সিপিএমএলএম বাংলাদেশ দলিল
৩০ আগস্ট ২০১৪
ধর্মবাদঃ এক ফ্যাসিবাদ, সামন্তবাদ যার ভিত্তি
আইএস (ইসলামিক স্টেট) এর গণহত্যার চিত্রে সমগ্র দুনিয়ার মানুষ স্তম্ভিত। মানবিক সভ্যতা ভুলুন্ঠিত। ফিলিস্তিনেও একই অবস্থা। ইহুদিবাদী ইসরাইলী বাহিনী গণহতা সংঘটিত করছে সেখানে। আইএস শিয়া সম্প্রদায়, কুর্দি ও অন্যান্য জাতির ওপর গণহত্যা চালানোর পাশাপাশি যে এজিদী জনগোষ্ঠীকে গণহত্যার মাধ্যমে নিঃশেষ করতে চাইছে তারা প্রাচীন জরথস্তু ধর্মীয় সম্প্রদায়ভুক্ত। আর আইএস ইসলামের নামে কোন ধর্মে বিশ্বাসী? আল্লাহ বা এ জাতীয় কিছু আছে কি নেই তাতে তাদের কিছু আসে যায়না, তারা তাদের গোষ্ঠীবাদ, সামন্তবাদ চরিতার্থ করতে চাইছে। এই যে বর্বরতা, এটা কি? এটা সেই একই বাস্তবতা যা আমেরিকা, ইসরাইল, আরব, ভারত-পাক-আফগান-বাংলাসহ দক্ষিণ এশিয়া, মায়ানমার, রাশিয়া, চীনসহ সমগ্র দুনিয়ায়। মানুষের মধ্যে কুসংস্কারের ভিত্তিতে বিভেদ টানা শুধু নয়, ধারাবাহিকভাবে একটি সম্প্রদায়ের সকল মানুষকে হত্যা করা। এই ধর্ম নামক বস্তুকে মানুষ কি ভালবাসে যা মানুষের মানব পরিচয়কে ভুলিয়ে দিয়ে তাকে এক দানব বানিয়ে তোলে? ইসরাইলে ইহুদিবাদ, মধ্যপ্রাচ্যে ও অন্যত্র ইসলামবাদ, মিয়ানমারে বৌদ্ধবাদ, আমেরিকা-ইউরোপে খৃষ্টবাদ কোন মানুষের পরিচয় প্রদর্শন করেনা। মানুষ নামক বস্তুটা কতটা অমানুষ হতে পারে তাই কেবল দেখায়। অবশ্যই সাধারণ মানুষ কেবল এর শিকার।
সত্যটা কি যখন আমরা দেখি একটা সাম্রাজ্যবাদ (মার্কিন) ও সম্প্রসারণবাদ (পাকিস্তান) এক তালেবানদের গড়ে পিটে তোলে, ইসলামবাদী মৌলবাদ সৃষ্টি করে, তলে তলে শিরোমনি মার্কিন খৃষ্টীয় ধর্মবাদকে মজুদ করে পরবর্তীতে ক্রুসেডের আহবান করে। তারপর প্রথমে এরা চালায় ধ্বংসযজ্ঞ, ধারাবাহিক সম্প্রদায়গত হত্যা, জ্বালাও পোড়াও, তারপর ওরা। মাঝখানে বলির পাঠা কে? খোদ জনগণ, যাদের ধর্ম সম্পর্কে কোন নিপীড়ক-প্রবঞ্চক ধারণা নেই। বাংলাদেশে এখন ইসলামী শরিয়তের রাষ্ট্রীয় চর্চা হচ্ছে, শিশুদের জোরপূর্বক ধর্মীয় শিক্ষা দেয়া হচ্ছে, যেসব শিশু তা মানতে চাইছেনা তাদের উপর নেমে আসছে অকথ্য নির্যাতন। নারীদের ওপর আরোপিত হছে অবরোধ।শিক্ষা, সংস্কৃতি সকল ক্ষেত্রে ইসলামীকরণ চলছে। ভারত থেকে মুসলামান আর বাংলাদেশ থেকে হিন্দুদের বিতাড়িতকরণের ফল হিসেবে এখানে শতকরা আশিভাগ মুসলমান সম্প্রদায়ভুক্ত হয়েও ইসলামিকরণ হয়নি। সত্যি বলতে কি একশত বছর আগে বাংলাদেশের নববই ভাগ মানুষের মধ্যে শরিয়ত বলতে কিছু ছিলনা। হিন্দুদের মধ্যে ব্রাহ্মন্যবাদ ছিলনা। এগুলো সবই ছিল রাজা রাজরাদের মধ্যে, জমিদারদের মধ্যে। জনগণকে তারা বাধ্য করত এর প্রতি মাথা নত করতে, আর মাথা নত করতে তাদের প্রতিও, জনগনকে তারা বলে আল্লাহ বা ঈশ্বর তাদেরকে রাজা মনোনিত করেছে। এ বিশ্বাস না করলে তাদের রাজ্যে থাকা যাবেনা। তারা ধর্মকে সামাজিকভাবে বিভক্তি সৃষ্টির হাতিয়ার হিসেবে বর্ণপ্রথা সৃষ্টি করেছিল, সাধারণ মানুষ নিম্ন বর্ণের হিসেবে শত শত বছর ধরে লাঞ্ছনা-বঞ্চনা সয়ে গেছে।
মানুষ স্বভাবগতভাবে বস্তুবাদী। মানুষ জানে উৎপাদন না করলে সমাজ টিকে থাকবেনা, মানুষ টিকবেনা। কাজে কর্মে চিন্তা ভাবনায় মানুষের ভাববাদ প্রকাশ পায়না। শাসকশ্রেণীর লোকেরাও ঘুনাক্ষরে ঐসব কুসংস্কারে বিশ্বাস করেনা। কিন্তু তারা ভাণ করে। তারা ভাণ ধরে থাকে। তারা মানুষের চরিত্রের মধ্যে প্রতি চরিত্র সৃষ্টি করে। মানুষের মধ্যে যে দুর্বলতা বিরাজমান তা হল মানুষ তার উৎপাদন নিজে ভোগ করতে পারেনা, বুর্জোয়া, রাজা জমিদার বড় মালিকরা ভোগ করে। ফলতঃ মানুষ কল্পনায় আত্মসন্তুষ্টি চায়। একে বলে রোমান্টিকতাবাদ। ধর্মবাদ সমাজের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে এমন কিছু সৃষ্টি করে যা ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে সমাজকে ভাগ করে ফেলে। যেমন ভারতবর্ষে বারংবার এটা ঘটেছে, কখনো ইসলামবাদের ভিত্তিতে, কখনো হিন্দুত্ববাদের ভিত্তিতে ভারতীয় সমাজ বিভক্ত হয়েছিল। এর ফলে সম্প্রদায়গত ভারত, পাকিস্তান, আরো পরে বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়। সমাজের গঠন এমনভাবে হয়ে গেছিল যে কোন জায়গায় এই ধর্ম কোন জায়গায় ঐ ধর্মের জমিদাররা শোষণ চালাত, অতিরিক্তভাবে ধর্মীয় নিপীড়ণ চালাতো। এটা একটা জটিল সমস্যা। তা না হলে সম্প্রদায়গতভাবে ভারত বা পাকিস্তান হতনা। অন্যদিকে কমিউনিস্ট পার্টি ভারতবর্ষকে মুক্ত করতে নেতৃত্ব দেয়নি ঐ পার্টির নেতারা সংশোধনবাদী লাইনে গড়িয়ে পড়ার কারনে।
বাংলাদেশে মৌলবাদীদের তৎপরতা, ভারতে বিজেপির ক্ষমতায় আসা কুলক্ষণ। সাম্রাজ্যবাদ হচ্ছে পুঁজিবাদের সর্বোচ্চ পর্যায় এবং শোষণমুলক সমাজের শেষ। এ আজ মৃত্যুশয্যায়। কিন্তু এর মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত সে পঁচনের গন্ধ ছড়াতে থাকবে। এর শেষ না হওয়া অবধি এই বীভতসতা মানুষকে দেখে যেতে হবে।
ধর্মবাদের উদ্দেশ্য একটা জাগতিক উদ্দেশ্য হাসিল। অন্ধত্ব, কুসংস্কার, অলৌকিকতা, পরজগত ইত্যাদির ভয় দেখিয়ে একটা স্বার্থ হাসিল করা। এটা এমন একটা সমাজের ভিত্তিতে ভালভাবে করা যায় যা তুলনামূলক পশ্চাদপদ। যেমন সামন্তবাদ। কিন্তু পৃথিবী সামন্তবাদের স্তর পার হয়ে পুঁজিবাদের স্তরেরও শেষ পর্যায় সাম্রাজ্যবাদে প্রবেশ করায় এখন সামন্তবাদে পরিপুর্ণ প্রত্যাবর্তন করা যায়না। তাই এই জিনিসটা একটা ফ্যসিবাদের রূপ ধারণ করে। ফ্যাসিবাদ হচ্ছে একচেটিয়া বুর্জোয়াদের সর্বাধিক প্রতিক্রিয়াশীল একনায়কত্ব। এরা হচ্ছে বুর্জোয়াদের চরমপন্থী অংশ যারা জনগণের মধ্যে একটা ভাওতা সৃষ্টি করে, যেমন ইসলামবাদ একটা ভাওতা। এর ভিত্তি হচ্ছে সামন্তবাদী রোমান্টিকতা। অর্থাৎ সামন্তবাদী গোষ্ঠীবাদঃ যা সামন্তদের মতাদর্শ জনগণকে অতিরিক্ত শোষণের জন্য। সুতরাং ধর্মবাদ সামন্তবাদী রোমান্টিকতাবাদী ফ্যাসিবাদী।
বাংলাদেশে পুরোনো পাকিস্তানপন্থী ইসলামবাদী যুদ্ধপরাধীদের বিচারের নামে প্রহসন পরিষ্কার হয়ে গেছে। শাহবাগের আন্দোলনকে বিপথে পরিচালনাকারীরা এখন তাদের প্রভু আ’লিগের হাতেই মার খাচ্ছে। সবাই বুঝলেও এরা বুঝেনি। এর কারন এদের শ্রেণী চরিত্র। এরা মধ্যবিত্ত শ্রেণির স্বচ্ছল অংশ একটু সুযোগ দিয়েই এদের কিনে ফেলা যায়। এখন মৌলবাদীদের সাথে আ’লিগ গোপন সমঝোতা করেছে, তা অবশ্য যে কোন সময়ই ভেঙে তাদের মধ্যে কামড়াকামড়ি শুরু হতে পারে।
সুষমা স্বরাজের ঢাকা আগমনে ইসলামবাদের ঘনিষ্ঠ নির্বিশেষে সকল বুর্জোয়া দলগুলো যেভাবে হুমরি খেয়ে তার পদতলে পড়ল তা বাংলাদেশের জনগণের জন্য নতুন চক্রান্ত নিয়ে আসছে। আওয়ামী লীগ ভারতের সাথে বাঁধা। তবে ভারতে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশের যে দলটি বেশি উল্লসিত হয় সেটা হচ্ছে বিএনপি। বিএনপি বেশির ভাগ সময় ইসলামবাদীদের সাথে ঘনিষ্ঠ থাকে। কিন্তু ভারতের বিপরীতে চীনা সাম্রাজ্যবাদীদের অতিরিক্ত সমর্থন তারা ইসলামবাদীদের সাথে ঘনিষ্ঠ থাকায় পাবেনা, কারণ চীন ইসলামবাদীদের সমস্যা মনে করছে। তাই, বিএনপির দরকার ভারতের সমর্থন, আবার চীনের কাছে নিজেরা যে ইসলামবাদী না তা প্রমাণ করা। আর জাতীয় পার্টির কাজ হল যখন যে সুযোগ পাওয়া যায় তা কাজে লাগানো। আর মার্কিন ও ইউরোপীয় সাম্রাজ্যবাদীরা এই মুহুর্তে ইসলামবাদী ফ্যাসিবাদকে সহ্য করতে পারছেনা, কিন্তু যে কোন সময় তাদেরকে পুতুল বানিয়ে আফগানিস্তান বানানোর পরিকল্পনা হাতে নিতে পারে। বাংলাদেশে বাম নামে অনেক ইসলামবাদী ফ্যাসিস্ট আছে ফরহাদ মজহারের মত। অনেকেই মৌলানা ভাসানীর অনুসারী। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট ধারার প্রতিষ্ঠাতা সিরাজ সিকদার বলেছেন যে ভাসানী ইসলামিক সমাজতন্ত্রের নামে ক্ষুদে বুর্জোয়া সামন্তবাদী সমাজতন্ত্রী। সিরাজ সিকদার অত্যন্ত সঠিকভাবেই ধর্মবাদের মুখোশ উন্মোচন করেছেন একে সামন্তবাদ ভিত্তিক ফ্যাসিবাদ হিসেবে।
বাংলাদেশে ইসলাম ধর্মবাদীরা সাম্প্রতিক সময়ে সরকারী দমনের কারণে সংকটে পড়লেও এরা সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় যে সুযোগ লাভ করে তাকে ব্যবহার করে যে কোন সময় আবার দাঁড়াতে পারে, যা জঘন্য সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, গণহত্যাও সৃষ্টি করতে পারে, যা সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতবিভাগপূর্ব পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে, পাল্টাপাল্টি সাম্প্রদায়িক দাংগা, গণহত্যা, বলির পাঠা হবে জনগণ যাদের ধর্ম নিয়ে উগ্র আকাঙ্ক্ষা নেই, মানুষ হিসেবে মনুষত্ব বিকাশে আগ্রহী। বিপ্লবী প্রক্রিয়াকে এগিয়ে না নিলে ধর্মবাদ বা যে কোন ধরণের ফ্যাসিবাদ মোকাবেলা করা তো যাবেইনা সমাজের কোন অগ্রগমনই সম্ভব নয়। আমাদরকে বস্তুবাদকে জনগণের মধ্যে নিয়ে যেতে হবে, তাকে ব্যাখ্যা করতে হবে, জনপ্রিয় করতে হবে। পরজগত নিয়ে মানুষের ভীতি দুর করতে হবে। মৃত্যুর পর মানুষ কোথায় যাবে? বস্তুজগতের রূপান্তরের নিয়ম অনুযায়ী মানুষও কোন না কোন রূপ পরিগ্রহ করবেঃ ফুল, পাখি, নদী কাব্যিক একটা কিছু! নিশ্চয় উন্নত কিছু জন্ম হবে। এসবি মহাজগতের বিস্ময়, যার রহস্য একটু একটু করে মানুষ বিজ্ঞানের মাধ্যমে বস্তুবাদের মাধ্যমে জানতে পারছে, আর এ জানার প্রক্রিয়াকে পদে পদে বাঁধাগ্রস্থ করছে ধর্মবাদ—যা দাবি করে কেবল ঈশ্বরই জানার অধিকারী, মানুষ তার সেবক, মানুষ কোন কিছু জানতে পারেনা ইত্যাদি। সুতরাং বস্তুবাদের প্রতিষ্ঠা এক ভয়ানক সংগ্রামের ব্যাপার, এ লড়াই সাম্যবাদী ধারার সমাজ প্রতিষ্ঠার অংশও বটে।
ধর্ম আর মানুষের প্রাচীন অতি প্রাকৃত শক্তিতে বিশ্বাসের মধ্যে পার্থক্য রয়েছ। ধর্ম একটা সংগঠিত ব্যবস্থা যা সৃষ্টি হয়েছে সামন্তবাদী আমলে। খৃষ্ট, ইসলাম, হিন্দু ধর্ম, বৌদ্ধ ইত্যকার ধর্ম একদিনে গড়ে উঠেনি, বহু শতাব্দী ধরে তা গড়ে উঠেছে। গোষ্ঠীবাদ, রাজ্য দখল-সাম্রাজ্যের বিস্তার ধর্মের পতাকাতলে হয়েছে। আব্বাসীয়, উমাইয়ারা বহু শতাব্দি ধরে এশিয়া-ইউরোপ-মধ্যপ্রাচ্যে রক্তপাত ঘটিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে ভ্রাতৃঘাতি যুদ্ধ সংঘটিত বাঁধিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে তার মধ্যে ধর্মের লেশ মাত্রও ছিলনা। মহাভারতে ও কারবালায় যুদ্ধের যে ভয়াবহ চিত্র দেখা যায় তা ছিল রাজতন্ত্রের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের ফলঃ কে রাজা হবে তাই নিয়ে। অশোকের তরবারী অগণন মানুষের রক্ত নিয়েছে বৌদ্ধবাদ গ্রহণ করার আগে। আউরঙ্গজেবের ইসলামবাদী নির্মমতা ছিল সংকীর্ণ গোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষমতা রাখার লিপ্সায়, সমগ্র ভারতবর্ষের অন্যান্য গোষ্ঠীগুলোকে দমিত করে, যার ফল হিসেবে দুইশ বছর পর ভারত প্রশাসনিকভাবে বিভক্ত হয়ে যায়।
সামন্তদের স্বার্থ থাকে জনগণের রক্ত শোষণ করার মধ্যে। সামন্ততন্ত্রে সামন্ত রাজা রাজরা জমিদার জোতদাররা হচ্ছে শোষক শ্রেণী, আর বিপরীতে কৃষকরা হচ্ছে ভুমিদাস। কৃষকদের জমি, পরিবার সবকিছু জমিদারের সম্পত্তি। একটুকরো জমি তারা পায় নিজেদের চাষের জন্য, এটাই প্রাচীন দাসদের থেকে পার্থক্য। ধর্মবাদীদের সমাজে এমনকি পুর্ণ দাস থাকে যাদেরকে মালিকরা হত্যাও করতে পারে। তাছাড়া সমাজের অর্ধাংশ যে নারী তারা পুরুষের দাসী।
সুতরাং, ধর্মবাদ ব্যক্তি ইশ্বরের পুজা করতেই বলুক আর পরমাত্মার পুজা করতে বলুক তার মর্মে রয়েছে জাগতিক স্বার্থঃ গোষ্ঠীবাদ, রাজতন্ত্র, সামন্তবাদ, সর্বোপরি মানুষকে সীমাহীনভাবে শোষণ করা। আর এর জন্য সে ফ্যাসিবাদের রূপ ধারন করছে। সামন্ততন্ত্রকে ভিত্তি করে পুরোনো যুগের জরাজীর্ণ অতিতে মানুষকে ফিরিয়ে নিতে চাইছে। সাম্যবাদী ধারার সমাজ গড়তে হলে এ সবের বিরুদ্ধে লড়তে হবে। যারা এর বিরুদ্ধে লড়তে চায়না তারা চালাকি করছে। তাদের চালাকি জনগণকে ধোঁকা দেয়ার জন্য। আমাদেরকে সকল প্রকার ভণ্ডামি চালাকিকে চূর্ণ করে দিতে হবে।