ত সংগঠনসমূহের প্রতিনিধিত্ব করার জন্যে প্রতিনিধি ঠিক করা হয়।
● দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সর্বহারা শ্রেণীর স্বার্থমত কাজসমূহ পার্টি চালিয়ে যাবে ফ্রন্টের মধ্যে ও বাইরে। উদাহরণস্বরূপ—
পার্টি ও তার লাইনসমূহ জনপ্রিয় করা, সরাসরি পার্টিতে লোক সংগ্রহ করা, বিভিন্ন আকৃতির সংশোধনবাদীদের মুখোশ উন্মোচন করা, সর্বহারা বিপ্লবীদের ঐক্যবদ্ধ করা অর্থাৎ শ্রেণীগত ঐক্য স্থাপন ও বজায় রাখা, পার্টি স্বাধীনতা ও উদ্যোগ নিয়ে ফ্রন্টের মধ্যে ও বাইরে কাজ করে যাবে।
অন্যান্য তথাকথিত মার্কসবাদীদের বিলুপ্তি, ফ্রন্টে অন্যান্য বামপন্থী বিপ্লবী/গ্রুপসমূহের যোগদানের পর ফ্রন্টের বাইরে পার্টির স্বতন্ত্র তৎপরতার প্রয়োজন হবে না।
পার্টির বাইরে কমরেড সিরাজ সিকদারের নামে শ্লোগান পেশ করা স্থগিত থাকবে। ইহা পার্টির অভ্যন্তরস্থ শ্লোগান হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
পার্টির নেতা সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুকদের কমরেড সিরাজ সিকদারকে নেতা হিসেবে জানানো যাবে।
অন্যান্য শ্লোগান পূর্বের মত অব্যাহত থাকবে।
● ফ্রন্টে যোগদানে ইচ্ছুকদের বিভিন্ন গণসংগঠনে রিক্রুট করা। সেখানে সক্রিয়দের জাতীয় গণতান্ত্রিক বিপ্লবে পার্টির নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা বুঝানো, পার্টিতে যোগদানে ইচ্ছুকদের পাঠচক্রে সংগঠিত করা, এভাবে ফ্রন্টে পার্টির কাজ চালাতে হবে।
● পূর্ববাংলার জাতির অংশ হিসেবে বিভিন্ন দেশপ্রেমিক বামপন্থী (গোপন ও প্রকাশ্য) গ্রুপসমূহকে ফ্রন্টে যোগদান করে তাদের জাতীয় সংগ্রামকে ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানানো।
● বিভিন্ন দেশপ্রেমিক শ্রেণী, স্তর, দল, গ্রুপ, ব্যক্তি এবং সংখ্যালঘু জনগণকে ফ্রন্টে ঐক্যবদ্ধ করার প্রচেষ্টা চালানো।
● বিভিন্ন অঞ্চলে ফ্রন্টের আঞ্চলিক কমিটি গঠন, ফ্রন্টের সংগঠনসমূহের জন্য লোক নিয়োগ করা।
একইভাবে উপ অঞ্চল ও নিম্নতর সংস্থায় কাজ হবে।
● জাতীয় মুক্তিফ্রন্টের অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কমিটির এবং সভাপতির নাম প্রস্তাব করা হয়। কেন্দ্রীয় কমিটিকে নিম্নলিখিত দায়িত্ব প্রদানের প্রস্তাব করা হয়ঃ
১। ফ্রন্টের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা।
২। কর্মসূচী ও সংবিধান প্রণয়ন।
৩। জাতীয় কংগ্রেস অনুষ্ঠিত করা এবং পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা।
৪। অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কমিটি ফ্রন্টের কার্যাবলী চালাবে, কেন্দ্রীয় কমিটির সভা চলবে না এরূপ সময় সভাপতি ফ্রন্টের কাজ চালাবে।
৫। কেন্দ্রীয় কমিটিতে প্রয়োজনীয় সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে (কো অপ্ট)।
●জনৈক কমরেড সম্পর্কিত দলিলের উপর বিভিন্ন স্তরের পরিচালক ও নেতৃস্থানীয় কর্মীদের মতামত হচ্ছেঃ
উক্ত কমরেডকে কোন নেতৃস্থানীয় নীতি নির্ধারণী, নিরাপত্তা জনিত এবং সাংগঠনিক কাজ রয়েছে এরূপ পদে নিয়োগ না করা।
উপরোক্ত মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত কমরেডকে কেন্দ্রীয় কমিটির পূর্ণাঙ্গ সদস্যপদ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।
● সশস্ত্র বাহিনী দিবস (৩০শে এপ্রিল), আন্তর্জাতিক শ্রম দিবস (১লা মে), পার্টি দিবস (পূর্ববাংলার সর্বহারা পার্টির দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠা দিবস ৩রা জুন ১৯৭৩ সাল) উদযাপন করা।
এ সকল দিবস উদযাপন উপলক্ষে পার্টির ইতিহাস তাৎপর্য পর্যালোচনা করা। এ উপলক্ষে বিভিন্ন স্তর উদযাপনী সভা করবে।
পার্টি দিবস উপলক্ষে পার্টির বিগতকালিন অভিজ্ঞতার সারসংকলন প্রকাশ করা।
● সংগঠনের সর্বত্রই একই অবস্থা বিরাজ করবে না। কোন এলাকা উন্নত, কোন এলাকা পশ্চাদপদ, মাঝারী, কোন এলাকায় বিকাশ প্রধান, কোন এলাকায় সুসংবদ্ধকরণ প্রধান, কোন এলাকায় সশস্ত্র সংগ্রাম প্রধান, কোন এলাকায় সশস্ত্র সংগ্রামের প্রস্তুতি, পশ্চাদপসারণ প্রধান হতে পারে।
তবে প্রতিটি এলাকাই সাধারণ লাইনের সাথে সমন্বিত করে নিজ অবস্থা অনুযায়ী কাজ করবে।
ইহা কর্মীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কিছু কর্মী হবে পশ্চাদপদ। প্রতি কর্মীর ভাল ও শক্তিশালী দিক রয়েছে, কিছু খারাপ ও দুর্বল দিকও রয়েছে।
এটা চিন্তা না করে কাজ করা হচ্ছে একতরফাবাদ। এর ফলে কাজ হবে অন্ধভাবে এবং আমরা হবো হতাশ।
● গুরুতর নিরাপত্তার সাথে জড়িতদের সুবিধাবাদী ও দলত্যাগী হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের নীতি হচ্ছেঃ
▬ শেষ পর্যন্ত বুঝানো এবং বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করা যাতে সুবিধাবাদী না হয়।
▬ এ সময়ের মাঝে নিরাপত্তা বিঘ্ন হওয়া রোধ করার জন্য বিভিন্ন প্রস্তুতি নেওয়া।
▬ এ ধরণের সম্ভাবনা রয়েছে, এরূপদের গুরুতর নিরাপত্তার সাথে জড়িত না করা।
▬ সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করার পরও গুরুতর নিরাপত্তার সমস্যা হলে শত্রু এলাকায় চরম শাস্তি প্রদান, মুক্ত এলাকায় আটক রাখা।
● সামরিক ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান হচ্ছে কেন্দ্রীয় কাজ।
এ সিদ্ধান্ত কার্যকরী করার জন্য যে সকল অঞ্চল পদক্ষেপ নিয়েছে তাদেরকে প্রশংসা করা হচ্ছে।
এ সিদ্ধান্ত কার্যকরী করার ক্ষেত্রে উক্ত অঞ্চলসমূহের ইতিবাচক ও নেতিবাচক অভিজ্ঞতার সারসংকলন করা, এর নিয়মবিধি আবিষ্কার করা, সে অনুযায়ী কাজ করা উচিত যাতে আমরা সফলতা অর্জন করতে পারি।
● সশস্ত্র প্রচার টিম একটি এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে প্রচার চালায়। এতে বিরাট সাফল্য অর্জিত হয়।
সকল এলাকায় ইহা কার্যকরী করার আহবান জানানো হচ্ছে।
● পার্টির দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে নিম্নলিখিত শহীদ কমরেডদের মৃত্যু পরবর্তীকালীন পার্টির সদস্যপদ প্রদান করা হলোঃ
১। ক. তাহের ২। ক. বাতেন ৩। ক. পলাশ ৪। ক. নয়ন ৫। ক. জিল্লু ৬। ক. সাঈদ ৭। ক. শাহিন ৮। ক. আনিস ৯। ক. কুদ্দুস ১০। ক. পিন্টু ১১। ক. রাজ্জাক ১২। ক. হিরু ১৩। ক. নজরুল।
আরো অনুসন্ধানের ভিত্তিতে পরবর্তীকালে শহীদদের সদস্যপদ প্রদান করা হবে।
● সিকিমে ভারতীয় হস্তক্ষেপ তাদের সম্প্রসারণবাদী চরিত্রকে আরো স্পষ্ট করে তুলেছে।
● টাকা বদলের সমস্যা বাংলাদেশ পুতুল সরকারের সংকটকে আরও গভীরতর করেছে। এ সংকটে জনগণের ক্ষোভ ও ঘৃণা তীব্রতর হচ্ছে।
এটা বাংলাদেশ পুতুল সরকারের বাংলাদেশকে ভারতীয় সম্প্রসারণবাদীদের নিকট বিকিয়ে দেওয়ার বিশ্বাসঘাতক কাজকে আরো স্পষ্টভাবে প্রমাণ করছে।
● ক্ষুদে বুর্জোয়ারা হয় গোড়ামীবাদী অথবা সংকীর্ণ অভিজ্ঞতাবাদী। এ কারণে তাদের চিন্তা ও কাজের পদ্ধতি হচ্ছে একতরফাবাদ, ভাসাভাসাভাব এবং আত্মগতভাব।
সাংগঠনিক ক্ষেত্রে তারা বিভেদপন্থীবাদী।
রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অর্থাৎ শ্রেণীসংগ্রামের ক্ষেত্রে তারা হয় বামে ডানে দোদুল্যমান।
লেখা-বলা ও পড়ার ক্ষেত্রে তারা হয় একঘেয়ে।
উপরোক্ত বিষয়সমূহ হচ্ছে বুর্জোয়া মতাদর্শের বিভিন্ন বহিঃপ্রকাশ।
আমাদের কর্মীরা উপরোক্ত ভুলসমূহ করেন কিনা তা প্রতিটি কাজে যাচাই করে দেখবেন।
আমাদের কাজসমূহ উপরোক্ত ক্ষুদে বুর্জোয়া বহিঃপ্রকাশ দ্বারা পরিচালত হলে আমরা বোকা ও পরাজিত হবো এবং এগুলো থেকে মুক্ত হলে আমরা বিচক্ষণ ও বিজয়ী হবো।
● উচ্চস্তরের মতামত না পাওয়া পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পরিচালকদের মতামত পেশ করতে বিরত থাকতে হবে।
তারা উক্ত বিষয়ে নিজের কর্মী, সহানুভূতিশীল, জনগণের মতামত সংগ্রহ করে উচ্চস্তরে প্রেরণ করবেন।
নেতৃস্থানীয় কর্মীরা কোন কারণবশতঃ পার্টির সাথে সংযোগ হারিয়ে ফেললে তার এলাকা যাতে বিচ্ছিন্ন না হয়ে পড়ে তার জন্যে পূর্বেই ব্যবস্থা করে রাখা।
নেতৃত্ব বিষয়ক এবং মানুষের সাথে সম্পর্ক বিষয়ক ক্লাশ নেওয়া।
নেতৃত্ব দানে সক্ষম কর্মী গড়ে তোলার প্রতি খুবই মনোযোগী হওয়া উচিত। অতীতে সংগঠন এ বিষয়ে গুরুত্ব যথাযথভাবে উপলব্ধি করেনি।
● আঞ্চলিক চাঁদা ছাড়াও প্রতি অঞ্চল তাদের সহানুভূতিশীলদের নিকট থেকে কেন্দ্র ও বিশেষ অঞ্চলের জন্যে চাঁদা সংগ্রহ করবে।
এ সংক্রান্ত আহবান ও কুপন গৃহীত হলো।
● নীতি নির্ধারণ, কেডারদের কাজে লাগানো ও তাদের মানোন্নয়ন করা পরিচালকদের দায়িত্ব।
পরিচালক যদি খুব দৌড়াদৌড়ি করে, ব্যস্ততা দেখায় তবে বুঝতে হবে নেতৃত্ব অদক্ষ।
এ প্রসঙ্গে নেতৃত্বের কতিপয় গাইড গৃহীত হলো (পরিশিষ্ট—১)।
● নেতৃস্থানীয় এবং অন্যান্য কর্মীদের সময় ব্যবহারের শতকরা হিসাব উচ্চস্তরের নিকট জমা দেওয়া। নিন্মলিখিত কাজগুলো করা অবশ্যই প্রয়োজনঃ
▬ পার্টিপ্রদত্ত দায়িত্ব পালন।
▬ নিজে পড়া।
▬ অন্যকে পড়ানো।
▬ লিখা।
▬ চিন্তা করা।
▬ ব্যায়াম ও শরীরচর্চা (হেঁটে বা সাইকেলে প্রোগ্রাম করা এর মাঝে অন্তর্ভুক্ত)।
▬ আলাপ করা।
▬ খাওয়া, বিশ্রাম, অবসর বিনোদন।
সর্বশেষ পয়েন্টটি বাদ দিয়ে বাকী পয়েন্টগুলোর জন্য যে সময় ব্যয় হয় তাকে ২৪ দিয়ে ভাগ করে ১০০ দিয়ে পূরণ করা। এভাবে শতকরা হিসাব বের করা এবং ইহা ৫০% এর নীচে হওয়া উচিত নয়।
● সাধারণ স্বাস্থ্য, অসুস্থতা, চিকিৎসা বিষয়ক জ্ঞান অর্জন করা।
● কেন্দ্রের দলিলপত্র মুদ্রণ, অর্থের প্রয়োজন, নিরাপত্তা প্রভৃতি প্রয়োজন মিটানোর পূর্বে এর অধীনস্থ এককের প্রয়োজন মেটানো চলবে না।
● অধীনস্থ একক এ নিয়ম লংঘন করলে তা চিন্তার ক্ষেত্রে একতরফাবাদ এবং সাংগঠনিক ক্ষেত্রে বিভেদপন্থীবাদের প্রকাশ হবে।
● প্রতি অঞ্চলে হিসেবের জন্য নির্দিষ্ট কমরেডকে দায়িত্ব দেওয়া।
● একটি কাজ সম্পন্ন করার প্রক্রিয়ায় চিন্তার ক্ষেত্রে কি কি প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয় তা বের করা এবং কাজটি করার পূর্বে বা প্রাক্কালে সেগুলো দূর করার জন্যে সর্বপ্রথম মতাদর্শগত সংগ্রাম করা।
কোন কাজ সম্পাদনের জন্যে একটি বিষয়ের উপরেই সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীল হয়ে যাওয়া হচ্ছে একতরফাবাদের বহিঃপ্রকাশ। এর ফলে কাজ সফল হবে না।
চিন্তার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা দূর করা সবচেয়ে প্রথম প্রয়োজন। কেননা চিন্তা কর্মকে নিয়ন্ত্রিত করে।
● সাংগঠনিক কাজের স্তর নির্ণয় করা অর্থাৎ সংগঠনের বিকাশের স্তর প্রধান না সুসংবদ্ধতার স্তর, সশস্ত্র সংগ্রাম না সাংগঠনিক বিকাশ ও সুসংবদ্ধকরণ কোনটা প্রধান তা নির্ণয় করা, সে অনুযায়ী কর্মপদ্ধতি প্রণয়ণ করা।
● পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করা, মাসিক, ষান্বাসিক, বাৎসরিক পরিকল্পনা অর্থাৎ কাজ ও সময়সীমা নির্ধারণ করা।
● কেন্দ্রীয় কমিটির সার্কুলার (প্রথম সপ্তাহ, মার্চ) গৃহীত হলো।
● কর্মীদের মানদন্ড স্থির করা।
একজন পরিচালকের নিম্নলিখিত মানদন্ড থাকা উচিতঃ
▬ উচ্চস্তর প্রদত্ত নির্দেশ, নিজের/নিজেদের সিদ্ধান্ত পালন করতে পারে;
▬ কাজে সমন্বয় সাধনে সক্ষম;
▬ রাজনৈতিক লাইন ও দলিলসমূহ বুঝে ও বুঝাতে পারে;
▬ গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে পারে;
▬ বিশেষ গোপনীয় বিষয়ে মুখ বন্ধ রাখতে পারে;
▬ উদ্যোগী;
▬ স্থানীয়ভিত্তিক প্রচারপত্র লিখতে পারে;
▬ সমস্যা রয়েছে এরূপ লোক চালাতে পারে;
▬ সাংগঠনিক ও সামরিক ক্ষেত্রে পরিচালনা করতে পারে; কমপক্ষে পাঠচক্র, কোষ ও সামরিক গ্রুপ ও সামরিক হামলা পরিচালনায় সক্ষম;
▬ পার্টি ও নেতৃত্বের প্রতি অনুগত;
▬ বিশ্বস্ত ও শৃংখলা পালন করে;
▬ আত্মস্বার্থ বিসর্জন দিতে উদ্বুদ্ধ।
▬ সাহসী;
▬বিচক্ষণ;
▬ পড়াশুনা করে;
▬ গোড়ামীবাদ ও সংকীর্ণ অভিজ্ঞতাবাদ তার প্রধান দিক নয়;
▬ অঞ্চলের সকল বিষয়ে নিজস্ব জ্ঞান রয়েছে;
▬ সুশৃংখল ও সংক্ষিপ্ত দপ্তর রাখতে পারে;
▬ মিতব্যয়ী;
▬ ত্রুটি-বিচ্যুতি সারাতে প্রচেষ্টা চালায়;
▬ অধীনস্ত, সহকর্মী ও উচ্চস্তরের সাথে ভাল সম্পর্ক রাখে;
▬ প্রেস-প্রিন্টিং সম্পর্কে ধারণা আছে;
▬ সাইকেল, সাঁতার ও নৌকা চালাতে জানে;
▬ আলোচনায় নমনীয়;
▬ সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিভেদপন্থী নয়;
▬ দৈনন্দিন জীবনে সুশৃংখল;
▬ পরামর্শ করে;
▬ কেডারদের প্রতি যথাসম্ভব যত্নশীল;
▬ প্রেমঘটিত ক্ষতিকর সমস্যা নেই;
▬ চক্রের বৈশিষ্ট্যসমূহ নেই;
▬ মার্কসবাদ সম্পর্কে মোটামুটি তত্ত্বগত ধারণা আছে;
▬ দোদুল্যমানতা নেই;
▬ নতুন পরিস্থিতিতে ঘাবড়ায় না;
▬ অভিজ্ঞতার সারসংকলন করে ভুল এড়াতে পারে;
▬ কষ্টসহিষ্ণু;
▬ পার্টির বর্তমান অস্ত্র-শস্ত্র সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা আছে;
▬ চিকিৎসা সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা আছে;
▬ যৌনশিক্ষার উপর মোটামুটি ধারণা আছে;
▬ শারীরিকভাবে মোটামুটি সুস্থ;
▬ সমালোচনা সহ্য করতে পারে;
▬ উদারতাবাদী নয়;
▬ ত্রুটি-বিচ্যুতি সমূহের প্রকৃতি বিশ্লেষণ করতে পারে এবং সারাতে পারে;
▬ প্রধান কাজ বের করতে পারে;
▬ সময় মত প্রোগ্রাম করতে পারে;
▬ সহানুভূতিশীল ও নিম্নস্তরের সাথে আলাপে ইমপ্রেসিভ;
▬ পার্টির পূর্ণাঙ্গ সদস্য হতে হবে;
▬ নীতিনির্ধারণ, কেডারদের কাজে লাগানো এবং তাদের মানোন্নয়নে সক্ষম হতে হবে;
▬ লিখিত বা মৌখিক প্রদত্ত ভাল প্রস্তাব, পরামর্শ, নির্দেশ গ্রহণ এবং তা কার্যকরী করার গুণসম্পন্ন;
▬ শিখতে আগ্রহী;
● পাঠচক্র, কোষ ও সামরিক গ্রুপের মানদন্ড নির্ণয় করা।
বিভিন্ন স্তর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের জন্যে প্রয়োজনীয় মানদণ্ড প্রস্তাব করবে।
● সফলতা ও বিফলতার জন্য আমরাই দায়ী। অঞ্চলের ভালমন্দের জন্য পরিচালক দায়ী।
● পুরোনো সমাজের পিছুটানকে অতিক্রম করতে হলে প্রথম চিন্তার ক্ষেত্রে পরিষ্কার হওয়া, অসুবিধা দূর করতে লেগে থাকা আর অসুবিধা দূর করা।
এভাবে চিন্তা, অভ্যাস ও পুরোনো সমাজের ত্রুটিসমূহ দূর করা।
● সভায় কেন্দ্রীয় কমিটির সপ্তম ইশতেহার অনুমোদিত হলো।
● সভায় সভাপতির নির্দেশ ও সিদ্ধান্তসমূহ অনুমোদিত হলো।
● সভায় সদস্যরা সমালোচনা-আত্মসমালোচনা পরিচালনা করেন।
● পরবর্তী সভার তারিখ নির্ধারণ করে সভার কাজ সাফল্যজনকভাবে সমাপ্ত হয়।
►◄
পরিশিষ্ট—১
নেতৃত্বের কতিপয় গাইড
● সার্বক্ষণিক কর্মী করার সময়—
▬ অগ্রসর চরিত্রের কিনা?
▬ চেহারা, চালচলন, কথাবার্তা অগ্রসর চরিত্রের কিনা?
▬ ইম্প্রেসিভ কিনা দেখা?
অগ্রসর চরিত্রের না হলে সার্বক্ষণিক না করা।
● নেতৃত্বের কাজ—
১। নীতি নির্ধারণঃ
▬ সমস্যা বের করা ও তার সমাধান প্রদান করা;
▬ সমস্যা বের করার জন্য রিপোর্ট নেওয়া, প্রশ্ন করা, বৈঠক দেওয়া;
▬ সমস্যা নিয়ে দলিল-তত্ত্ব পড়া;
▬ চিন্তা করা;
▬ সমাধান বের করা;
▬ সমাধান নিয়ে আলোচনা করা (প্রয়োজন হলে সভার মাধ্যমে)।
২। নীতি বাস্তবায়িত করা/কর্মীদের কাজে লাগানোঃ
▬ নির্দেশ প্রদান;
▬ আলোচনা করে বুঝিয়ে দেওয়া;
▬ বৈঠকের মাধ্যমে বুঝানো;
৩। মানোন্নয়নঃ
শিক্ষা সম্মেলন, অভিজ্ঞতার সারসংকলন সভা (এর পূর্বে সংশ্লিষ্ট তত্ত্ব পড়ে আসতে বলা), দলিল পড়ার সভা, সাধারণ সভা করা।
৪। নীতি বাস্তবায়নের বিষয় অবগত হওয়াঃ
▬ অনুসন্ধান;
▬ এ সময়ে উথাপিত সমস্যার সমাধান প্রদান।
৫। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাঃ
▬ উন্নততর কর্মপদ্ধতির উদ্ভাবন, যোগ্য লোক বের করা ও নিয়োগ করা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা।
৬। অভিজ্ঞতার সারসংকলনঃ
▬ নির্দেশ, নীতি বাস্তবায়নের সফলতা, ভুল, সীমাবদ্ধতা বের করা এবং তা ভবিষ্যতে পুনরাবৃত্তি না করা।
● নেতৃত্বের প্রয়োজন—
▬ কর্মীদের সাথে ঘনিষ্ঠ সংযোগ। এ জন্যে কুরিয়ার-যোগাযোগ কেন্দ্র প্রয়োজন।
● কর্মী ও সহানুভূতিশীলদের ভাল দিক প্রশংসা করা।
● সমালোচনার সমস্যার সমাধান।
● গণতন্ত্র ও কেন্দ্রীকতা যথাযথভাবে প্রয়োগ।
▬ সিদ্ধান্তের পূর্বেই মতামত চাওয়া;
▬ সিদ্ধান্ত প্রদানের সময় বুঝানো;
▬ ভাল প্রস্তাব থাকলে গ্রহণ;
▬ সমালোচনা ও প্রস্তাব চাওয়া;
▬ বিরুদ্ধ মতামত পেশ করতে দেওয়া;
▬ পূর্ণ গণতন্ত্র কার্যকরী করা।
▬ সিদ্ধান্ত, নির্দেশ দৃঢ়ভাবে কার্যকরী করা।
অপরিবর্তিত ক্ষুদে বুর্জোয়ারা নির্দেশ ও কেন্দ্রীকতাকে আমলাতান্ত্রিক, একনায়কত্বমূলক বলে।
নেতৃত্বের পক্ষে এ ধরণের অভিযোগ পাওয়া স্বাভাবিক। এ ধরণের অভিযোগ না পাওয়ার অর্থ হচ্ছে নেতৃত্ব উদারতাবাদী।
● যথাযথ পদে কর্মীদের নিয়োগ করা।
● জনমত সৃষ্টি করতে হবেঃ
▬ সুবিধাবাদীদের বিরুদ্ধে;
▬ নামিয়ে দেওয়ার পূর্বে;
● শ্রম বিভাগঃ
▬ আলোচনা গ্রুপ;
▬ প্রচার গ্রুপ;
▬ অনুসন্ধান গ্রুপ (লোক কম থাকলে এক এলাকার লোক দিয়ে অন্য এলাকা অনুসন্ধান করা, কুরিয়ার দিয়ে করা);
▬ ক্লাশ নেওয়ার গ্রুপ;
▬ সংগঠক দল, সামরিক, পাঠচক্র ও গণসংগঠন করা;
▬ হিসেব রক্ষক;
▬ কুরিয়ার, দপ্তর;
▬ কেডার ইতিহাস;
▬ অঞ্চল ভিত্তিক ইতিহাস;
▬ হিসেব;
▬ অপারেশন শিট, ইত্যাদি রাখা;
▬ বিভিন্ন পেশায় শিক্ষিত করা;
▬ স্টেনো টাইপ;
▬ রেডিও মেকানিকস;
▬ ড্রাইভিং ইত্যাদি;
● প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা প্রয়োগ করা—লিখিত অনুমতি, মৌখিক অনুমতি, স্বাক্ষরযুক্ত পত্র, সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি প্রভৃতি প্রয়োগ।
● নিজস্ব মান উন্নয়নঃ
▬ সমস্যাভিত্তিক অধ্যয়ন;
▬ সাধারণ পাঠ্য-উদ্ধৃতি, পাঁচটি প্রবন্ধ, গণযুদ্ধ;
▬ স্ট্যালিনের ‘দ্বান্দ্বিক ও ঐতিহাসিক বস্তুবাদ’
▬ Selected Readings of Mao Tse-Tung
▬ আমাদের দলিল।
● উচ্চস্তরের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখা ও বৈঠক করা।
● বিভেদপন্থীবাদ পরিহার করা।
● নিরাপত্তা বজায় রাখা।
● বিভিন্ন কাজের সমন্বয় সাধন করাঃ
▬ সমস্যার খাতা;
▬ ডিউটি শিট;
▬ ডিউটি শিট দেখা;
● বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞানার্জনের জন্যে ঐ সকল বিষয়ে শিক্ষাপ্রাপ্তদের সাথে আলাপ করাঃ
▬ ডাক্তার;
▬ বিজ্ঞানী ইত্যাদি।
● আলোচনার পদ্ধতি অনুসরণঃ
▬ যার যার Interested বিষয় নিয়ে আলাপ করা, এর মাধ্যমে রাজনীতিতে যাওয়া;
▬ ভাল শ্রোতা হওয়া, যত্নশীল হওয়া।
● নেতৃত্ব বিষয়ক পাঠ্যতালিকাঃ
▬ সাংগঠনিক দলিলের ‘নেতৃত্বের কতিপয় সমস্যা’ পড়া;
▬ ‘বিপ্লবে নেতৃত্ব ও কর্মীদের ভূমিকা’ পড়া;
▬ ‘কর্মীস্বল্পতা দূর করার কতিপয় উপায়’ পড়া;
▬ [ কেডার, পার্টি কমিটির নেতৃত্ব] উদ্ধৃতি থেকে
▬ [ আলোচনা, সমালোচনা, একটি কাজ করার উপায়] দলিল থেকে
● দ্বিমাসিক পরিকল্পনাঃ
▬ জৈষ্ঠ মাস শেষ হওয়ার পূর্বেই সুসংবদ্ধকরণ শেষ করা;
▬ মান উন্নয়ন করা, শুদ্ধি অভিযান শেষ করা;
▬ নেতৃত্ব গ্রুপ তৈরী করা;
▬ পাঠচক্র ও গেরিলা গ্রুপ তৈরী করা;
▬ যোগাযোগ সম্পন্ন করা;
▬ কুরিয়ার নিয়োগ করা;
▬ যোগাযোগ কেন্দ্র গড়া;
▬ কেডার ইতিহাস সংগ্রহ করা;
▬ সদস্য/প্রার্থী সদস্য/পাঠচক্র পদ প্রদান করা; ইত্যাদি।
● ক্ষুদে বুর্জোয়া বৈশিষ্ট্যসমূহ দূর না করলে নেতৃত্বক্ষমতা অর্জন করা সম্ভব নয়।
►◄
অষ্টম পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের ইশতেহারের শেষে যুক্ত হলো
পূর্ববাংলার জাতীয় মুক্তিফ্রন্ট নিম্নলিখিত শ্লোগানসমূহ প্রদান করবেঃ
◄ পূর্ববাংলার জাতীয় মুক্তিফ্রন্ট—জিন্দাবাদ!
◄ পূর্ববাংলার সশস্ত্র দেশপ্রেমিক বাহিনী—জিন্দাবাদ!
◄ জাতীয় মুক্তিফ্রন্টের সভাপতি সিরাজ সিকদার—জিন্দাবাদ!
ফ্রন্টের মধ্যে পার্টি কর্মীরা
◄ পূর্ববাংলার সর্বহারা পার্টি—জিন্দাবাদ!
◄ ফ্রন্টে যোগদানকারী অন্যান্য সংগঠনসমূহ—জিন্দাবাদ!
এবং অন্যান্য পার্টি শ্লোগান দেবে □